ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ উপকারিতা ও অপকারিতা জেনেনিন

ড্রাগন বহুপ্রচলিত ফল না হলেও এর পুষ্টিগুন আর সুন্দর রঙের বদৌলতে ধীরে ধীরে সবার কাছে একটি পরিচিত ফল হয়ে উঠছে। ফলটির ত্বক দেখতে ড্রাগনের মত হওয়ায় এর নাম রাখা হয়েছে ড্রাগন ফল।তবে এটিকে আরো নানা নামে ডাকা হয়।

ড্রাগন ফলের ফুল শুধুমাত্র রাতে ফোঁটে তাই ফুলটি “নাইট কুইন” নামে পরিচিত।ফুলের রঙ সাদা ও হলুদ বর্নের।আর গাছ হয় পাতাবিহীন।বিভিন্নভাবে ফুলের পরাগায়ন হতে পারে।আপনাআপনিও হয় আবার কৃত্রিমভাবেও পরাগায়ন করা যায়।এছাড়া মৌমাছির মাধ্যমে পরগায়ন হতে দেখা যায়।

আমাদের দেশের কিছু জায়গায় বর্তমানে কৃত্রিম ভাবে ফুলের পরাগায়ন হচ্ছে।
আফ্রিকাতে সর্বপ্রথম ফলটি চিহ্নিত করা হয় প্রায় তেরোশো বছর আগে।তবে বর্তমানে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অনেক দেশে এই ফলের চাষ পরিলক্ষিত।

ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণঃ

ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণের কথা বলতে গেলে অনেক পুষ্টিগুণের কথা বলা যায়।আয়রন,ক্যালরি,ভিটামিন সি,ম্যাগনেশিয়াম সহ নানান পুষ্টিগুণে টইটম্বুর এই ফল।শরীরের শক্তি বাড়াতে এই ফলের তুলনা হয় না।এছাড়া ড্রাগন ফলের জুস দেখতে যতটা আকর্ষনীয় তার চেয়ে বেশি সুস্বাদু বলা যায়।

ইমিউনিটি বৃদ্ধিঃড্রাগন ফল শরীরের ইমিউনিটি বাড়াতে অনেকটা উপকারী।শারীরিক বিভিন্ন পরিশ্রমের কারণে আমাদের শরীর দূর্বল হয়ে পড়ে।এই দূর্বলতা কাটানোর জন্য ড্রাগন ফলের তুলনা হয় না।

ভিটামিন সিঃ ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা আমাদের শরীরের আইরন বাড়াতে সাহায্য করে এছাড়া শরীরের শ্বেত রক্তকনিকাকে সুরক্ষা রাখতে সহায়তা করে।

প্রিবায়োটিকঃ আমাদের শরীরে এমন অনেক ব্যাকটেরিয়ার বসবাস যা আমাদের শরীরকে দিনের পর দিন ক্ষতির দিকে ধাবিত করতে থাকে।আর এই ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়ায় করার জন্য ড্রাগন ফলের মধ্যে বিদ্যমান প্রিবায়োটিকস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ক্যালোরিঃ ড্রাগন ফলে ৬০ক্যালোরি শক্তি পাওয়া যায় যা আপনার শরীরের সতেজতা বাড়ায়।

প্রোটিনঃ ড্রাগন ফলে প্রোটিনের পরিমাণ খুবই কম বলা যায়।

চর্বিঃ ফ্যাটের পরিমান ০।ড্রাগন ফল আপনার ফ্যাট বাড়াবে না বললেই চলে।বরং ভিটামিন সি থাকায় শরীরে ফ্যাটের পরিমান কমাতে ফলটি আপনাকে সহযোগিতা করবে।

শেষ কথাঃ

ড্রাগন ফল দেখতে খুব একটা সুন্দর না হলেও এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর।একটা সময় এর দাম এত বেশি ছিল যে ক্রয় করা সবার সাধ্যের মধ্যে ছিল না।তবে খুশির খবর এই যে এই ফলের দাম দিন দিন কমছে।সবার নাগালে চলে এসেছে ড্রাগন ফল।

News Desk

Recent Posts

ঘরে রক্তচাপ মাপার সময় যে ভুলগুলো করবেন না

হাই প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপ হলো একটি ক্রনিক রোগ। অর্থাৎ দীর্ঘদিন ধরে এই রোগ থাকে। পাশাপাশি এর কারণে শরীরের অন্যান্য…

5 hours ago

সন্তানের মোবাইল আসক্তি কমাতে কী করবেন?

ছোট্ট সোনামনির হাতে কমবেশি সবাই মোবাইল তুলে দেন কোন না কোনো সময়। তবে কিছু সময়ের জন্য মোবাইল দেখা এক সময়…

7 hours ago

ক্যানসার হবে কি না জানতে পারবেন ৭ বছর আগেই

ক্যানসারের নাম শুনলেই কমবেশি সবাই আঁতকে ওঠেন। কঠিন এই ব্যাধি থেকে বাঁচতে সচেতনতা জরুরি। ক্যানসার রোগের আগাম খবর পেতে সারা…

1 day ago

নেবুলাইজার কেন ব্যবহার করা হয়?

হাঁপানি, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ও অন্যান্য শ্বাসনালির সংক্রমণজনিত রোগ তীব্র আকার ধারণ করলে নেবুলাইজার ব্যবহার করা হয়। রোগী যখন ইনহেলারের…

2 days ago

বারবার পানি পিপাসা লাগা কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো?

গরমে অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। ফলে বারবার পানি পিপাসা লাগা স্বাভাবিক। আর এ সময় প্রচুর পরিমাণ…

2 days ago

মসলা চা পানে মিলবে যেসব উপকার

দিনে বেশ কয়েকবার চায়ের কাপে চুমুক না দিলে অনেকেরই দিন কাটে না। বিভিন্ন ধরনের চায়ের মধ্যে মসলা চায়ের স্বাদও যেমন…

2 days ago