ঝগড়া করার সময় এই ৫টি কথা কখনোই বলবেন না? জেনেনিন তার কারণ

কেউ যদি বলে থাকেন আমি একেবারেই ঝগড়া করি না, তাহলে এটি হবে একটি চরম মিথ্যা কথা। বরং সত্যি কথা এই যে ঝগড়া কম-বেশি সবাইকেই একটু আধটু করতেই হয়। তবে আরও বড় সত্য হচ্ছে সবাই ঝগড়া করার সময়ে ঠিক কী বলছেন তার কোনো ঠিকানা রাখেন না। এ কারণে ঝগড়াঝাঁটি হয়ে পড়ে বেশি পরিমাণে কর্দমাক্ত। এমন অবস্থাতে আপনি যদি ঝগড়াটিকে দীর্ঘস্থায়ী করতে না চান তাহলে মনে রাখুন এমন ৫ টি কথা যা ঝগড়া করার সময়ে কখনই বলবেন না।

১. এটা তোমার দোষ ছিল :
ধরুন আপনার কারও সাথে খুবই ছোট্ট একটি বিষয়ে ঝগড়া বেঁধেছে। এমন অবস্থাতে আপনি ঝগড়াটিকে দীর্ঘস্থায়ী করবেন নাকি ক্ষণস্থায়ী করবেন তার পুরোটাই নির্ভর করবে আপনার বুদ্ধিমত্তার উপরে। আপনি যদি বলেন যে এটা তোমারই দোষ ছিল তাহলে ঝগড়াটি কোনোদিনও মিটবে কি না সন্দেহ। তাই যথাসম্ভব এই বাক্যটি ঝগড়ার মুহূর্তে না আওড়ানোই ভালো।

২. তুমি এই একই ভুল এর আগেও করেছে :
আপনি যদি ঝগড়াটিকে ক্ষণস্থায়ী করতে চান তাহলে সম্ভব হলে বলবেন না যে তুমি এই একই ধরনের ভুল এর আগেও করেছ। এতে করে আপনার বিপরীত প্রতিপক্ষ আপনার উপরে আরও অনেক বেশি রেগে যাবেন এবং এর ফলে ঝগড়ার মুহূর্ত আরও অনেক বেশি বেড়ে যাবে।

৩. আমার আর ভালো লাগছে না :
আপনি যদি ঝগড়া করতে করতে বিরক্ত হয়ে বলেন যে আমার আর তোমার সাথে একেবারেই কথা বলতে ভালো লাগছে না। আমি তোমার কাছ থেকে দূরে যেতে চাই বা আমি এর থেকে মুক্তি পেতে চাই। তাহলে দেখবেন আপনার প্রতিপক্ষ আপনার উপরে আরও অনেক বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে যাবে। এ কারণে ঝগড়ার সময়ে এই ধরনের বাক্য বলা থেকে বিরত থাকুন।

৪. তুমি একটা ভীরু :
আপনি যদি এই ধরনের বাক্য ব্যবহার করে থাকেন যে বলে থাকেন ‘ভীরু কোথাকার’ এই অবস্থায় আপনার ঝগড়ার মুহূর্তটি মারামারির পর্যায়ে চলে যেতে পারে। আর মারামারি করাটা নিশ্চয়ই খুব ভালো একটা কাজ নয়। এ কারণে কখনই ভুল করেও প্রতিপক্ষকে ভীরু, কাপুরুষ এ ধরনের শব্দ ব্যবহার করবেন না।

৫. ভালোভাবে কথা বলো :
ঝগড়ার সময়ে কারোরই মাথা ঠিক থাকে না। একমাত্র যারা খুবই ঠান্ডা প্রকৃতির মানুষ কেবল তারাই এই মুহূর্তে মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেন। এই ধরনের উত্তেজিত মুহূর্তে কখনই প্রতিপক্ষকে বলবেন না যে ভালোভাবে কথা বলো। এ সময়ে আপনি পারলে তাকে ঠান্ডা মাথায় বোঝান বা একেবারে সহ্য না হলে তার কাছ থেকে দূরে চলে যান।

News Desk

Recent Posts

একনাগাড়ে হাঁচি হলে থামাবেন যেভাবে

হাঁচি তো কমবেশি সবাই দেন। সর্দি থেকে শুরু করে ধুলাবালি বা অ্যালার্জির কারণেই মূলত হাঁচি বেশি হয়। বিশেষ করে অ্যালার্জিতে…

2 hours ago

প্রতিদিন কলা খেলে শরীরে যা ঘটে

কলা ছোট-বড় সবারই প্রিয় একটি ফল। এটি যেমন সুস্বাদু এর স্বাস্থ্য উপকারিতাও অনেক। একটি কলা আপনার শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগাতে…

3 hours ago

ডাবের পানি যেভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে

গরমে এক গ্লাস ঠান্ডা ঠান্ডা ডাবের পানি মুহূর্তেই শরীরে প্রশান্তি এনে দেয়। ঠিক একইভাবে রমজান মাসে সারাদিন রোজা রাখার পর…

4 hours ago

একমাস চিনি না খেলে শরীরে যে পরিবর্তন ঘটে

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কমবেশি চিনিযুক্ত খাবার সবাই খান। তবে স্বাস্থ্য সচেতনরা অবশ্য মিষ্টি খাবার দেখলেই ভয় পান! কারণ শরীরের জন্য চিনিযুক্ত…

4 hours ago

তাল মিছরি কেন খাবেন?

তাল মিছরি আমাদের পরিচিত একটি খাবার। এটি মূলত বিভিন্ন অসুখ-বিসুখে পথ্য হিসেবে কাজ করে। সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে রক্তস্বল্পতা- অনেক…

6 hours ago

অতিরিক্ত ঘাম কঠিন রোগের লক্ষণ নয় তো?

গরম আবহাওয়ায় ঘাম হওয়া স্বাভাবিক। তবে শীতেও অতিরিক্ত ঘাম কিন্তু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। বিভিন্ন রোগের লক্ষণ হিসেবেও…

23 hours ago