আপনার ত্বকের সুস্থতার জন্য আপনার কিছু বিষয় মেনে চলা উচিত। গোসল, ময়েশ্চারাইজিং এবং এমনকি খাবার সম্পর্কিত এসব পরামর্শ আপনার ত্বককে তার রূপ ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
* চোখ ডলবেন না
চোখের ত্বক সবচেয়ে পাতলা, মাত্র ০.০৫ মিলিমিটার পুরু। চোখ ডলন বা কচলানোর ফলে ক্যাপিলারিতে (কৈশিকের ভেতরে) ছোট ছোট ক্ষত হয়, যা আপনার চোখের ত্বককে বিবর্ণ ও বয়স্ক করবে।
* ত্বকে চুলকাবেন না
ঠান্ডার মাসগুলোতে শুষ্ক বাতাস ত্বকের উপরের স্তর থেকে আর্দ্রতা শুষে নেয়, যা ত্বককে উক্তক্ত্য করে। শুষ্কতা প্রদাহজনিত প্রতিক্রিয়া প্ররোচিত করে: ইমিউন কোষ ও প্রো-ইনফ্ল্যামেটরি প্রোটিন এবং অন্যান্য এনজাইম উত্তেজিত হয়ে যায়, চুলকানি রিসেপ্টরককে সক্রিয় করে যা আপনার মস্তিষ্কে সংকেত পাঠায়। চুলকালে সাময়িকভাবে ভালো অনুভব হয়, কিন্তু এতে ত্বকে আরো বেশি প্রদাহ হবে ও চুলকানি রিসেপ্টর আরো বেশি উত্তেজিত হবে এবং আপনার আরো চুলকাতে ইচ্ছে করবে। এভাবে চুলকানির দুষ্টু চক্র অব্যাহত থাকবে।
* বেশিক্ষণ স্নান করবেন না
বিশেষ করে শীতে। দীর্ঘ সময় ধরে গরম জল দিয়ে স্নান ত্বকের প্রাকৃতিক তেল দূর করে, সাবান দিয়ে ত্বক পরিষ্কারকরণেও তা-ই হয়।
* সকালে মুখমণ্ডল পরিষ্কার করবেন না
নারীরা, আপনাদের দিনে দুইবার মুখমণ্ডল ধোয়ার প্রয়োজন নেই (বিশেষ করে যদি আপনার ত্বক শুষ্ক থাকে)। রাতে একবার মুখমণ্ডল পরিষ্কারকরণে সেসব ময়লা দূর হয়ে যায় যা ত্বকের ছোট ছোট গর্তকে বুজে দিতে পারে এবং ব্রণ সৃষ্টি করে। সকালে আবার মুখমণ্ডল পরিষ্কারকরণে অত্যধিক তেল দূর হয়ে যায়।
* নিশ্চিত হোন যে আপনার ময়েশ্চারাইজারে সিরামাইড আছে
আপনার ত্বকের ওপরের স্তরে এসব লিপিড প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়। কিন্তু শীতে অতিরিক্ত ডোজের প্রয়োজন হয়। সিরামাইড সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম বা লোশন আদ্রতা ধরে রেখে ত্বককে মসৃণ ও কোমল রাখতে সাহায্য করে।
* আপনার ইমিউন সিস্টেমের বিরাট অংশ হচ্ছে ত্বক
ত্বক হচ্ছে জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রথম স্তরের নিরাপত্তা। ত্বকের তিন স্তরই (আউটার এপিডার্মিস, মিডল ডার্মিস এবং বটম ফ্যাটি লেয়ার) ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও অন্যান্য শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এ কারণে ত্বককে আর্দ্র রাখা গুরুত্বপূর্ণ। যদি ত্বকের বাইরের স্তর খুব শুষ্ক হয়, তাহলে ছোট ছোট ফাটল হবে ও ত্বককে আঁশযুক্ত দেখাবে এবং আপনার ত্বকের সংক্রমণ ও প্রদাহ হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যাবে।
* পশমের পুরু সোয়েটার পরুন
পশম কম ঘর্ষণকারী। তবে আপনার ত্বক অত্যধিক সেনসিটিভ হলে এটিও র্যা শ হওয়ার কারণ হতে পারে।
* বছরের সবসময় এসপিএফ সম্পন্ন সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন
