এখন সুস্থ থাকবে আপনার শরীর যদি নিয়মিত মানেন এই নিয়মবিধি গুলো, জেনেনিন

শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য খুব সাধারণ কয়েকটি বিষয় মেনে চলতে হয়। তবে সবসময় ও সঠিকভাবে যে সেই বিষয়গুলি মেনে চলা হয়, তা নয়। ফলে নানা সমস্যা দেখা দেয়। তাই নীচের কয়েকটি বিষয় দেখে নিন আর সুস্থ থাকুন।

ঠান্ডা লাগলে বা জ্বর হলে বেশি করে জল ও খাবার খেতে হবে। যেহেতু জ্বরে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, তাই শরীর আর্দ্র রাখতে জল বেশি খাওয়া উচিত। এতে শরীর সতেজ থাকে। শরীরের তাপমাত্রা একটু বেড়ে গেলেই সবাই চিকিৎসকের কাছে যান আর তাঁর পরামর্শে গুচ্ছের ওষুধ খান। কিন্তু প্রাথমিক অবস্থায় ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। তবে যদি জ্বর তিনদিনের বেশি থাকে এবং তাপমাত্রা ১০৩ ডিগ্রি বা তার বেশি হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

অনেকেই ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ নিয়ে দোটানায় থাকেন। ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ করুন সঠিক নিয়ম মেনে। শুধু ক্ষতস্থান জল দিয়ে ধুয়ে ব্যান্ডেজ করলেই হবে না। অনেকেই ক্ষত পরিষ্কারের জন্য হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ব্যবহার করেন। সবাই মনে করেন, ক্ষতস্থানে জ্বলুনির অর্থ রোগজীবাণু দূর করছে ওই মিশ্রণ। তবে ব্যাক্টেরিয়ার দমনে এই ধরনের অ্যান্টিসেপটিক প্রকৃতপক্ষে ততটা কার্যকর নয়। ক্ষত বেশি শুষ্ক থাকলে শুকিয়ে যাওয়ার পরও ক্ষতের দাগ থেকে যেতে পারে। অনেকের আবার ক্ষত শুকোতেও অনেকদিন সময় লেগে যায়। সেক্ষেত্রে হাত ভাল করে পরিষ্কার করে ক্ষতস্থান পরিষ্কার করে নিন। জল শুকিয়ে গেলে তাতে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করুন।

গবেষণা বলছে, ব্যথা কমানোর ওষুধ অথবা গরম ভাপ দিলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যথা কমে। তবে তা স্থায়ী কোনও প্রতিকার নয়। বরং গরম ভাপের বদলে বরফ চেপে ধরলে দীর্ঘক্ষণ আরাম পাওয়া যায়। অনেকে পিঠের ব্যথা হলে নড়াচড়া করতে ভয় পান। তবে অনেকেরই জানা নেই, পিঠে ব্যথা কমানোর জন্য সব চেয়ে ভাল উপায় হল হালকা নড়াচড়া, ব্যায়াম বা হাঁটাচলা করা। তবে খেয়াল রাখতে হবে এটি যেন অতিরিক্ত না হয়।

প্রতিদিন ৮ গ্লাস জল খাওয়া উচিত। কিন্তু চিকিৎসকের মতে, কাজের ধরন, বয়স ও আবহাওয়ার পার্থক্যের উপর জলের পরিমাণে তারতম্য হতে পারে।

গবেষণা বলছে, শতকরা ৩০ ভাগ মানুষ সকালে ও রাতে দাঁত মাজার ক্ষেত্রে আলসেমি করে থাকেন এবং ৭০ ভাগ মানুষ সঠিকভাবে এই কাজ করেন। প্রতিবার খাওয়ার পর কুলকুচি করলে দাঁতের কোণে খাবার জমে থাকে না। ব্রাশ করার সময় মুখের ভিতরকে চার ভাগে ভাগ করে প্রতি ভাগে ৩০ সেকেন্ড সময় নিয়ে দাঁত মাজা উচিত। প্রতিবার খাওয়ার পর দাঁত মাজলে অথবা বেশি সময় নিয়ে দাঁত মাজলে দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ফলে দাঁত দুর্বল হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি দাঁতের মাড়ি ও মুখগহ্বরের ক্ষতি হতে পারে।

News Desk

Recent Posts

শরীরের যে স্থান পরিষ্কার না করলে বাড়বে রোগব্যাধি

শরীর পরিষ্কার রাখতে গোসল করা জরুরি। তবে জানলে অবাক হবেন, গোসল করলেও শরীরের কয়েকটি স্থান পরিষ্কার হয় না সহজে। আর…

52 mins ago

ওষুধ ছাড়াই কিডনির পাথর গলানোর ঘরোয়া উপায়

কিডনিতে পাথর জমার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। যদিও এটি একটি সাধারণ স্বাস্থ্যগত সমস্যা, তবুও এটি কারও কারও ক্ষেত্রে মারাত্মক হতে পারে।…

2 hours ago

একনাগাড়ে হাঁচি হলে থামাবেন যেভাবে

হাঁচি তো কমবেশি সবাই দেন। সর্দি থেকে শুরু করে ধুলাবালি বা অ্যালার্জির কারণেই মূলত হাঁচি বেশি হয়। বিশেষ করে অ্যালার্জিতে…

5 hours ago

প্রতিদিন কলা খেলে শরীরে যা ঘটে

কলা ছোট-বড় সবারই প্রিয় একটি ফল। এটি যেমন সুস্বাদু এর স্বাস্থ্য উপকারিতাও অনেক। একটি কলা আপনার শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগাতে…

6 hours ago

ডাবের পানি যেভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে

গরমে এক গ্লাস ঠান্ডা ঠান্ডা ডাবের পানি মুহূর্তেই শরীরে প্রশান্তি এনে দেয়। ঠিক একইভাবে রমজান মাসে সারাদিন রোজা রাখার পর…

6 hours ago

একমাস চিনি না খেলে শরীরে যে পরিবর্তন ঘটে

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কমবেশি চিনিযুক্ত খাবার সবাই খান। তবে স্বাস্থ্য সচেতনরা অবশ্য মিষ্টি খাবার দেখলেই ভয় পান! কারণ শরীরের জন্য চিনিযুক্ত…

7 hours ago