নানা কারণেই শরীরের বিভিন্ন অংশের ত্বকের ফাটা দাগের সমস্যাটি দেখা দেয়। ত্বকের কোন অংশে টান পড়ার ফলে স্থান সংকুলানের জন্য ত্বক ফেটে যায়। ত্বকের ফাটা দাগ পুরোপুরিভাবে দূর করা কখনোই সম্ভব নয়। তবে প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার ফাটা দাগের অংশের লালচে ভাব কমে আসে এবং ফাটা দাগ প্রকট থেকে কমে যায় অনেকটাই।
অ্যালোভেরা এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান, যা চুল, ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য সমানভাবে উপকারিতা বহন করে। উপকারী এই উপাদানের সাথে অন্যান্য আরও কিছু উপাদানের ব্যবহার ত্বকের ফাটা দাগের জন্য ইতিবাচক প্রভাব আনবে।
অ্যালোভেরা ও নারিকেল তেলের মিশ্রণ
নারিকেল তেলের ময়েশ্চারাইজিং প্রভাব ত্বককে আর্দ্রতাপূর্ণ রাখতে ও ত্বকে ইলাস্টিসিটি বাড়াতে কাজ করে। এছাড়া ত্বকের কোলাজেন তৈরির হার বৃদ্ধিতেও অবদান রাখে নারিকেল তেল। উপকারী এই উপাদানটি অ্যালোভেরার সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের ফাটা দাগের সমস্যাটি অনেকখানি কমে আসবে।
ব্যবহারের জন্য এক টেবিল চামচ নারিকেল তেল এবং এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা পাতার জেল একসাথে মিশিয়ে ত্বকের ফাটা অংশে ম্যাসাজ করতে হবে। এরপর সারারাতের জন্য রেখে দিয়ে সকালে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে এই নিয়মে দুইবার এই মিশ্রণ ব্যবহার করতে হবে।
অ্যালোভেরা ও কফির মিশ্রণ
কফি গুঁড়া ত্বকের উপরিভাগ থেকে মরা চামড়া তুলে ফেলতে সবচেয়ে ভালো কাজ করে। অ্যালোভেরা জেলের সাথে মিশিয়ে ত্বকের ফাটা অংশে ব্যবহারে ত্বক কোমল হওয়ার পাশাপাশি ত্বক উজ্জীবিত হয়। ব্যবহারের জন্য এক টেবিল চামচ কফি গুঁড়ার সাথে ১-২ টেবিল চামচ ফ্রেশ অ্যালোভেরা পাতার জেল মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি ত্বকের ফাটা অংশে পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করে এরপর ১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিতে হবে। এরপর ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে অন্তত তিনবার এই নিয়মটি মেনে চলতে হবে।
অ্যালোভেরা ও ক্যাস্টর অয়েলের মিশ্রণ
ক্যাস্টর অয়েলে থাকা রিসিনোলিয়েক অ্যাসিড (Ricinoleic Acid) ত্বকের সমস্যায় ক্ষেত্র বিশেষে খুব ভালো কাজ করে। এছাড়াও ত্বকের প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্যেও ক্যাস্টর অয়েল খুব ভালো কাজ করে। ব্যবহারের জন্য আধা চা চামচ ক্যাস্টর অয়েল ও এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা পাতার জেল একসাথে মিশিয়ে ত্বকের ফাটা দাগযুক্ত স্থানে ধীরে ম্যাসাজ করতে হবে এবং এরপর ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে। সময় হয়ে গেলে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। এই নিয়মে সপ্তাহে ২-৩ বার অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে হবে।
অ্যালোভেরা ও গোলাপজলের মিশ্রণ
ঐতিহ্যগতভাবে গোলাপজল ব্যবহার করা হয় ক্ষত সারাতে এবং ত্বকের সুস্বাস্থ্য রক্ষার্থে। গোলাপজল হয়তো পুরোপুরিভাবে ত্বকের ফাটা দাগ দূর করতে পারবে না, তবে ত্বককে তুলনামূলক সুস্থ ও সুন্দর করে তুলবে। এছাড়া গোলাপজলের সাথে অ্যালোভেরার জেলের মিশ্রণ ত্বকের ফাটা অংশের লালচে ভাব কমিয়ে আনতেও কাজ করবে।
ব্যবহারের জন্য দুই টেবিল চামচ ফ্রেশ অ্যালোভেরা জেল ও এক টেবিল চামচ গোলাপজল ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণটি ত্বকের ফাটা অংশে তুলার বলের সাহায্যে ম্যাসাজ করে সারারাতের জন্য রেখে দিতে হবে। সকালে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। সপ্তাহে ৩-৪ দিন এই নিয়মে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে হবে।
মানব শরীরের গুরুত্বপূর্ণ এক অঙ্গ হলো ফুসফুস। এর সাহায্যেই শরীরে পৌঁছায় অক্সিজেন। আর এই অঙ্গের সাহায্যেই অক্সিজেন মিশে যায় রক্তে।…
অনেকের ত্বকেই অতিরিক্ত আঁচিল দেখা দেয়। নারী-পুরুষ উভয়েরই আঁচিল হওয়ার প্রবণতা থাকতে পারে। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আঁচিল হওয়ার…
ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় বর্তমানে অনেকেই ভুগছেন। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা আবার দু’ভাবে বিভক্ত- অ্যালোহলিক ও নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। অ্যালকোহলিক ফ্যাটি…
তালের শাঁস বাজারে এখন বেশ সহজলভ্য। গরমেই ফলটির দেখা পাওয়া যায়। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। গরমে…
গরমে সুস্থ থাকতে কমবেশি সবারই উচিত ডাবের পানি পান করা। কারণ এ সময় ডিহাইড্রেশনের হার বেড়ে যায়। তবে এই গরমে…
অনেকেই বাথরুমে টুথব্রাশ রেখে দেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বাথরুমে টুথব্রাশ না রাখাই ভালো, কারণ এতে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক বাসা বাঁধতে…