আমাদের জীবনযাপনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জরুরি উপাদানের মধ্যে আগুন একটি। জরুরি উপাদান হলেও মাঝে মধ্যে এই আগুনই হতে পারে মৃত্যুর কারণ! সাজানো গোছানো ঘর কিংবা অফিস মুহুর্তেই পুড়িয়ে ছাই করে দিতে পারে একটি ম্যাচের কাঠি।
তাই মনে রাখবেন, আগুন লাগলে প্রতিটি সেকেন্ডই আপনার জন্য দামি। যত সময় নষ্ট হবে ততই বাড়বে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। তাই বাসাবাড়িতে কিংবা অন্য কোথাও আগুন লাগলে অতিদ্রুত তা নেভাতে হবে। এসময় তাড়াহুড়ায় অনেকেই ভুল সিদ্ধান্ত নেন। যার মাশুল দিতে হয় বেশ কঠিনভাবে। তাই আগুন লাগলে কিছু কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো-
> আগুন লাগলে দামি জিনিসপত্র বাঁচাতে গিয়ে সময় নষ্ট করবেন না। মনে রাখবেন, সবচেয়ে দামি বস্তুটি হলো আপনার নিজের জীবন। তাই আগে ঘরের সবাই সাবধানে বেরিয়ে আসুন নিরাপদ জায়গায়।
> আগুন লেগে গেলে দমকল বা অন্য কোনো নিরাপত্তা সংস্থায় বাড়ির ফোন থেকে ফোন করতে গিয়ে জীবনের ঝুঁকি নেবেন না। বাড়ির ভেতর থেকে ফোন করার সময় অসাবধানে আগুন আপনাকে বা পরিবারের অন্য কাউকে ছুঁয়ে ফেললে বিপদ বাড়বে। বরং বাড়ি থেকে বের হয়ে ফোন করুন।
> ধোয়ার মধ্যে মুখ না ঢেকে বের হতে যাবেন না। এমনকি হেঁটেও বের হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। যদি সারা বাড়ি ঘন কালো ধোঁয়ায় ভরে যায় তাহলে নিচু হয়ে হামাগুড়ি দিয়ে অথবা গড়াতে গড়াতে বের হতে হবে। মুখ সম্পূর্ণ ঢেকে ধোঁয়ার তলা দিয়ে বের হয়ে আসুন। নইলে ধোঁয়ায় যে বিষাক্ত গ্যাসসমূহ থাকে তা মুখ-চোখে ঢুকে গেলে বিপদ আরো বাড়বে।
> এমন দরজা দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করবেন না যেটা প্রচণ্ড গরম। দরজাটা নিরাপদ কি না বোঝার জন্য হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে দরজাটা ছুঁয়ে দেখুন, ছুঁয়ে দেখুন দরজার নবও। যদি দেখেন তেমন গরম নয় তবুও সাবধান থাকুন। দরজার সঙ্গে নিজের কাঁধ লাগিয়ে অল্প ঠেলে খুলুন। যদি ধোঁয়া বা আগুনের হলকা দেখেন তাহলে সঙ্গে সঙ্গে দরজাটা আবার চেপে বন্ধ করে দিন। যাতে আগুন ওই দিক দিয়ে ঢুকে পড়তে না পারে। তারপর অন্য দিকের দরজা দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করুন।
> কোনোভাবেই আগুন না নেভা পর্যন্ত বাড়ির ভেতর আবার ঢোকার চেষ্টা করবেন না। কোনো রকমে একবার জ্বলন্ত বাড়ির ভেতর থেকে বের হয়ে আসতে পারলে প্রথমেই ফোন করুন ফায়ারব্রিগেডকে।
> সামান্য আহত হলেও চিকিৎসা নিতে অবহেলা করবেন না। তাই আহত হয়ে থাকলে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিতে হবে তখনই।rs
হাঁচি তো কমবেশি সবাই দেন। সর্দি থেকে শুরু করে ধুলাবালি বা অ্যালার্জির কারণেই মূলত হাঁচি বেশি হয়। বিশেষ করে অ্যালার্জিতে…
কলা ছোট-বড় সবারই প্রিয় একটি ফল। এটি যেমন সুস্বাদু এর স্বাস্থ্য উপকারিতাও অনেক। একটি কলা আপনার শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগাতে…
গরমে এক গ্লাস ঠান্ডা ঠান্ডা ডাবের পানি মুহূর্তেই শরীরে প্রশান্তি এনে দেয়। ঠিক একইভাবে রমজান মাসে সারাদিন রোজা রাখার পর…
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কমবেশি চিনিযুক্ত খাবার সবাই খান। তবে স্বাস্থ্য সচেতনরা অবশ্য মিষ্টি খাবার দেখলেই ভয় পান! কারণ শরীরের জন্য চিনিযুক্ত…
তাল মিছরি আমাদের পরিচিত একটি খাবার। এটি মূলত বিভিন্ন অসুখ-বিসুখে পথ্য হিসেবে কাজ করে। সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে রক্তস্বল্পতা- অনেক…
গরম আবহাওয়ায় ঘাম হওয়া স্বাভাবিক। তবে শীতেও অতিরিক্ত ঘাম কিন্তু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হিসেবেও…