ঘরে বসে টানা কম্পিউটার বা ল্যাপটপে অফিসের কাজ করছেন। কাজ থেকে উঠে কিছুক্ষণ পরই হয়তো দেখছেন টিভি। অথবা সামাজিক মাধ্যমে ঢু মারতে চোখ রাখছেন মোবাইল স্ক্রিনে!
আগে এসব করলেও তার সঙ্গে ছিল কিছু নিয়মও। যেমন- অফিসের কাজ করার সময় কম্পিউটারের মনিটর থেকে চোখের দূরত্ব থাকত। কিন্তু এখন ঘরে বসে কখনো ল্যাপটপ উরুর ওপর, আবার কখনো বিছানাতেই শুয়ে-বসে কাজ করছেন। এতে দূরত্বের বিষয়টি গুলিয়ে যাচ্ছে!
ফলে দিনের শেষে চোখ জ্বালা, চোখে অস্বস্তি, চোখ লাল হওয়া, ভারী ভাব, ঝাপসা দেখা, কপাল-ঘাড়-পিঠ-মাথা ব্যথা, সবই জেঁকে বসছে।
ভারতের বিখ্যাত চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সুমিত চৌধুরী জানাচ্ছেন চোখের বিশ্রামের কিছু নিয়ম। যা মেনে চললে চোখ জ্বালা, ঝাপসা দেখাসহ দূর হবে কিছু সমস্যা।
চোখের বিশ্রামে ডা. সুমিত চৌধুরীর পরামর্শগুলো:
• কম্পিউটারে ৩০-৪৫ মিনিট কাজ করার পর ৫-১০ মিনিটের বিরতি নিন। এক গ্লাস জল খান। সেসময় চোখের কোনো কাজ করবেন না।
• সঠিক উচ্চতার চেয়ার-টেবিলে বসে মনিটর কমপক্ষে ২২ ইঞ্চি দূরে রেখে কাজ করুন। ঘরের আলোর উজ্জ্বলতা যেন মনিটর থেকে একটু কম থাকে।
• বই পড়া বা দূরে দেখার চশমা পরে কাজ করলে সমস্যা হতে বাধ্য। কম্পিউটারে কাজ করার জন্য আলাদা চশমা লাগে। সেটা পরে কাজ করুন।
• এক-আধা ঘণ্টা পরপর টেবিলে দু-কনুই রেখে হাতের তালুতে চোখ দুটো চেপে ধরে রাখুন ২-৩ মিনিট। মাঝে মাঝে চোখে-মুখে ঠান্ডা জলর ঝাপটা দিন। চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকুন।
• ২০ মিনিট অন্তর মনিটর থেকে চোখ সরিয়ে ২০ ফুট দূরের কিছুর দিকে ২০ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকুন। চোখের পলক ফেলুন ২০ বার।
• ঘুমের সমস্যা থাকলে শোওয়ার দু-ঘণ্টা আগে টিভি, ল্যাপটপ, মোবাইল বন্ধ করে দিন। মোবাইল বা ল্যাপটপের স্ক্রিন থেকে যে নীল আলো বের হয় তাতে অনেক সময় ঘুমের ব্যাঘাত হয়।
চোখের বিশ্রামের নিয়ম মেনেও সমস্যা না কমলে চোখের ড্রপ দিতে হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার চোখের অবস্থা জটিল ধরে নিয়ে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে চিকিৎসা নিন।
গাড়ির আওয়াজে অনেকেরই বুক ধড়ফড় করতে শুরু করে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে, তীব্র যানজট ও সেই কারণে সৃষ্ট শব্দদূষণের সঙ্গে…
শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে ব্যস্ত হলো হৃৎপিণ্ড। এটি মানুষের জীবদ্দশায় কখনো বিশ্রাম নেয় না। দিনে অন্তত এক লাখ বার…
গরমে ত্বক হয়ে পড়ে নিষ্প্রাণ। তাই এ সময় ত্বকের জন্য দরকার বাড়তি যত্ন, না হলে ত্বক হারায় উজ্জ্বলতা ও সতেজতা।…
পটলের নাম শুনলে অনেকেই নাক সিঁটকায়। আবার অনেকেই আছেন, যারা ভাজা হোক বা ভর্তা, পটল খেতে ভালবাসেন। যারা নিয়মিত পটলের…
ডায়রিয়া, কলেরা, বমি, আমাশয়, পাতলা পায়খানা, অতিরিক্ত ঘাম বা অন্য যে কোনো কারণঘটিত পানিশূন্যতার ক্ষেত্রে খাবার স্যালাইন বা ওরাল স্যালাইন…
প্রচণ্ড এই গরমে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ফলে এ সময় খাদ্যতালিকায় বেশ কিছু ফল রাখা উচিত, যাতে গরমেও শরীর ঠান্ডা…