পেঁপে শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়, পুষ্টিগুণে ভরপুর হওয়ায় এটি স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। পেঁপে ভিটামিন এ, বি এবং সি সমৃদ্ধ। এতে প্যাপেইনের মতো অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। এই কারণেই পেঁপে ঘরোয়া উপায় হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এটি ত্বকের জন্যও উপকারী। এর ব্যবহারে বলিরেখা কমানো যায় এবং ব্রণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
আজ এই পোস্টে ত্বকের জন্য পেঁপের উপকারিতা এবং কীভাবে এটি প্রয়োগ করা যায় তা সম্পর্কে জানবো।
পেঁপে ত্বককে টোনড আপ রাখতে এবং তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। পেঁপেতে পাওয়া ভিটামিন-সি এবং লাইকোপেন শুধু ত্বককে রক্ষা করে না, ত্বকে বার্ধক্যের প্রভাব কমাতেও সাহায্য করে। আসুন জেনে নেই ত্বকের জন্য পেঁপের উপকারিতা সম্পর্কে-
ত্বক রক্ষা করতে পেঁপের ব্যবহার
একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, পেঁপে ভিটামিন-সি এবং লাইকোপিনের পাশাপাশি প্রচুর পুষ্টিগুণে ভরপুর। এই পুষ্টি উপাদানগুলি শুধুমাত্র ত্বককে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে না, ত্বকের সমস্যাগুলির সাথে লড়াই করে। পেঁপেতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, সূর্যের এক্সপোজারের ফলে সৃষ্ট সমস্যাগুলি থেকে ত্বককে পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করতে পারে।
এন্টি এইজিং সাইন
পেঁপে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, সি, কে, ই এবং বি এর পাশাপাশি ক্যালসিয়াম,পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো অনেক খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ। এটি ত্বককে বলিরেখা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বকে ফ্রি র্যাডিকেলের কারণে সৃষ্ট ক্ষতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে বার্ধক্যজনিত প্রভাব ও লক্ষণ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
ত্বকের এক্সফোলিয়েট হিসেবে কাজ করে
পেঁপেতে উপস্থিত Papain এনজাইম শুধুমাত্র অ্যান্টি-এজিং হিসেবেই কাজ করে না, এটি ত্বকের মৃত কোষকেও এক্সফোলিয়েট করে। ছিদ্র খোলার পাশাপাশি এটি ব্রণের কারণে সৃষ্ট দাগ দূর করতেও কাজ করে। এটি ত্বককে হাইড্রেট করতেও কাজ করে।
ব্রণ নিয়ন্ত্রণ করতে পেঁপের ব্যবহার
পেঁপেতে উপস্থিত প্যাপেইন এনজাইম ত্বকের পোরস বা ছিদ্রে আটকে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, ক্ষতিগ্রস্থ কেরাটিন অপসারণের ক্ষমতাও পেপেইনের রয়েছে। আসলে, ক্ষতিগ্রস্থ কেরাটিন ত্বকে বিস্তার হলে তা ছোট ছোট ফুসকুড়িতে রূপ নেয়। ২০১৭ সালের একটি গবেষণা অনুসারে, ব্রণের কারণে ত্বকের দাগ দূর করতে পারে প্যাপেইন।
পেঁপের ফেসপ্যাক দিয়ে পিগমেন্টেশন, ট্যানিং এবং অ্যান্টি-এজিং এর মতো অনেক সমস্যা দূর করা যায়। মজার ব্যাপার হল ,আপনি সহজেই ঘরে বসেই এই ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন। আসুন জেনে নেই ত্বকের ধরন অনুযায়ী পেঁপে ব্যবহারের পদ্ধতি সম্পর্কে-
মধু এবং পেঁপের মিশ্রণে তৈরি ফেইসপ্যাক শুষ্ক ত্বকের জন্য একটি ভাল ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করতে পারে। মধু এবং পেঁপে উভয়ই ত্বককে এক্সফোলিয়েট এবং হাইড্রেট করে। এটি ত্বককে নরম, মসৃণ এবং পুষ্ট করে।
