হৃদরোগে মারা যেতে না চাইলে আজই ত্যাগ করুন এই অভ্যাসগুলি! না জানলেই বিপদ আপনার

আজকাল অকালমৃত্যুর কারণগুলোর মধ্যে হৃদরোগ শীর্ষে উঠে এসেছে। ফলে সকলেরই এখন হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য এর যত্ন নেওয়াটা জরুরি হয়ে পড়েছে। আর নিত্যদিনের কিছু সহজ অভ্যাস আছে যেগুলো আপনার হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারে। আপনি হয়তো জানেন স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত শরীরচর্চা হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। কিন্তু এমন কিছু কমন অভ্যাস আছে যেগুলো আপনার হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ধ্বংস করতে পারে। অথচ আমরা সেগুলোকে স্বাভাবিক মনে করি। আসুন জেনে নেওয়া কী সেই অভ্যাসগুলো যেগুলো আপনার হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ধ্বংস করছে।

সারাদিন বসে থাকা/টিভি দেখা:
ঘণ্টার পর ঘণ্টা টানা বসে থাকলে তা আপনার হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। যদিও আপনি ব্যায়াম করছেন। কারণ দীর্ঘক্ষণ নড়াচড়া না করার ফলে রক্তে চর্বি এবং সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়। সুতরাং একটানা বেশিক্ষণ বসে থাকবেন না।

আতিথ্য ত্যাগ করা এবং অবসাদের চিকিৎসা না করানো:

মানসিক চাপ, শত্রুতার অনুভূতি বা অবসাদগ্রস্ততা আপনার হৃৎপিণ্ডের ক্ষতি করছে। মানসিক চাপ অবদমন করলে তা আপনার দেহের জন্য মারত্মক ক্ষতি বয়ে আনতে পারে এবং হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ধ্বংস করতে পরে। এর জন্য সামাজিক মেলামেশা বাড়াতে হবে।

নাকডাকা:

নাকডাকা হতে পারে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো মারাত্মক কোনো রোগের লক্ষণ। এর লক্ষণ হলো ঘুমের সময় শ্বাসকষ্ট। এর ফলে রক্তচাপ অনেক উচ্চহারে বেড়ে যেতে পারে। আর রক্তচাপ বাড়লে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ে। সুতরাং
নাকডাকার আশু সমাধান করুন।

দাঁতের মাড়ি পরিষ্কার না করা:

গবেষণায় দেখা গেছে, দাঁতের মাড়ির রোগের সঙ্গে হার্টের রোগের একটা শক্তিশালী সম্পর্ক আছে। মাড়ি পরিষ্কার না করলে দাঁতের গোড়ায় ব্যাকটেরিয়ার আস্তরণ জমা হয়ে দেহে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। যা আপনার হার্টের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। সুতরাং নিয়মিত দাঁতের মাড়ি পরিষ্কার করুন।

মদপান:

বেশি বেশি মদপান করলে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। রক্তে চর্বির পরিমাণ বাড়ে। ফলে হার্ট অ্যাটাক বা হার্ট ফেইলিওর এর ঝুঁকিও বাড়ে। এছাড়া মদে থাকা অতিরিক্ত ক্যালরি ওজন বাড়ায়। যার ফলেও হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। ফলে আজই মদপান ত্যাগ করুন।

অতিভোজন:
ওজন বাড়াটা হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় ঝুঁকি। ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। আর মিষ্টি পানীয়ের বদলে জল পান করতে হবে।

লাল মাংস খাওয়া:

লাল মাংসে সম্পৃক্ত চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে। আর প্রক্রিয়াজাতকৃত মাংস হলে হৃদরোগের ঝুঁকি এবং মলাশয় ক্যান্সারের ঝুঁকি আরো বাড়ে।

News Desk

Recent Posts

ঘরে রক্তচাপ মাপার সময় যে ভুলগুলো করবেন না

হাই প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপ হলো একটি ক্রনিক রোগ। অর্থাৎ দীর্ঘদিন ধরে এই রোগ থাকে। পাশাপাশি এর কারণে শরীরের অন্যান্য…

11 hours ago

সন্তানের মোবাইল আসক্তি কমাতে কী করবেন?

ছোট্ট সোনামনির হাতে কমবেশি সবাই মোবাইল তুলে দেন কোন না কোনো সময়। তবে কিছু সময়ের জন্য মোবাইল দেখা এক সময়…

13 hours ago

ক্যানসার হবে কি না জানতে পারবেন ৭ বছর আগেই

ক্যানসারের নাম শুনলেই কমবেশি সবাই আঁতকে ওঠেন। কঠিন এই ব্যাধি থেকে বাঁচতে সচেতনতা জরুরি। ক্যানসার রোগের আগাম খবর পেতে সারা…

1 day ago

নেবুলাইজার কেন ব্যবহার করা হয়?

হাঁপানি, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ও অন্যান্য শ্বাসনালির সংক্রমণজনিত রোগ তীব্র আকার ধারণ করলে নেবুলাইজার ব্যবহার করা হয়। রোগী যখন ইনহেলারের…

2 days ago

বারবার পানি পিপাসা লাগা কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো?

গরমে অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। ফলে বারবার পানি পিপাসা লাগা স্বাভাবিক। আর এ সময় প্রচুর পরিমাণ…

3 days ago

মসলা চা পানে মিলবে যেসব উপকার

দিনে বেশ কয়েকবার চায়ের কাপে চুমুক না দিলে অনেকেরই দিন কাটে না। বিভিন্ন ধরনের চায়ের মধ্যে মসলা চায়ের স্বাদও যেমন…

3 days ago