আপনি কি বেশি করে খাবার খেয়েও ওজন কমাতে চান! তাহলে জেনেনিন এই ৩টি সহজ উপায়

ওজন কমাতে চাইছেন মানেই তার প্রথম শর্ত হলো আপনাকে খাবার কমিয়ে খেতে হবে। যারা ওজন কমাতে চান তারা শুরুতেই একটি নির্দিষ্ট ডায়েট বেছে নেন। এরপর সেটি মেনে খাবার খেয়ে থাকেন। তখন খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিতে হয় অনেক খাবার। আবার যোগ করতে হয় এমন কিছু খাবার, যেগুলো খেতে আপনার একটুও ভালোলাগে না।

খাবারের তালিকা কাটছাঁট করে কতটুকু উপকার পাওয়া যায়? দিনের পর দিন পছন্দের খাবারগুলো বাদ দিতে থাকলে একটা সময় আপনি বিষণ্নও অনুভব করতে পারেন। ওজন কমানোর পুরো প্রক্রিয়া তখন আরও বেশি বিরক্তিকর মনে হতে পারে। যতটুকু খেতে মন চায়, ততটুকু খেয়েও আপনি ওজন কমাতে পারবেন। সত্যি বলছি। কিন্তু সেজন্য কিছু নিয়ম মেনে খেতে হবে। জেনে নিন কোন তিন নিয়ম মেনে খেলে বেশি খেয়েও ওজন কমানো সহজ হবে-

প্রতি বেলায় প্রোটিন ও ফাইবার

আমাদের শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ দুটি উপাদান হলো প্রোটিন ও ফাইবার। যেসব খাবারে এই উপাদান আছে সেগুলো খেতে হবে প্রতিবেলায়। কারণ প্রোটিন আপনার বিপাকক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে, দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখবে এবং একটু পর পর ক্ষুধা লাগার সমস্যা দূর করবে।

এদিকে ফাইবার আমাদের রক্তে শর্করা শোষণে সাহায্য করে। এরপর সেটি গ্লুকোজে পরিণত করে এবং চর্বি না জমিয়ে তা শক্তি উত্‍পাদন করে। বুঝতেই পারছেন, কেন ফাইবারযুক্ত খাবার প্রতিবেলায় খেতে হবে! আপনি যদি খাবারের তালিকায় ডিম, পালংশাক, পনির, চিয়া বীজের পুডিং এবং বেরি জাতীয় ফল রাখেন তবে সেগুলো হতে পারে প্রোটিন ও ফাইবারের ভালো উৎস। এর পাশাপাশি মুরগির মাংস, নুডলস, সালাদ ইত্যাদিও খেতে পারেন।

নির্দিষ্ট সময়ে খান

ওজন নিয়ন্ত্রণের অন্যতম উপায় হলো রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা। সেজন্য দুই বেলা খাবারের মাঝখানে খুব বেশি বিরতি রাখবেন না। আপনি যখন খুব বেশি সময় বিরতি দিয়ে এরপর খাবার গ্রহণ করেন তখন রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। যে কারণে বৃদ্ধি পায় ওজন। আপনি যদি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তবে দুইবেলা মূল খাবারের মাঝে চার ঘণ্টার বেশি বিরতি রাখবেন না। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমানিত যে, প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খেলে তা আমাদের শরীরে মেদ জমতে বাধা দেয়।

ফ্যাট খান

অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই! ফ্যাট কমানোর জন্য এত প্রচেষ্টা আর আপনাকে কিনা বলা হচ্ছে ফ্যাট খেতে! মজার বিষয় হলো, ফ্যাটের উপাদান একটু পরপর ক্ষুধা লাগার যে অভ্যাস সেটি দূর করতে সাহায্য করতে। তবে সেই ফ্যাট হতে হবে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর। আপনি যদি নিয়মিত স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খেয়ে থাকেন তবে তা রক্তের ইনসুলিনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এতে কমে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের আশঙ্কা। প্রক্রিয়াজাত ফ্যাট ছাড়া অন্য সব ফ্যাটই স্বাস্থ্যকর। তবে খুব বেশি খাবেন না, খাবেন পরিমিত। প্রতিবেলায় অল্প করে ফ্যাট খাবেন। নারিকেল তেল, অ্যাভোকাডো ও সূর্যমুখীর বীজ থেকে পাবেন স্বাস্থ্যকর ফ্যাট।

News Desk

Recent Posts

মাছের তেল খেলে শরীরে কী ঘটে?

মাছের তেল শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এ কারণে পুষ্টিবিদরা মাছের তেল খাওয়ার পরামর্শ দেন। এতে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড।…

17 hours ago

গাছপাকা নাকি কৃত্রিমভাবে পাকানো আম চিনবেন যেভাবে

বাজারে এখন পাকা আম উঠতে শুরু করেছে। তবে সেগুলো আদৌ গাছপাকা নাকি কৃত্রিমভাবে পাকানো তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। গাছপাকা হলে…

17 hours ago

বেশি তরমুজ খেলে কি সত্যিই ওজন বাড়ে?

বাজারে এখন তরমুজ বেশ সহজলভ্য। এই রসালো ফল খেতে কমবেশি সবাই পছন্দ করেন। তবে প্রতিদিন এই ফল খাওয়া কি স্বাস্থ্যের…

21 hours ago

ঘরে রক্তচাপ মাপার সময় যে ভুলগুলো করবেন না

হাই প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপ হলো একটি ক্রনিক রোগ। অর্থাৎ দীর্ঘদিন ধরে এই রোগ থাকে। পাশাপাশি এর কারণে শরীরের অন্যান্য…

2 days ago

সন্তানের মোবাইল আসক্তি কমাতে কী করবেন?

ছোট্ট সোনামনির হাতে কমবেশি সবাই মোবাইল তুলে দেন কোন না কোনো সময়। তবে কিছু সময়ের জন্য মোবাইল দেখা এক সময়…

2 days ago

ক্যানসার হবে কি না জানতে পারবেন ৭ বছর আগেই

ক্যানসারের নাম শুনলেই কমবেশি সবাই আঁতকে ওঠেন। কঠিন এই ব্যাধি থেকে বাঁচতে সচেতনতা জরুরি। ক্যানসার রোগের আগাম খবর পেতে সারা…

3 days ago