ব্যবহারবিধি –
তৈলাক্ত ত্বকে পেঁপের ফেইসপ্যাক লাগালে তা ত্বকের আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ত্বক উজ্জ্বল করে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য তৈরি পেঁপের ফেইসপ্যাকে লেবুর রস বিশেষভাবে যোগ করা হয়।কিন্তু এর আগে অবশ্যই জেনে নিবেন আপনার লেবুতে এলার্জি আছে কিনা। এবং ত্বকে লেবু ব্যবহার এ অবশ্যই সর্তক থাকবেন।
ব্যবহারবিধি –
যাদের ব্রণের সমস্যা অনেক বেশি তাদের জন্য এই ফেইসপ্যাক কার্যকরী। এই ফেইসপ্যাকের জন্য ডিমের সাদা অংশ এবং পাকা পেঁপে প্রয়োজন ।এই ফেইসপ্যাকটি ত্বকের পোরস টাইট করতে, সিবামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ত্বকের উন্নতিতে সাহায্য করে থাকে।
ব্যবহারবিধি –
পেঁপেতে ত্বক উজ্জ্বল করার গুনাগুন রয়েছে, যা ট্যান, বলিরেখা এবং ত্বকের নিস্তেজ ভাব দূর করতে সাহায্য করে। পিগমেন্টেশন এবং উজ্জ্বল ত্বকের জন্য পেঁপের ফেইসপ্যাকে টমেটোর রস ব্যবহার করা প্রয়োজন। টমেটো ট্যান কমাতে সাহায্য করে।
ব্যবহারবিধি –
ডিমের সাদা অংশ দিয়ে পেঁপের ফেইসপ্যাক ত্বক টানটান করতে সাহায্য করে। ডিমের সাদা অংশ ত্বককে টানটান করার পাশাপাশি ত্বকের পোরস কমাতে কাজ করে। পেঁপের সাথে ডিমের এই সাদা অংশ মেশানো হলে, এটি ত্বকের কোলাজেনকে প্রভাবিত করে, যা ত্বককে টোনডআপ এবং উজ্জ্বল করে তোলে।
ব্যবহারবিধি –
ক্লক হয়ে যাওয়া ওপেন পোরস ত্বকে নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে এবং এই ক্ষেত্রে পেঁপে এবং চন্দন এর ফেইসপ্যাক উপকারী হতে পারে। যদিও মধু একটি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট হিসাবে কাজ করে, চন্দন পাউডার ব্রণের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। পেঁপে, চন্দন এবং মধুর মিশ্রণ ব্রণ দূর করতে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করতে কাজ করে।
ব্যবহারবিধি –
সারসংক্ষেপ
পেঁপে অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর। পেঁপে বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলি কমিয়ে ত্বককে মসৃণ করে এবং তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করতে পারে। শুধু ডায়েটেই নয়, ত্বকের যত্নের রুটিনেও পেঁপে অন্তর্ভুক্ত করার অনেক উপকারিতা রয়েছে। পেঁপেতে উপস্থিত এনজাইমগুলি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ। বলিরেখা, ত্বকের ঝুলে পড়া ভাব এবং ব্রণের সমস্যায় পেঁপেতে বিদ্যমান এই সব গুণাগুণ খুবই কার্যকর
ডিম সেদ্ধ খেতে অনেকেই কমবেশি ভালবাসেন। তবে কারও কারও কাছে বেশি জনপ্রিয় ভাজা ডিম। ভেজে বা অমলেট বানিয়ে ডিম খেতেই…
বর্তমানে ডায়াবেটিস প্রতিটি ঘরে ঘরেই দেখা দিচ্ছে। ছোট থেকে বুড়ো সবার শরীরেই বাসা বাঁধছে দীর্ঘমেয়াদী এই ব্যাধি। একবার ডায়াবেটিস ধরা…
মুখের ভেতরে ঘা হওয়ার সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। ভিটামিন স্বল্পতার কারণেই মাউথ আলসারের সমস্যা বেশি দেখা যায়। তবে এই সমস্যাকে…
সকালে উঠে মৌরি ভেজানো পানি পান করে অনেকেই দিন শুরু করেন। মূলত পেট পরিষ্কার করতে এর উপর ভরসা রাখেন অনেকে।…
সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চা বা কফিতে চুমুক না দিলে যেন শরীর ও মন চাঙ্গা হয়ে ওঠে না।…
শীত শেষে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে এরই মধ্যে। প্রায় সব ঘরেই দিন-রাতে চলছে ফ্যান বা এসি। ঋতু পরিবর্তনের এ সময়…