প্রতিদিন রুটি খেলে যেসব রোগ আপনার ধারের কাছেও আসবে না, জেনেনিন

সকালের খাবারে রুটি খাওয়ার অভ্যাস কমবেশি আমাদের সবারই আছে। এক্ষেত্রে সাদা ময়দার বদলে বেছে নিন গমের আল আটা। কারণ গমের রুটি স্বাস্থ্যের জন্য অধিক উপকারী।
পুষ্টিবিদরাও জানান, সাদা ময়দার চেয়ে গমের লাল আটার রুটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। বেশ কিছু গবেষণা অনুসারে, নিয়মিত গমের রুটি খাওয়া শুরু করলে শরীরে ভিটামিন বি ১, বি ২, বি ৩, বি ৬ এবং বি ৯-এর চাহিদা মেটে ঘটে। সেই সঙ্গে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ফাইবারের ঘাটতি মেটে।

এর ফলে একাধিক ছোট-বড় রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পরে না। বিশেষ করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগের প্রকোপ কমে এবং হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে চোখে পড়ার মতো।

তবে উপকার পেতে একদিন গমের রুটি খেলে হবে না। প্রতিদিনের ডায়েটে রুটি রাখতে হবে। জেনে নিন গমের রূটি খেলে শরীর কেমন উপকার পাবে আর কোন রোগগুলো সারবে-

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে

নিয়মিত গমের রুটি খাওয়া শুরু করলে ত্বকের জেল্লা বাড়ে। বেশ কিছু গবেষণা অনুসারে, রুটিতে থাকা জিঙ্ক ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে

গমে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, নিয়াসিন এবং জিঙ্কের মতো উপকারী উপাদান। যা ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের মতো সমস্যা দূরে রাখে। এর ফলে অল্প বয়সেই চোখে ছানি পড়ার আশঙ্কাও আর থাকে না। সেই সঙ্গে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে চোখে পড়ার মতো।

হার্ট সুস্থ থাকে

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে হৃদয় ভালো থাকে। তাই ব্লাড প্রেশার যাতে কখনই নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। গমের রুটিতে থাকা ডায়াটারি ফাইবার রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে হার্টের কোনো ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আর থাকে না।

ডায়েবেটিস নিয়ন্ত্রণে

শত চেষ্টা করেও অনেকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন না। তবে নিয়মিত ভাতের বদলে গমের রুটি খাওয়ার অভ্যাস গড়লে ডায়াবেটিস থাকবে নিয়ন্ত্রণে। গমে আছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম। যা শরীরে প্রবেশ করা মাত্রই ৩০০ রকমের উপকারী এনজাইমের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এ কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে

রুটিতে যেহেতু অনেক ফাইবার থাকে, তাই অনেক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। ফলে খিদে কমে যায়। আর কম পরিমাণে খাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই শরীরে অপ্রয়োজনীয় ক্যালরির মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও আর থাকে না। এ কারণে ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে। এছাড়াও গমের রুটিতে উপস্থিত ফাইবার, হজম ক্ষমতার উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এই কারণে শরীরের অতিরিক্ত মেদ জমার আশঙ্কা আর থাকে না।

ক্লান্তি দূর হয়

সকালে গমের রুটি দিয়ে নাস্তা করলে সারাদিন শরীরে ভরপুর এনার্জি পাওয়া যায়। রুটি খেলে কার্বোহাইড্রেটের ঘাটতি মেটে। এ কারণে ক্লান্ত হয়ে পড়ার মতো সমস্যা নিমেষে দূরে পালায়। এমনকি মন-মেজাজও চাঙ্গা হয়ে ওঠে।

News Desk

Recent Posts

ডাবের পানির বিকল্প হিসেবে যে পানীয় পান করতে পারেন

গরমে সুস্থ থাকতে কমবেশি সবারই উচিত ডাবের পানি পান করা। কারণ এ সময় ডিহাইড্রেশনের হার বেড়ে যায়। তবে এই গরমে…

2 hours ago

বাথরুমে টুথব্রাশ রাখলে কী হয়?

অনেকেই বাথরুমে টুথব্রাশ রেখে দেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বাথরুমে টুথব্রাশ না রাখাই ভালো, কারণ এতে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক বাসা বাঁধতে…

2 hours ago

দুপুরে ঘুমালে শরীরে যা ঘটে

দুপুরে ভরপেট খাওয়ার পর বিছানায় গা এলিয়ে দেন অনেকেই। দুপুরের ঘুমের মধ্যে অনেকেই শান্তি খুঁজে পান। তবে এই ঘুম কি…

4 hours ago

নিজেকে ভালো রাখবেন কীভাবে?

নিজেকে ভালো রাখতে চাইলে সবার আগে নিজের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। প্রতিদিনই কমবেশি সবাই কিছু না কিছু সাফল্য আসে দৈনন্দিন…

4 hours ago

ত্বকে হিট র‌্যাশ উঠলে সারাতে কী করবেন?

তাপপ্রবাহে সবার মধ্যেই অস্বস্তি বেড়েছে। গরমে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি ত্বকেও দেখা দেয় ঘামাচি, ফুসকুড়ি, ট্যানসহ নানা সমস্যা। তার মধ্যে…

4 hours ago

হাঁপানির কারণে দাঁত-মাড়ির ক্ষয় হচ্ছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে

গরমকালে নানা কারণে অ্যাজমা বা হাঁপানির সমস্যা বেড়ে যায়। আবার অ্যাজমার কারণে শরীরের অন্যান্য অঙ্গেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। যেমন…

4 hours ago