তাহলে যেসব নিয়ম মেনে চললে আরাম পাবেন, দেখেনিন একঝলকে

ব্যাক পেইনের মতো সমস্যা আগে বয়স্কদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যেতো। কিন্তু এখন আর অসুস্থতার জন্য বয়সের দরকার হয় না। অল্প বয়সেও অনেকের অনেক রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। কখন কোন ব্যথা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, তা বোঝা মুশকিল। যেমন ধরুন, ব্যাক পেইন। এর যন্ত্রণায় স্বাভাবিক জীবনযাপনও থমকে দাঁড়ায় অনেকের।

বর্তমানে কম বয়সী অনেকের মধ্যে ব্যাক পেইনের মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এর বড় কারণ হতে পারে দীর্ঘ সময় ঝুঁকে বসে কাজ করা। এখন তো বেশিরভাগই ডেস্কটপ কম্পিউটার বা ল্যাপটপে কাজ করেন। আর কাজ করার সময় সেখান থেকে খুব একটা ওঠেনও না। পেশীর নড়াচড়া একেবারে হয় না বললেই চলে। বিশেষজ্ঞের মতে, শরীরচর্চার অভ্যাস না থাকা এবং কাজের মাঝে বিরতি না নেওয়া হতে পারে ব্যাক পেইনের বড় কারণ।

ব্যাক পেইন শুধু পিঠে ও মেরুদণ্ডে যন্ত্রণা দিয়েই শেষ হয়ে যায় না। বরং এর সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য, হজম না হওয়া, বমি ভাব ইত্যাদিও চলে আসে। পেইন কিলার খেলে সাময়িক মুক্তি পাওয়া যায়, তবে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তো থাকেই। আবার একটানা পেইনকিলার খাওয়া খুবই ক্ষতিকর অভ্যাস হিসেবে বিবেচিত হয়। সে কারণে ব্যাক পেইন থেকে মুক্তি পেতে মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব কী-

বালিশ ছাড়াই ঘুমাবেন
ঘুমাতে গেলে পছন্দের তুলতুলে বালিশটি মাথার নিচে থাকা চাই? ব্যাক পেইন হলে আপাতত সেটি সরিয়ে রাখুন। এর কারণ হলো বালিশে মাথা রেখে ঘুমালে শরীরের সঠিক ভঙ্গির অভাবে হতে পারে এই সমস্যা। তাই বালিশ যতই প্রিয় হোক, ব্যাক পেইন কমাতে আপাতত মাথার নিচে বালিশ ছাড়াই ঘুমানোর অভ্যাস করুন।

নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম
সুস্থ থাকতে চাইলে শরীরচর্চা বাদ দিয়ে দিলে হবে না। প্রতিদিন কিছু ব্যায়ামের অভ্যাস অবশ্যই করতে হবে। তার মধ্যে মকরাসন, শলাভাসন, মার্কাতাসন ইত্যাদি অবশ্যই করবেন। নিয়মিত এসব ব্যায়াম মেনে চললে ব্যাক পেইন থেকে দ্রুত মুক্তি পাবেন। এখন থেকে ব্যায়ামে আর অবহেলা করা চলবে না।

একটানা বসে থাকা নয়
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা একবার কাজে বসলে আর উঠতে মনে থাকে না। এতে করে একটানা কাজ করা হলেও ক্ষতি করছেন আপনার শরীরের। তাই এক জায়গায় দুই ঘণ্টার বেশি বসে থাকবেন না। সবচেয়ে ভালো হয় ঘণ্টাখানেক পরপর পাঁচ মিনিটের বিরতি নিলে। উঠে একটু হাঁটুন, কফি খান, জল খান। সোজা কথা বিরতি নিন।

ব্যথা উপশমকারী তেল ব্যবহার
ব্যাক পেইন দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যথা উপশমকারী তেল ব্যবহার করতে পারেন। হতে পারে তা  অশ্বগন্ধা তেল, ধন্বন্তরাম তেল ইত্যাদি। অলিভ অয়েলের সঙ্গে সামান্য লবণ যোগ করে মালিশ করলেও আরাম পাবেন। এছাড়া সর্ষের তেল কিংবা তীলের তেলও ব্যবহার করতে পারেন।

News Desk

Recent Posts

ক্যানসার হবে কি না জানতে পারবেন ৭ বছর আগেই

ক্যানসারের নাম শুনলেই কমবেশি সবাই আঁতকে ওঠেন। কঠিন এই ব্যাধি থেকে বাঁচতে সচেতনতা জরুরি। ক্যানসার রোগের আগাম খবর পেতে সারা…

10 hours ago

নেবুলাইজার কেন ব্যবহার করা হয়?

হাঁপানি, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ও অন্যান্য শ্বাসনালির সংক্রমণজনিত রোগ তীব্র আকার ধারণ করলে নেবুলাইজার ব্যবহার করা হয়। রোগী যখন ইনহেলারের…

1 day ago

বারবার পানি পিপাসা লাগা কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো?

গরমে অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। ফলে বারবার পানি পিপাসা লাগা স্বাভাবিক। আর এ সময় প্রচুর পরিমাণ…

1 day ago

মসলা চা পানে মিলবে যেসব উপকার

দিনে বেশ কয়েকবার চায়ের কাপে চুমুক না দিলে অনেকেরই দিন কাটে না। বিভিন্ন ধরনের চায়ের মধ্যে মসলা চায়ের স্বাদও যেমন…

2 days ago

গরমে বাড়তে পারে কিডনির সমস্যা, কীভাবে সতর্ক থাকবেন?

হঠাৎ করেই কিডনির সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত গরমে পানিশূন্যতার কারণে হঠাৎই বিকল হতে পারে কিডনি। মূলত তাপমাত্রা ও…

2 days ago

খাবার কেনার আগে প্যাকেটের কোন লেখা অবশ্যই পড়বেন?

কর্মব্যস্ত জীবনে কমবেশি সবাই এখন রেডিমেড খাবারের উপর নির্ভরশীল। এ কারণে বেশিরভাগ খাবারই এখন প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হয়। প্রায়…

2 days ago