আপনার সহকর্মী কি আপনাকে হিংসা করছে, তাহলে জেনেনিন আপনার যা যা করণীয়

দিনের বেশিরভাগ সময় মানুষ কর্মক্ষেত্রে কাটায়। তাই সহকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখাটা জরুরি।

সেটা না হলে কর্মময় জীবন হয়ে উঠতে পারে যন্ত্রণাময়। অফিসে সহকর্মীর সঙ্গে সু-সম্পর্ক তৈরি হলে কাজের গতি বাড়ার সঙ্গে নিজের মনে স্বস্তি ফিরে আসে। তবে এমন কোন কর্মক্ষেত্র নেই যেখানে আপনি ঈর্ষান্বিত সহকর্মী পাবেন না। বিষাক্ততার মাত্রা কম-বেশি হতে পারে তবে সব জায়গায় এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন যার যেকোনো কারণে আপনার সাথে সমস্যা লেগে থাকবে।

আপনি ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেন, আরও ভালো যোগাযোগ রয়েছে, তারা মনে করে বসের কাছে আপনি গুরুত্বপূর্ণ, আপনি ভালো পোশাক পরেন, হতে পারে এরকম যেকোনো কিছু! কিন্তু এরকম মানুষের সঙ্গে ধৈর্য ধরে একই কর্মক্ষেত্রে কীভাবে কাজ করবেন?

জেনে নিন ঈর্ষান্বিত বা হিংসুটে সহকর্মীকে মোকাবিলা করার উপায়-

ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না

হিংসা মূলত একজন ব্যক্তির নিজের নিরাপত্তাহীনতার প্রতিফলন। বাস্তবে আপনার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। তাই পরেরবার যদি কেউ আপনার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়, তবে এটি ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না কারণ এটি তাদের সমস্যা আপনার নয়।

শেয়ারিং

কাজ জানেন বলেই সব নিজে একা করতে যাবেন না। যদি সম্ভব হয় তবে সহকর্মীদের সঙ্গে কাজগুলো ভাগ করে নিতে পারেন। একজন দক্ষ কর্মী কিন্তু এমনটাই করবেন। এমনটা করলে সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকবে, আমি একাই সব পারি- এ ধরনের ক্ষতিকর আত্মতৃপ্তিতেও ভুগতে হবে না।

নীরবতা

যদি আপনার কাছে চমক দেওয়ার মতো কোনো খবর থাকে, আপনার পদমর্যাদা বাড়ানো হয়েছে এমন কিছু দেওয়া হয়েছে যা গর্ব প্রকাশ করতে পারে তবে চুপ থাকুন। আপনার কাছের মানুষদের সঙ্গে এটি শেয়ার করুন, তারা আপনার সঙ্গে আনন্দ করবে। আপনি যদি অফিসেই এমনটা প্রকাশ করেন, তখন অন্যরা আপনাকে একজন অহংকারী ব্যক্তি মনে করতে পারে। তাই চুপ থাকলে কেউ কিছু বলতে পারবে না।

ভালোর দিকে মনোযোগ দিন

সব সময় মনে রাখবেন যে আপনি প্রত্যেককে খুশি করতে পারবেন না। তাই, আপনার চারপাশের ভালো মানুষদের দিকে মনোযোগ দেওয়াই ভালো। যে আপনার মতামতকে গুরুত্ব দেয় তাকে গুরুত্ব দিন। বিদ্বেষীরা সব সময় বিদ্বেষীই হবে।

ক্ষমা চাওয়া বন্ধ করুন

আপনি যা করেননি তার জন্য কখনোই দুঃখিত বলবেন না। আপনি কিছু অর্জন করলে তা নিয়ে খুশি থাকুন, তাকে ছোট করবেন না এবং এর জন্য ক্ষমাপ্রার্থী হবেন না। শুধু শো অফ থেকে বিরত থাকুন। অভিনন্দন গ্রহণ করুন এবং তারপরে আপনার কাজে মনোযোগ দিন। কেউ ঈর্ষান্বিত হলে এটা তাদের সমস্যা। আপনার কৃতিত্ব খুশি থাকার অধিকার অবশ্যই আপনার রয়েছে।

News Desk

Recent Posts

ঘরে রক্তচাপ মাপার সময় যে ভুলগুলো করবেন না

হাই প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপ হলো একটি ক্রনিক রোগ। অর্থাৎ দীর্ঘদিন ধরে এই রোগ থাকে। পাশাপাশি এর কারণে শরীরের অন্যান্য…

1 hour ago

সন্তানের মোবাইল আসক্তি কমাতে কী করবেন?

ছোট্ট সোনামনির হাতে কমবেশি সবাই মোবাইল তুলে দেন কোন না কোনো সময়। তবে কিছু সময়ের জন্য মোবাইল দেখা এক সময়…

3 hours ago

ক্যানসার হবে কি না জানতে পারবেন ৭ বছর আগেই

ক্যানসারের নাম শুনলেই কমবেশি সবাই আঁতকে ওঠেন। কঠিন এই ব্যাধি থেকে বাঁচতে সচেতনতা জরুরি। ক্যানসার রোগের আগাম খবর পেতে সারা…

1 day ago

নেবুলাইজার কেন ব্যবহার করা হয়?

হাঁপানি, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ও অন্যান্য শ্বাসনালির সংক্রমণজনিত রোগ তীব্র আকার ধারণ করলে নেবুলাইজার ব্যবহার করা হয়। রোগী যখন ইনহেলারের…

2 days ago

বারবার পানি পিপাসা লাগা কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো?

গরমে অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। ফলে বারবার পানি পিপাসা লাগা স্বাভাবিক। আর এ সময় প্রচুর পরিমাণ…

2 days ago

মসলা চা পানে মিলবে যেসব উপকার

দিনে বেশ কয়েকবার চায়ের কাপে চুমুক না দিলে অনেকেরই দিন কাটে না। বিভিন্ন ধরনের চায়ের মধ্যে মসলা চায়ের স্বাদও যেমন…

2 days ago