নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে ছিলেন আরাম করে। হঠাৎ নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে এলো, ভেঙে গেল ঘুম। ঘুম ভেঙেই ক্ষান্ত নয়, আটকে যাওয়া দম ফেরাতে হতে হলো গলদঘর্ম। জল খেয়ে, বড় বড় শ্বাস নিয়ে এরপর কিছুটা স্থিতিশীল হওয়া গেল। এই দৃশ্য যদি আপনার কাছেও পরিচিত লাগে তবে জেনে নিন, এই সমস্যার বৈজ্ঞানিক নাম স্লিপ অ্যাপনিয়া। এ ধরনের অভিজ্ঞতা বেশিরভাগের জন্যই ভয়াবহ।
ঘুমে থাকাকালীন হঠাৎই নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসার সমস্যা হতে পারে অনেকের। গবেষকরা বলছেন, এই সমস্যার কারণ হতে পারে জিহ্বায় বাড়তি চর্বি বা মোটা জিহ্বা। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনটাই দেখা গেছে। স্লিপ অ্যাপনিয়ার ক্ষেত্রে এ সমস্যা ছাড়াও ঘুমের ভেতর জোরে নাক ডাকার সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিঃশ্বাসের শব্দও জোরে হতে পারে। আবার অনেক সময় নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হলে ঝাঁকুনি দিয়ে ঘুম ভেঙে যায়। ঘুমে ব্যঘ্যাত হলে পরদিন সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব থেকে যায়।
নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া ছাড়াও স্লিপ অ্যাপনিয়ায় ভোগা ব্যক্তিরা ঘুমের মধ্যে জোরে নাক ডাকেন বেশি। তাদের নিঃশ্বাসে উঁচু শব্দ যুক্ত হতে পারে এবং অনেক সময় নিঃশ্বাস না নিতে পারার কারণে ঘুমের মধ্যে তাদের শরীর ঝাঁকুনি দিয়ে ওঠে। এসব কারণে তাদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, পরবর্তীতে যা অনেক বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে। এসব রোগীদের অনেকেরই তাই পরদিন ঘুম ঘুম ভাব থাকে।
শুধু স্বাস্থ্যবান হলেই যে এমন সমস্যা হতে পারে তা কিন্তু নয়। বরং স্বাস্থ্যবান না হলেও জিহ্বা চর্বিযুক্ত হতে পারে। গবেষকরা এমন সব খাবারের সন্ধান করছেন, যেগুলো জিহ্বায় চর্বি কম যোগ করে থাকে।
গবেষকরা বলছেন, এটি জন্মগত অথবা পারিপার্শ্বিক কারণে হতে পারে। জিহ্বায় চর্বি যত কম, ঘুমের মধ্যে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসার সমস্যাও তত কম হবে বলে মনে করেন তারা। এই সমস্যার অন্যতম একটি দিক হলো ঘুমন্ত অবস্থায় শ্বাসনালীর উপরের আংশিক অথবা পুরোটা আটকে যাওয়া। যাদের ঘাড় ও টনসিল বড় বা ওজন বেশি তাদের এতে আক্রান্ত হওয়ার ভয় বেশি থাকে।
গবষেণাটি করা হয় ৬৭ জন স্থূলকায় ব্যক্তির ওপর। গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন, স্থূলকায় ব্যক্তিরা তাদের ওজন দশ শতাংশ কমানোর পর স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণগুলো প্রায় ত্রিশ শতাংশ কমে গেছে। ওজন হ্রাসের পর তাদের শ্বাসনালীর উপরের অংশের আকার পরীক্ষা করে এই পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে পারেন গবেষকরা।
ওজন হ্রাস হলে চোয়ালের মাংসপেশিও কমে যায় কিছুটা। আমাদের শ্বাসনালীর দুইপাশের অংশ নিয়ন্ত্রণ করে চোয়ালের মাংসপেশী। তাই চোয়ালের মাংসপেশী কমে গেলে উপকার পাওয়া যায়।
ব্রিটিশ লাঙ ফাউন্ডেশনের চিকিৎসক নিক হপকিনস জানিয়েছেন, ওজন হ্রাসের মাধ্যমে শ্বাসনালীর উপরের অংশ সরু হয়ে যাওয়া ঠেকানো যায়। তবে জিহ্বার চর্বি কমানোর কার্যকরী কোনো পদ্ধতি এখনও জানা নেই। তাই স্লিপ অ্যাপনিয়ায় ভুগলে তাদের জন্য কার্যকরী সমাধান এই গবেষণায় পাওয়া যায়নি।rs
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা বেশ মুশকিল। যদিও সঠিক জীবনযাত্রা ও শরীরচর্চার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এমনকি এর থেকে মুক্তিও মেলে।…
সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুম অধিক জরুরি। এ কারণেই প্রতিদিন নির্দিষ্ট কয়েক ঘণ্টা সবাইকে ঘুমাতে হয়। ঘুমানোর ফলেই শরীরে মেলে বিশ্রাম। শুধু…
রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর অনেকেই জানতে পারেন হিমোগ্লোবিনের ঘাটতিতে ভুগছেন তিনি। এ সমস্যায় কমবেশি সবাই ভুগে থাকেন। তবে ক্রমশ…
অনেকেই ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে চিনি খাওয়া এড়িয়ে চলেন। আবার বেশি চিনি খাওয়া রক্তে শর্করা বাড়িয়ে দিয়ে নানান রোগের সৃষ্টি…
কান শরীরের গুরুত্বপূর্ণ এক অঙ্গ। তবুও বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই অঙ্গটি নিয়ে উদাসীনতা দেখা যায়। গোসল করতে গিয়ে কানে পানি ঢুকে…
বয়স বাড়তেই বাবা-মা সন্তানের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। আর সন্তানেরও উচিত এ সময় বাবা-মায়ের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হওয়া। বিশেষ করে…