এমনকি পাউডারের সঙ্গে মুখমণ্ডলে এসপিএফ প্রয়োগ করাও তুলনামূলক ভালো হবে। আপনি হয়তো ভাবছেন শীতে সানস্ক্রিন ব্যবহারের প্রয়োজন নেই, কিন্তু ঠান্ডার মাসগুলোতে অতিবেগুনি রশ্মি এক্সপোজ করার সম্ভাবনা দ্বিগুণ যা আপনাকে স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকিতে রাখে এবং ত্বকে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে, যেমন- ত্বকের ওপর ডার্ক স্পট। তাই ত্বককে রক্ষা করতে বছরের সবসময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।
* ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন সি ত্বকের জন্য ভালো
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ ভোজন ত্বকে প্রাকৃতিক তেল উৎপাদনে সাহায্য করে এবং প্রদাহ প্রশমিত করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারও আপনার ত্বকের জন্য ভালো। কোষের কোলাজেন তৈরিতে ভিটামিন সি প্রয়োজন- কোলাজেন হচ্ছে একটি প্রোটিন যা ত্বককে মজবুত ও কোমল করে।
* ত্বকের জন্য চিনি ভালো নয়
আপনি জানেন যে চিনি খাওয়াটা ফিটনেস ও দাঁতের জন্য ভালো নয়, কিন্তু এটি আপনার ত্বকের জন্যও ভালো নয়। ত্বকের প্রোটিনের সঙ্গে চিনির মলিকিউল মিশে ত্বককে টানটান করে তোলে।
* ত্বকের সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন
ঘুমের সময় ত্বক সকল ধরনের মেরামতের কাজ করে। সারাদিন ধরে ত্বক নতুন কোষ উৎপাদন করে এবং মৃত কোষকে ত্বকের উপরে পাঠিয়ে দেয়- ঘুমের সময় এই রিনিউয়াল প্রসেস ত্বরান্বিত হয়। এক মাসের মধ্যে ত্বকের উপরের স্তর সম্পূর্ণরূপে রিজেনারেট হয়। পর্যাপ্ত ঘুম ত্বকে বয়স্কতার লক্ষণ প্রকাশকে অর্ধেকে নামিয়ে আনে। ভালো ঘুম ত্বকের ইলাস্টিসিটি বাড়ায় ও ত্বককে অধিক আকর্ষণীয় করে।
বর্তমানে কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই হাসতে ভুলে গেছেন। তবে হাসিখুশি থাকা যে শরীর ও মনের জন্য কতটা উপকারী, তা হয়তো অনেকেরই…
কোষ্ঠকাঠিন্য হলো গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি। এই তাপপ্রবাহে ডায়রিয়ার সমস্যা যেমন বেড়েছে, তেমনই অনেকের আবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও বেড়েছে। যারা এরই…
তীব্র গরমে বড়দের পাশাপাশি হাঁসফাঁস করছে ছোটরাও। এ সময় শিশুদের কীভাবে সুস্থ রাখবেন তাই এখন বড় প্রশ্ন, প্রত্যেক মা-বাবার জন্য়।…
তাপপ্রবাহে সবার মধ্যেই অস্বস্তি বেড়েছে। গরমে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি ত্বকেও দেখা দেয় ঘামাচি, ফুসকুড়ি, ট্যানসহ নানা সমস্যা। তার মধ্যে…
কাজের ব্যস্ততা কিংবা আলস্যের কারণে অনেকেই দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব আটকে রাখেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অভ্যাস হতে পারে বিপজ্জনক। এই অভ্যাসের কারণেই…
পাইলসের সমস্যায় অনেকেই কষ্ট পান। এটি গুরুতর রোগ হলেও অনেকেই অবহেলা করেন। যদি প্রথমদিকেই পাইলসের সমস্যায় চিকিৎসা নেওয়া হয়, তাহলে…