আমাদের শরীরের প্রত্যেকটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থেকে ব্যাথা অনুভব করি। কখনও কম হয় আবার কখনও বেশি হয়। তবে অনেকাংশ ব্যাথা আমরা সাধারণ মনে করে ছেড়ে দেই। কিন্তু এই সাধারণ ব্যাথাই এক সময় মরণব্যাধির রূপ নিতে পারে। তাই ছোট ছোট ব্যাথা হলেও অবহেলা করা ঠিক হবে না। এইসব ব্যাথাতে চিকিৎসকের পরামর্শ আবশ্যক।
১) হাতের ব্যাথা
যদি আপনি আঙ্গুলে, হাতে, হাতের তালুতে এবং কবজিতে ছড়িয়ে পড়া ব্যথা কিংবা অসাড় হওয়া অনুভূতি টের পান, তাহলে আপনি কার্পেল টানেল সিনড্রোমে ভুগছেন। তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের শরনাপন্ন না হলে আপনার হাতের পেশি শুকিয়ে যেতে পারে এবং হাত স্থায়ীভাবে অবশ হয়ে যেতে পারে। তাই এইসব জায়গায় ব্যাথা হলে মোটেও অবহেলা করা উচিত নয়।
২) মাথা ব্যাথা
মাথা ব্যাথা প্রায় অধিকাংশ লোকেরই হয়্। হঠাৎ করে যদি মাথায় অস্বাভাবিক যন্ত্রণা শুরু হয় এবং মাথার ব্যথায় দৃষ্টিশক্তি ঘোলাতে হতে শুরু করে, তাহলে বিষয়টিকে অবহেলা করা একেবারেই উচিত হবে না। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, কোনও আঘাত, টিউমার ইত্যাদির কারণে মাথায় এ ধরণের অস্বাভাবিক ব্যথা হতে পারে। তাই এই পরিস্থিতিতে জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
৩) দাঁতে ব্যাথা
চিকিৎসকের অনুযায়ী দাঁতের সঙ্গে মাথার সম্পর্ক রয়েছে। তাই দাঁতা ব্যাথা হলে কোন রকমভাবে অবহেলা করা উচিত নয়। ঠান্ডা কিছু খেলে দাত ব্যথা হলে বুঝবেন আপনার দাতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দাত ব্যথা এবং দাত শিরশির করলেই দাতের ডাক্তারের শরনাপন্ন হোন।
৪) শিরদাড়া ব্যথা
আমাদের শিরদাড়ার নিচে ডানদিকে যদি ব্যথা হয় আর সঙ্গে জ্বর, সর্দি অথবা বমিভাব হলে বুঝবেন আপনার অ্যাপেনডিসাইটিসের সমস্যা হয়েছে। তাই চিকিৎসা নিন দ্রুত। নয়তো অ্যাপেনডিক্স ফেটে কঠিন অবস্থার সৃষ্টি হতে পারেন।
৫) পায়ের টানা ব্যথা
উঠতে বসতে আমাদের পায়ে খিল ধরে যেতে পারে। এটাকে আমরা খুব একটা গুরুত্ব দিই না। কিন্তু তার সঙ্গে যদি কোনো প্রদাহ বা ফোলার সমস্যা থাকে তবে শরীরে ক্ষতিকারক রক্তপিণ্ড থাকতে পারে, যার ফলেই এরকম ব্যথা হয়। এর চিকিৎসা জরুরি।
৬) তল পেটে ব্যাথা
তল পেটের ডান দিকে ব্যথা যদি ২৪ ঘন্টার বেশি সময় পর্যন্ত স্থায়ি হয় এবং ব্যাথার স্থান যদি ঘন ঘন তল পেটের নানা অংশে ঘোরাফেরা করতে থাকে তাহলে এটা অ্যাপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ হতে পারে। এমন অবস্থায় অবশ্যই জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। চিকিৎসকই বলতে পারবেন, যে এ ক্ষেত্রে অস্ত্রপচার করা কতটা জরুরি বা কখন করা উচিত।
৭) কোমর থেকে পায়ে ব্যথা
বিশেষত একটু বেশি বয়স্কদের কোমর থেকে ব্যথা পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়তে পারে। একে বলে স্কিয়াটিকা। পায়ের স্কিয়াটিক টিস্যুতে চাপ পড়লে এই ব্যথা হয়। আবার এই ব্যথার সাথে সাথে যদি প্রস্রাবের কোনো সমস্যা দেখা দেয় তাহলে কডা ইকুইনা সিনড্রোম রোগের লক্ষণ। এ থেকে স্থায়ীভাবে প্যারালাইসিসের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
৮) পায়ের টানা ব্যথা
উঠতে বসতে আমাদের পায়ে খিল ধরে যেতে পারে। এটাকে আমরা খুব একটা গুরুত্ব দিই না। কিন্তু তার সঙ্গে যদি কোনো প্রদাহ বা ফোলার সমস্যা থাকে তবে শরীরে ক্ষতিকারক রক্তপিণ্ড থাকতে পারে, যার ফলেই এরকম ব্যথা হয়। এর চিকিৎসা জরুরি।
৯) ঋতুস্রাবের সময় পেট ব্যাথা
ঋতুস্রাব বা মাসিকের সময়ে যদি অস্বাভাবিক পেটে ব্যথা থাকে এবং সেই ব্যথা যদি সহজে না কমে, তাহলে বিষয়টা একেবারেই অবহেলা করবেন না। কারণ, নানা ধরণের গাইনি সমস্যার কারণে ঋতুস্রাব বা মাসিকের সময়ে তীব্র ব্যথা হতে পারে। তাই এই পরিস্থিতিতে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
দেশে আবারও বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। তাই এখন কারো জ্বর হলেই ঘরের সবাই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন ডেঙ্গু ভেবে। ডেঙ্গু জ্বর একটি…
মশা কমবেশি সবাইকেই কামড়ে থাকে। তবে কারও কারও একটু বেশিই কামড়ায়! এর কারণ কী জানেন? আসলে মশা কাকে বেশি আক্রমণ…
ভিটামিন শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই ভিটামিন শুধু যে হাড়ের স্বাস্থ্যই ভালো রাখে তা কিন্তু নয়। বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকেও…
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা বেশ মুশকিল। যদিও সঠিক জীবনযাত্রা ও শরীরচর্চার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এমনকি এর থেকে মুক্তিও মেলে।…
সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুম অধিক জরুরি। এ কারণেই প্রতিদিন নির্দিষ্ট কয়েক ঘণ্টা সবাইকে ঘুমাতে হয়। ঘুমানোর ফলেই শরীরে মেলে বিশ্রাম। শুধু…
রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর অনেকেই জানতে পারেন হিমোগ্লোবিনের ঘাটতিতে ভুগছেন তিনি। এ সমস্যায় কমবেশি সবাই ভুগে থাকেন। তবে ক্রমশ…