ফুসফুস আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এই অঙ্গটির মাধ্যমেই শ্বাস, প্রশ্বাস ক্রিয়া চলে। শরীরে অক্সিজেন প্রবেশ করে এবং বেরিয়ে যায় কার্বন ডাই অক্সাইড। তবে দুঃখের খবর হলো, ক্যান্সারের করাল গ্রাস ছাড়েনি এই অঙ্গটিকেও। এই বিশেষ অঙ্গেও ক্যান্সার হয়। আর শুধু ক্যান্সার হয় না, ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে এই ক্যান্সার।
শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে কায়ন্সারের প্রধান কারণ হলো ধূমপান। নিয়মিত ধূমপানকারীদের মধ্যে এই রোগ খুব বেশি দেখা যায়। তাই চিকিৎসকরা মানুষকে ধূমপান না করার বিষয়ে সচেতন করেন। যদিও ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে ধূমপান না করা মানুষের মধ্যেও এই রোগ হানা দিচ্ছে। আর শুধু হানা দিচ্ছে না, দিনদিন এই সংখ্যাটা বেড়েই চলেছে। তাই প্রতিটি মানুষকেই সতর্ক থাকতে বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
ক্যানসার ও নন স্মোকার্স
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধূমপানের জন্য হওয়া ক্যান্সার এবং ধূমপান না করেও হওয়া ক্যান্সারের মধ্যে তফাত রয়েছে। এক্ষেত্রে দু’টি যেন আলাদা রোগ, এমনটাই মনে হবে। এক্ষেত্রে ধূমপান করা ব্যক্তিদের অনেক কম বয়সেই হয় ক্যান্সার। অপরদিকে ধূমপান না করা ব্যক্তিদের একটু বেশি বয়সে ফুসফুসের ক্যান্সার রোগটি হয়। এক্ষেত্রে ধূমপান না করা মানুষদের খুব চেনা কয়েকটি কারণেই এই রোগটি হয়।
১. পরোক্ষে ধূমপান: আপনি ধূমপান করেন না। কিন্তু ধূমপায়ীদের সাথে থাকেন। তারা ধূমপান করার সময় সাথে থাকেন। এছাড়া অনেক সময় মানুষ না চাইলেও তার সামনে অনেকে ধূমপান করেন। এক্ষেত্রে ধূমপান না করার পরও মানুষের শরীরে পৌঁছে যায় সিগারেটের বিষাক্ত ধোঁয়া। এই কারণেও হয় ধূমপান। এক্ষেত্রে প্যাসিভ স্মোকিং করা মানুষের ২৫ শতাংশ ক্ষেত্রে ধূমপানের আশঙ্কা থাকে।
২. বায়ু দূষণ: বর্তমানে মানুষ আধুনিকতার চরম শিখরে পৌঁছে গেছে। তবে এই আধুনিক যুগ আপনার সামনে এনেছে অনেক সমস্যার কারণও। এমনই একটি সমস্যা হলো বায়ু দূষণ। কল কারখানা হোক আর গাড়ির ধোঁয়া, বাতাসে মিশছে সব বিষাক্ত পদার্থ। এই পদার্থ অনায়াসে বাধাতে পারে রোগ। এমনকী দীর্ঘদিন এই বায়ুদূষণের মধ্যে থাকলে একটা সময় হতে পারে ফুসফুসের ক্যান্সার। তাই এখন সচেতন থাকা ছাড়া কোনো গতি নেই।
৩. অ্যাসবেস্টস: অ্যাসবেস্টস হলো একধরনের খনিজ। দেখা গিয়েছে, যেই সকল মানুষ এই খনিজ নিয়ে কাজ করেন, অর্থাৎ যাদের নাক দিয়ে এই খনিজ সরাসরি ফুসফুসে পৌঁছায় তাদের ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেশি।
৪. রেডন গ্যাস: ইউরেনিয়াম নষ্ট হয়ে গেলে তার থেকে বেরিয়ে আসে রেডন গ্যাস। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দীর্ঘদিন এই রেডন গ্যাসের সম্পর্কে থাকলে দেখা দিতে লাং ক্যান্সার।
ক্যানসারের নাম শুনলেই কমবেশি সবাই আঁতকে ওঠেন। কঠিন এই ব্যাধি থেকে বাঁচতে সচেতনতা জরুরি। ক্যানসার রোগের আগাম খবর পেতে সারা…
হাঁপানি, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ও অন্যান্য শ্বাসনালির সংক্রমণজনিত রোগ তীব্র আকার ধারণ করলে নেবুলাইজার ব্যবহার করা হয়। রোগী যখন ইনহেলারের…
গরমে অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। ফলে বারবার পানি পিপাসা লাগা স্বাভাবিক। আর এ সময় প্রচুর পরিমাণ…
দিনে বেশ কয়েকবার চায়ের কাপে চুমুক না দিলে অনেকেরই দিন কাটে না। বিভিন্ন ধরনের চায়ের মধ্যে মসলা চায়ের স্বাদও যেমন…
হঠাৎ করেই কিডনির সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত গরমে পানিশূন্যতার কারণে হঠাৎই বিকল হতে পারে কিডনি। মূলত তাপমাত্রা ও…
কর্মব্যস্ত জীবনে কমবেশি সবাই এখন রেডিমেড খাবারের উপর নির্ভরশীল। এ কারণে বেশিরভাগ খাবারই এখন প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হয়। প্রায়…