আপনি কি নিয়মিত জিমে যাচ্ছেন, তাহলে যে কাজগুলো ভুলেও করবেন না, জেনেনিন

বর্তমানে প্রায় সবাই স্বাস্থ্যের ব্যাপারে অনেক সচেতন। কেননা বাড়তি ওজন শরীরের নানান রোগ ব্যাধি সৃষ্টি করছে। ওজন বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। তাই তো নিজেকে ফিট রাখতে সবাই ঝুঁকছেন কঠোর ডায়েট আর শরীরচর্চার দিকে। একদিকে যেমন শরীরে ওজন কমাতে সাহায্য করে তেমনি জয়েন্টের ব্যথা কমাতেও খুব কার্যকরী।

অনেকেই এজন্য জিমে যাচ্ছেন। বাড়িতে এতো এতো সরঞ্জাম কেনার সামর্থ্য এবং জায়গা অনেকেরই নেই। সেক্ষেত্রে অভিজ্ঞ ট্রেইনারদের কাছ থেকে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যায়ামও করতে পারবেন।

তবে জিমে গিয়ে অতি উৎসাহে অনেকেই বেশকিছু ভুল করে থাকেন। ওজন কমানোর জন্য মন দিয়ে ডায়েট, শরীরচর্চা করতে হবে ঠিকই কিন্তু তাই বলে প্রথম থেকেও অতিরিক্ত ওজন তোলা, খুব বেশি ডাম্বেল এক্সারসাইজ কিংবা প্রায় কিছুই না খেয়ে থাকা এগুলো কিন্তু একদম ঠিক নয়। প্রতিদিন কতটা ক্যালোরি ঝরাচ্ছেন তার যেমন হিসেব রাখতে হবে তেমনই ডায়েট চাটেও সমতা বজায় রেখে চলতে হবে।

যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন-

অবশ্যই ট্রেনারের পরামর্শ নিন
জিমে প্রথম দিন গিয়েই কোনো ওয়েট তুলবেন না। কারণ এতে পেশির ক্ষতি হয়। সেই সঙ্গে পেশির গঠনও ঠিকমতো হয় না। প্রথমে ফ্রি হ্যান্ড, স্ট্রেচিং এসব বেশি করে করুন। ওয়েট লিফটিং এর বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে। প্রথমেই বেশি ওজন তুললে পেশিতে টান লেগে যেতে পারে। সেখান থেকে আসতে পারে স্নায়ুর সমস্যা।

প্রতিদিন কতখানি ক্যালোরি বার্ন হচ্ছে হিসাব রাখুন
একদিনেই আপনার ওজন কমে যাবে না। আর তাই একটা টার্গেট সেট করে সেই মতো অভ্যাস করুন। প্রথম সপ্তাহেই ২০ কেজি ওজন তুলবেন না। বরং বিভিন্ন ব্যায়ামের সংখ্যা বাড়ান। প্রথম দুদিন দুই সেট করে হলে পরদিন তিন সেট করে অভ্যাস করুন। এই ভাবে আস্তে আস্তে অভ্যাস করলে আপনি ২৫ কেজি পর্যন্ত ওয়েট লস করতে পারবেন।

ডায়েট চাট মেনে চলুন
প্রতিদিন খাবারের মধ্যেও সমতা বজায় রাখুন। ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট এগুলোর মধ্যেও সমতা বজায় রাখুন। শুধু প্রোটিন যেমন শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর তেমনই সবজি সিদ্ধ আর ফলেই যে শরীর পুরোপুরি পুষ্টি পায় এমন নয়। আর তাই এই খাবারের মধ্যে সমতা রাখুন। আর একই ডায়েট দীর্ঘদিন নয়, আড়াই মাস অন্তর ডায়েটও পরিবর্তন করুন।

অনেকেই ভাবেন জিম করলেই ওজন কমে যাবে। বিষয়টা এমন নয়। ধৈর্য ধরে নিয়ম মেনে জিম করুন। কারণ ওজন কমানোর এই জার্নিটা কিন্তু দীর্ঘ সময়ের। সবার বডি টাইপ, ওজনের ওপর নির্ভর করে অন্তত তিন মাস সময় দিতেই হবে। একটানা তিন মাস ডায়েট, শরীরচর্চা করলে ওজন যেমন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে তেমনই বডি খানিক টোনড হবে।

News Desk

Recent Posts

ক্যানসার হবে কি না জানতে পারবেন ৭ বছর আগেই

ক্যানসারের নাম শুনলেই কমবেশি সবাই আঁতকে ওঠেন। কঠিন এই ব্যাধি থেকে বাঁচতে সচেতনতা জরুরি। ক্যানসার রোগের আগাম খবর পেতে সারা…

18 hours ago

নেবুলাইজার কেন ব্যবহার করা হয়?

হাঁপানি, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ও অন্যান্য শ্বাসনালির সংক্রমণজনিত রোগ তীব্র আকার ধারণ করলে নেবুলাইজার ব্যবহার করা হয়। রোগী যখন ইনহেলারের…

2 days ago

বারবার পানি পিপাসা লাগা কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো?

গরমে অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। ফলে বারবার পানি পিপাসা লাগা স্বাভাবিক। আর এ সময় প্রচুর পরিমাণ…

2 days ago

মসলা চা পানে মিলবে যেসব উপকার

দিনে বেশ কয়েকবার চায়ের কাপে চুমুক না দিলে অনেকেরই দিন কাটে না। বিভিন্ন ধরনের চায়ের মধ্যে মসলা চায়ের স্বাদও যেমন…

2 days ago

গরমে বাড়তে পারে কিডনির সমস্যা, কীভাবে সতর্ক থাকবেন?

হঠাৎ করেই কিডনির সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত গরমে পানিশূন্যতার কারণে হঠাৎই বিকল হতে পারে কিডনি। মূলত তাপমাত্রা ও…

2 days ago

খাবার কেনার আগে প্যাকেটের কোন লেখা অবশ্যই পড়বেন?

কর্মব্যস্ত জীবনে কমবেশি সবাই এখন রেডিমেড খাবারের উপর নির্ভরশীল। এ কারণে বেশিরভাগ খাবারই এখন প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হয়। প্রায়…

3 days ago