চুলের আগা ফাটার সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। চুলের আগা কেটে না ফেললে এই সমস্যা আরো বাড়তেই থাকে। কারণ চুল ফাটা শুরু হলে আর থামতেই চায় না। পুষ্টির অভাবেই চুলের আগা ফাটে। তবে চাইলেই ঘরোয়া কিছু উপায়ে চুলের আগা ফাটা রোধ করা সম্ভব। জেনে নিন উপায়-
> মধুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের জন্য যেমন ভালো তেমনই চুলের জন্য কার্যকরী। স্নানের ঠিক আগে পুরো চুল ভিজিয়ে গোঁড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালো করে মধু মেখে নিন। ৫ থেকে ১০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতেই বেশ ভালো ফলাফল পাবেন ।
> চুলের আগা ফাটা, খুশকি, চুল পড়া ইত্যাদির সমাধান রয়েছে জবা ফুলে। নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলে দুইটি জবা ফুল গরম করে নিন। এরপর তেল ছেঁকে ঠাণ্ডা করে বোতলে রাখুন। প্রতিবার ব্যবহারের আগে একটু গরম করে নিয়ে চুলের আগা এবং গোড়ায় ভালো করে তেল মাখিয়ে নিন। এরপর ২০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই বার ব্যবহারে চুল সংক্রান্ত সব সমস্যার সমাধান পাবেন।
> ডিম ও দুধের হেয়ার মাস্ক চুলের আগা ফাটা রোধ করে। একটি ডিমের কুসুম, দুই টেবিল চামচ দুধ, এক চা চামচ চিনি বা মধু একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে চুলে আগা থেকে গোঁড়া সম্পূর্ণ লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার ব্যবহারেই বেশ ভালো ফল পাবেন।
> কলায় রয়েছে পটাশিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন, ভিটামিন সি, এ এবং ই। যা চুলের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখে এবং চুলের আগা ফাটা রোধ করে। এছাড়া একটি পাকা কলা, দুই চামচ টক দই, এক চামচ গোলাপজল ও আধা চামচ লেবুর রস দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি চুলে লাগান। এক ঘণ্টা পর ভালো করে শ্যাম্পু করে নিন। দেখবেন চুল ফাটা কমে যাবে।
> চুলের পুষ্টি যোগাতে প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়া প্রয়োজন। এছাড়া একটি ডিমের সঙ্গে তিন চামচ আমন্ড অয়েল অথবা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। অলিভ অয়েলে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট চুলের আগা ফাটা রোধ করতে সাহায্য করে। এর সঙ্গে এক চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে নিন। মিশ্রণটি হেয়ার মাস্কের মতো মাথায় লাগান। এক ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন।
এসব উপায়েই চুলের আগা ফাটা কিছুদিনের মধ্যেই রোধ করা সম্ভব। যে কোনো প্যাকই সপ্তাহে দুই বা তিনবার ব্যবহার করুন। নিয়মিত চুলে তেল ম্যাসাজ করুন। চুল পরিষ্কার রাখুন। রাতে ঘুমানোর পূর্বে অবশ্যই চুল ছেড়ে না রেখে উঁচু করে খোঁপা করে ঘুমাবেন। কারণ চুল ছাড়া থাকলে বা বেণী করে রাখলেও ঘুমানোর সময় ঘষা লেগে আগা ফেটে যায়।
হাঁপানি, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ও অন্যান্য শ্বাসনালির সংক্রমণজনিত রোগ তীব্র আকার ধারণ করলে নেবুলাইজার ব্যবহার করা হয়। রোগী যখন ইনহেলারের…
গরমে অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। ফলে বারবার পানি পিপাসা লাগা স্বাভাবিক। আর এ সময় প্রচুর পরিমাণ…
দিনে বেশ কয়েকবার চায়ের কাপে চুমুক না দিলে অনেকেরই দিন কাটে না। বিভিন্ন ধরনের চায়ের মধ্যে মসলা চায়ের স্বাদও যেমন…
হঠাৎ করেই কিডনির সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত গরমে পানিশূন্যতার কারণে হঠাৎই বিকল হতে পারে কিডনি। মূলত তাপমাত্রা ও…
কর্মব্যস্ত জীবনে কমবেশি সবাই এখন রেডিমেড খাবারের উপর নির্ভরশীল। এ কারণে বেশিরভাগ খাবারই এখন প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হয়। প্রায়…
গরমে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। একই সঙ্গে বাড়ে মৃতের সংখ্যাও। আজ ১৬ মে জাতীয় ডেঙ্গু দিবস। ডেঙ্গু…