ঘামের দুর্গন্ধ থেকে বাঁচার এই ৪টি কার্যকরী উপায়, জেনেনিন বিস্তারিত

ত্বকে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বেড়ে গেলে এমনটি হয় কিন্তু আসলে যখন ব্যাকটেরিয়া প্রোটিনকে এসিডে পরিণত করছে তখনি এমনটি হয়ে থাকে। ব্যাকটেরিয়া তার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ বা আবহাওয়া না পেলে প্রোটিন ভাঙতে থাকে। এমনকি সোডিয়ামযুক্ত খাবার বেশি খেলেও এমনটি হয়। আসুন জানি বিস্তারিত-

1.শক্তিশালী ডিওডোরেন্ট বা অ্যান্টিপারস্পাইরেন্ট ব্যবহার করুন

আপনার শরীর পরিষ্কার ও শুষ্ক করে নেয়ার পর শক্তিশালী ডিওডোরেন্ট বা অ্যান্টিপারস্পাইরেন্ট ব্যবহার করুন বগলে। যদিও ডিওডোরেন্ট ঘামকে প্রতিহত করতে পারেনা, তারা ত্বকের ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট গন্ধে মাস্ক পরাতে পারে। অ্যান্টিপারস্পাইরেন্ট এ অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড নামক রাসায়নিক থাকে যা ঘাম কমতে সাহায্য করে। সকাল ও সন্ধ্যা এই দুই বেলা ব্যবহার করুন ডিওডোরেন্ট বা অ্যান্টিপারস্পাইরেন্ট। বাজারে শক্তিশালী ডিওডোরেন্ট বা অ্যান্টিপারস্পাইরেন্ট পাওয়া যায়। আপনি চাইলে এক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কিনতে পারেন ডিওডোরেন্ট বা অ্যান্টিপারস্পাইরেন্ট।

2.মশলাদার খাবার বন্ধ

ঘাম তো যে কোনও স্তন্যপায়ী প্রাণীদেরই হয়, কিন্তু দুর্গন্ধের কারণ কী? আসলে আমাদের ত্বকের উপরিভাগে রোমকূপে থাকে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া, যা ঘাম থেকে দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে। ঘাম হওয়া আটকাতে গেলে প্রথমেই যে দিকে নজর দেওয়া উচিত তা হল খাদ্যাভ্যাস। আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যত কম পরিমাণে ফাস্টফুড, মশলাদার খাবার ও তেলের খাবার রাখা যায় ততই ভালো। এ ধরনের খাবার পেটে ঢুকলেই প্রচণ্ড তাপ উৎপন্ন করতে থাকে যা কমাতে শরীর ঘাম উৎপন্ন করে। তাই প্রথমেই এড়াতে হবে এই ধরনের খাবার। প্রোটিন জাতীয় খাবার শরীরে যথেষ্ট তাপ উৎপন্ন করে। তাই প্রয়োজনের অতিরিক্ত প্রোটিন খাদ্য বাদ রাখুন তালিকা থেকে। বাদ দিতে হবে ক্যাফাইন জাতীয় খাবার কফিও যা প্রচণ্ড তাপ উৎপন্ন করে। বরং খাদ্যতালিকায় রাখুন ফল ও শাকসবজি যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে। পানীয় খাবার ও বিশেষত একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ জল রোজ খান, এতে শরীর সহজে গরম হবে না, ফলে ঘামও হবে না।

3.রোদে বেরোবেন না

রোদ কেন, প্রয়োজন না থাকলে কোনও বেশি তাপমাত্রার এলাকাতেই যাবেন না। চেষ্টা করুন ছায়া আছে এমন এলাকায় দিনের বেশিরভাগ সময় থাকার। জানালার পর্দা টেনে রাখুন যাতে বাইরের তাপ ঘরে এসে ঘরকে বেশি উত্তপ্ত করতে না পারে। আপনার শরীরকে যত বেশি তাপের হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারবেন, ততই আপনার ঘাম কম হবে।

4.চাপ নেবেন না

প্রতিদিনের রুটিনে কত রকম কাজ থাকে, ঠিকঠাকভাবে সাফল্যের সঙ্গে তা হবে কি না তা নিয়েও চিন্তা কম নয়। চাপ নেবেন না। আপনি যত চাপ নেবেন ততই শরীরে বাড়বে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ যা আপনার দেহের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে ঘাম অবশ্যসম্ভাবী। প্রতিদিন সকালে ব্যায়াম, চাপের থেকে মুক্তি পাওয়ার এক দারুণ উপায়। ব্যায়াম করলে ঘাম ঝলে, এ থেকে মনে হতেই পারে কী করে এটা ঘাম কমাবে? আসলে নিয়মিত ব্যায়াম করলে আপনার সব চিন্তা ও চাপ নিজে থেকেই দূর হয়ে যাবে। ফলে আপনার মাথা সারাদিন চিন্তামুক্ত থাকবে। স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ কমলে কমবে শরীরের ঘাম উৎপাদনও।

News Desk

Recent Posts

নেবুলাইজার কেন ব্যবহার করা হয়?

হাঁপানি, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ও অন্যান্য শ্বাসনালির সংক্রমণজনিত রোগ তীব্র আকার ধারণ করলে নেবুলাইজার ব্যবহার করা হয়। রোগী যখন ইনহেলারের…

4 mins ago

বারবার পানি পিপাসা লাগা কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো?

গরমে অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। ফলে বারবার পানি পিপাসা লাগা স্বাভাবিক। আর এ সময় প্রচুর পরিমাণ…

7 hours ago

মসলা চা পানে মিলবে যেসব উপকার

দিনে বেশ কয়েকবার চায়ের কাপে চুমুক না দিলে অনেকেরই দিন কাটে না। বিভিন্ন ধরনের চায়ের মধ্যে মসলা চায়ের স্বাদও যেমন…

8 hours ago

গরমে বাড়তে পারে কিডনির সমস্যা, কীভাবে সতর্ক থাকবেন?

হঠাৎ করেই কিডনির সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত গরমে পানিশূন্যতার কারণে হঠাৎই বিকল হতে পারে কিডনি। মূলত তাপমাত্রা ও…

8 hours ago

খাবার কেনার আগে প্যাকেটের কোন লেখা অবশ্যই পড়বেন?

কর্মব্যস্ত জীবনে কমবেশি সবাই এখন রেডিমেড খাবারের উপর নির্ভরশীল। এ কারণে বেশিরভাগ খাবারই এখন প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হয়। প্রায়…

1 day ago

বিশ্বব্যাপী যে কারণে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব

গরমে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। একই সঙ্গে বাড়ে মৃতের সংখ্যাও। আজ ১৬ মে জাতীয় ডেঙ্গু দিবস। ডেঙ্গু…

1 day ago