শরীরের বাড়তি মেদ-ওজন আপনার সৌন্দর্য ম্লান করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তাই তো ওজন কমাতে কত কিছুই না করছেন। শারীরিক কসরত থেকে শুরু করে খাবার দাবারের বেলাও সীমারেখা টেনেছেন। তবুও আশানুরূপ ফল মিলছে না কিছুতেই।
আসলে ক্র্যাশ ডায়েট, ইন্টারমিটিং ফাস্টিংসহ শরীরচর্চা যাই করুন না কেন তার একটি পরিমাণ রাখুন। কেননা অতিরিক্ত ডায়েট এবং শরীরচর্চা শরীরের জন্য হতে পারে মারাত্মক ক্ষতিকর। আপনার জন্য কোনটি প্রযোজ্য আগে তাই জানুন। এছাড়াও সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে আপনাকে। যা আপনার ওজন কমাতে এতো শত কঠিন ডায়েট প্ল্যান থেকেও বেশি কার্যকর। চলুন জেনে নেয়া যাক সেসব উপায়গুলো-
>> নিয়মিত গরম জল পান করুন। ওজন কমাতে লেবু-মধু-গরম জলের উপকারিতার কথা অনেকেই জানেন। তবে শুধু গরম জল পান করেও ওজন কমানো সম্ভব সে কথা অনেকেরই অজানা। গরম জল শরীরের টক্সিন দূর করতে সহায়তা করে। এছাড়াও গরমজল আপনার অস্বাস্থ্যকর ডায়েটের ফলে শরীরে যে বাড়তি মেদ জমে তা প্রতিরোধ করতে সহায়তা করবে।
>> ওজন কমানোর আরেকটি উপায় হচ্ছে পর্যাপ্ত ঘুম। অবাক হলেও এটি প্রমাণিত। গবেষণা দেখা যায়, ঘুমের অভাব মানুষের মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। ফলে ওজনও বেড়ে যায়। তাই নিয়মিত আট ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন। এতে আপনার শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে।
>> ওজন কমাতে অব্যশই দিনে তিনবেলা খাবার খান। শরীরের নিয়মিত হজম প্রক্রিয়ার কিছুটা বিশ্রামের প্রয়োজন। তাই আপনার ডায়েট চার্ট অনুযায়ী সকাল, দুপুর এবং রাতে খাবার খান। এতে আপনার ডাইজেস্ট প্রক্রিয়া যেমন ভালো থাকবে তেমনি শরীরে ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।
>> রাতের খাবার বাদ দেওয়া যাবে না। তবে তা হবে অবশ্যই হালকা। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৩-৪ ঘণ্টা আগে আপনার রাতের খাওয়া শেষ করুন। ভারী খাবার রাতের বেলা একেবারেই খাওয়া যাবে না।
>> খাবার খাওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাঁটুন। যারা জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করার সময় পান না। তারা এই কাজটি করতে পারেন। এতে করে আপনার শরীরের মেটাবোলিজম বাড়াতে সহায়তা করবে। সেই সঙ্গে খাবারের ফলে বাড়তি মেদ শরীরে জমতে পারবে না। ফলে ওজনও বাড়বে না আপনার।
>> খাবারের তালিকায় রাখুন ফল। বিশেষ করে মৌসুমী ফল বেশি খাওয়ার চেষ্টা করুন। শাকসবজির পাশাপাশি বাদাম, কুমড়ার বীজ, মৌসুমী ফল খান। গ্রীষ্মের এই সময়টাতে প্রচুর ফল পাওয়া যায়। যা আপনার ক্ষিদে মেটানোর পাশাপাশি দীর্ঘক্ষন পেট ভরিয়ে রাখবে। ফলে বারে বারে খেয়ে ওজন বাড়ার হাত থেকে রক্ষা পাবেন খুব সহজেই।
গরমে এক গ্লাস ঠান্ডা ঠান্ডা ডাবের পানি মুহূর্তেই শরীরে প্রশান্তি এনে দেয়। ঠিক একইভাবে রমজান মাসে সারাদিন রোজা রাখার পর…
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কমবেশি চিনিযুক্ত খাবার সবাই খান। তবে স্বাস্থ্য সচেতনরা অবশ্য মিষ্টি খাবার দেখলেই ভয় পান! কারণ শরীরের জন্য চিনিযুক্ত…
তাল মিছরি আমাদের পরিচিত একটি খাবার। এটি মূলত বিভিন্ন অসুখ-বিসুখে পথ্য হিসেবে কাজ করে। সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে রক্তস্বল্পতা- অনেক…
গরম আবহাওয়ায় ঘাম হওয়া স্বাভাবিক। তবে শীতেও অতিরিক্ত ঘাম কিন্তু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হিসেবেও…
শরীরে কোনো রোগ বাসা বেঁধেছে কি না, তার ইঙ্গিত আগে থেকেই দেয় শরীর। তবে অনেকেই তা টের পান না, আবার…
পানির অপর নাম জীবন। দৈনিক পর্যাপ্ত পানি না পান করলে শরীরে দেখা দেয় পানিশূন্যতা। যা শারীরিক বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।…