চোখ আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান অঙ্গ। কারণ এই দুটি চোখ দিয়েই আমরা পৃথিবীর সৌন্দর্য দেখতে পাই। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই চোখের প্রতি আমাদের সবচেয়ে বেশি যত্নশীল হওয়ার কথা। কিন্তু তা হচ্ছে কি? বর্তমানে দেখবেন, অনেক ছোট ছোট ছেলেমেয়ের চোখে চশমা পরতে হচ্ছে। এর কারণ হলো অপুষ্টি এবং যত্নহীনতা।
আমাদের জীবনযাপন অনেক গতিশীল হলেও নিজের প্রতি যত্নশীল থাকার কথা আমরা ভুলে যাচ্ছি। যে কারণে আমাদের মূল্যবান চোখও হারাচ্ছে তার দৃষ্টিশক্তি। আমাদের প্রতিদিনের ছোট ছোট ভুল এই সমস্যাকে আরও উসকে দিচ্ছে। আমরা হয়তো জানতেও পারছি না, অথচ আমাদেরই কিছু অভ্যাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চোখ। জেনে নিন কোন অভ্যাসগুলো চোখের সমস্যার জন্য দায়ী-
ভুল খাদ্যাভ্যাস
চোখ ভালো রাখতে চাইলে সবার আগে সঠিক রাখতে হবে খাদ্যাভ্যাস। পুষ্টিকর খাবারে এমন কিছু মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস থাকে যা চোখ ভালো রাখতে কাজ করে। কিন্তু আমরা সেসব মেনে চলি না। খাবারের তালিকার বেশিরভাগই থাকে পুষ্টিহীন। বাইরের মুখরোচক খাবার খেতেই আমরা বেশি পছন্দ করি। চিকিৎসকরা বলছেন, চোখ ভালো রাখতে চাইলে ভিটামিন সি, জিঙ্ক, লুটেন, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, জিয়েক্সানথিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার বিকল্প নেই। সেইসঙ্গে মৌসুমী ফল, শাক, সবজি ইত্যাদি খেতে হবে বেশি বেশি।
প্রোটেকটিভ চশমা ব্যবহার না করা
বাড়িতে থাকলে সারাক্ষণ স্ক্রিনে চোখ, বাইরে বের হলে ধুলো আর দূষণ। চোখ তো নষ্ট হবেই! এক্ষেত্রে আপনাকে সতর্ক হতে হবে। চোখ ভালো রাখার জন্য পরতে হবে প্রোটেকটিভ চশমা। এ ধরনের চশমা পরলে তা চোখের ওপর চাপ কম ফেলে। তাই কম্পিউটার স্ক্রিনের সামনে থাকলে বা বাইরে বের হলে অবশ্যই প্রোটেক্টিভ চশমা ব্যবহার করবেন।
চোখকে বিশ্রাম না দেওয়া
শরীরের সব অঙ্গেরই দরকার পড়ে বিশ্রাম নেওয়ার। চোখও তার ব্যতিক্রম নয়। আমরা যখন একনাগাড়ে টিভি, কম্পিউটার, মোবাইলসহ বিভিন্ন গ্যাজেটের দিকে তাকিয়ে থাকি, আমাদের চোখের দরকার পড়ে বিশ্রাম নেওয়ার। এরপর চোখে ব্যথা, জ্বালা, ড্রাই আই ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই একনাগাড়ে দীর্ঘ সময় কোনো স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। বরং চোখকে কিছু সময় বিশ্রাম দিন। চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকুন।
চোখ রগড়ানোর অভ্যাস
এই বদ অভ্যাস প্রায় সব মানুষেরই আছে। যখন তখন চোখ রগড়ানোর এই অভ্যাস আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আপাতদৃষ্টিতে নীরিহ এই কাজের কারণে চোখের ভেতরে লাগতে পারে আঘাত। তাই আপনার যদি চোখ রগড়ানোর অভ্যাস থাকে তবে তা আজই বাদ দিন।
নিয়মিত চোখ পরীক্ষা না করা
আমরা কেবল চোখে সমস্যা হলেই চিকিৎসকের কাছে যাই। কিন্তু সুস্থ চোখ পেতে চাইলে নিয়মিত পরীক্ষা করা জরুরি। কারণ চোখে কোনো সমস্যা হলে প্রাথমিকভাবে তা বোঝা যায় না। নিয়মিত পরীক্ষা করালেই কেবল তা ধরা পড়ে। তাই বছরে অন্তত একবার চোখের পরীক্ষা করান।
ক্যানসারের নাম শুনলেই কমবেশি সবাই আঁতকে ওঠেন। কঠিন এই ব্যাধি থেকে বাঁচতে সচেতনতা জরুরি। ক্যানসার রোগের আগাম খবর পেতে সারা…
হাঁপানি, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ও অন্যান্য শ্বাসনালির সংক্রমণজনিত রোগ তীব্র আকার ধারণ করলে নেবুলাইজার ব্যবহার করা হয়। রোগী যখন ইনহেলারের…
গরমে অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। ফলে বারবার পানি পিপাসা লাগা স্বাভাবিক। আর এ সময় প্রচুর পরিমাণ…
দিনে বেশ কয়েকবার চায়ের কাপে চুমুক না দিলে অনেকেরই দিন কাটে না। বিভিন্ন ধরনের চায়ের মধ্যে মসলা চায়ের স্বাদও যেমন…
হঠাৎ করেই কিডনির সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত গরমে পানিশূন্যতার কারণে হঠাৎই বিকল হতে পারে কিডনি। মূলত তাপমাত্রা ও…
কর্মব্যস্ত জীবনে কমবেশি সবাই এখন রেডিমেড খাবারের উপর নির্ভরশীল। এ কারণে বেশিরভাগ খাবারই এখন প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হয়। প্রায়…