এই সময়ে সব বয়সীদের বিশেষ করে তরুণদের মাঝে তুমুল জনপ্রিয় জিন্স। ওয়ার্ড্রোবে ডেনিম থাকে না এমন পুরুষ সংখ্যায় খুবই কম। প্রচলিত একটি ধারণা আছে, জিনস শ্রমিকদের প্যান্ট। কিন্তু এখন প্রতিদিনের পোশাক হিসেবেই ডেনিমকে ব্যবহার করে থাকি আমরা। এক সময় খনিতে কাজ করতে আসা মানুষদের প্রতি দিন পরনের সুবিধার জন্যই এই ধরনের প্যান্ট বাজারজাত করা হয়। তবে ডেনিমের ইতিহাস নিয়ে আরও এক ঘটনা প্রচলিত আছে।
অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি। এক কাঠুরের বউ এলেন জেকব ডব্লিউ ডেভিস নামের এক দর্জির কাছে। জঙ্গলের কাঁটাগাছে প্রায়ই জামা ছিঁড়ে যায় তার স্বামীর। টানাটানির সংসারে ঘন ঘন জামা কেনার প্রশ্নই ওঠে না। তাই চাই টেকসই পোশাক। খরিদ্দারের আবদারে দর্জির মাথায় এক বুদ্ধি খেলে গেল। তখন ফ্রান্সে সার্জ দে নিমে নামের এক ধরনের মোটা কাপড় পাওয়া যেত। সহজে ছেঁড়ে না। দামও সস্তা। এমন কাপড় দিয়েই কাঠুরের জন্য প্যান্ট তৈরি করে দিলেন জেকব।
যথারীতে জেকবের বানানো এই প্যান্টের নাম ও গুণ ছড়িয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ল। নিমেষে বিক্রি হতে শুরু করল এমন সব প্যান্ট। কিন্তু চাহিদা বাড়লেও জোগান দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত কাপড় নেই। তখন তিনি যোগাযোগ করলেন এই কাপড়ের হোলসেলার লেভি স্ত্রাউসের সঙ্গে। ১৮২৩ সালে জিন্সের ইউএস পেটেন্ট বের হয়। এই সালকেই ব্লু জিনসের জন্মদিন হিসাবে ধরা হয়। মূলত শ্রমিক-মজুররা এই প্যান্ট ব্যবহার করলেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে আমেরিকান সেনার পোশাক তৈরিতেও ব্যবহার শুরু হয় ডেনিমের।
প্রতিদিন ব্যবহারের ফলে জিন্স খুব দ্রুতই এর জৌলুস হারিয়ে ফেলে। তবে কিছু কৌশল অবলম্বন করলে বার বার ব্যবহারের পরেও ডেনিম থাকবে নতুনের মতো। কাচার কিছু নিয়ম মানলেই জিন্সের রং যাবে না। জেনে নিন সেসব কৌশল সম্পর্কে:
► জিন্স ধোয়ার জন্য ঠাণ্ডা জল ব্যবহার করুন। গরম জল ডেনিমের জন্য ভালো নয়।
► অত্যধিক ক্ষারযুক্ত সাবানে জিন্স কাচবেন না। এতে এর রং ফিকে হয়। তাই ক্ষারযুক্ত সাবান বাদ দিয়ে মৃদু সাবানে ধুয়ে নিন।
► ধোয়ার আগে কিছুক্ষণ সাবান-জলে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর হালকা করে ঘষে জিনসের নোংরা তুলে নিন।
► কাচাকুচির পর জিনস নিংড়াবেন না। বরং টানটান করে জল ঝরাতে মেলে দিন। খানিকক্ষণ পর রোদে দিয়ে শুকিয়ে ফেলুন।
► রং টেকসই করে রাখতে উল্টো করে রোদে শুকাতে দিন। কাচার সময়ও উল্টো করে কাচুন।
► ডেনিমের পায়ের ফোল্ডে ময়লা জমে, তাই ব্রাশ দিয়ে হালকা করে ঘষে নিলে ভালো হয়।
দেশে আবারও বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। তাই এখন কারো জ্বর হলেই ঘরের সবাই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন ডেঙ্গু ভেবে। ডেঙ্গু জ্বর একটি…
মশা কমবেশি সবাইকেই কামড়ে থাকে। তবে কারও কারও একটু বেশিই কামড়ায়! এর কারণ কী জানেন? আসলে মশা কাকে বেশি আক্রমণ…
ভিটামিন শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই ভিটামিন শুধু যে হাড়ের স্বাস্থ্যই ভালো রাখে তা কিন্তু নয়। বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকেও…
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা বেশ মুশকিল। যদিও সঠিক জীবনযাত্রা ও শরীরচর্চার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এমনকি এর থেকে মুক্তিও মেলে।…
সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুম অধিক জরুরি। এ কারণেই প্রতিদিন নির্দিষ্ট কয়েক ঘণ্টা সবাইকে ঘুমাতে হয়। ঘুমানোর ফলেই শরীরে মেলে বিশ্রাম। শুধু…
রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর অনেকেই জানতে পারেন হিমোগ্লোবিনের ঘাটতিতে ভুগছেন তিনি। এ সমস্যায় কমবেশি সবাই ভুগে থাকেন। তবে ক্রমশ…