কেউ পঁয়তাল্লিশেই বুড়িয়ে যায়, কেউবা পঁচাত্তরেও চনমনে। তা শারীরিক বা মানসিক যেভাবেই আপনি অটল থাকুন না কেন, বয়স বেড়ে চলে টিক টিক। মেঘে মেঘে বেলা বাড়ে। টের পাওয়া যায় না কখন কাজলকালো চুল হয়ে গেছে শরতের শুভ্র মেঘ। তবে একটু সচেতন হলেই বুড়োটে ভাবটাকে আপনি থোড়াই কেয়ার করতে পারেন। কী করে, তা জেনে নিন:
প্রযুক্তি এগোচ্ছে, আপনি পেছাচ্ছেন
স্মার্টফোন, মেইল আর ফেসবুকে আপনার হাত দুটো বেশ সচল। কিন্তু টুইটার, ইনস্টাগ্রাম বা স্কাইপে দেখলে গায়ে জ্বর আসে! তাও মানিয়ে নিলেন, এদিকে আবার আসছে স্ন্যাপচ্যাট। অফিসের কাজেও যুক্ত হচ্ছে নানা প্রযুক্তি। আপনি যত দ্রুততার সঙ্গে প্রযুক্তির সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছেন, তার চেয়ে দ্রুতগতিতে বদলাচ্ছে প্রযুক্তি নিজেই! প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে না পারাটাও বুড়ো হওয়ার লক্ষণ কিন্তু!
আলোচনার বদলে অভিযোগ
কথায় আছে, মানুষের বয়স হলে শিশুর মতো হয়ে যায়। শিশুদের কিন্তু অভিযোগের শেষ নেই। বার্ধক্যে পা রাখা মানুষের বলায়ও তাই ঘটে। কেউ যদি জিজ্ঞেস করে, কেমন আছেন—মুখ ব্যাদানা করে নেতিবাচক কিছু বলা ছাড়া মুখে কিছু আসে না। কিংবা হাবভাবেই বুঝিয়ে দিলেন যে ভালো নেই। চেয়ার ছাড়তে গিয়ে ককিয়ে উঠছেন, ঠান্ডা জল খেতে পারেন না, দাঁত শিরশির করে। এ বিছানায় শোয়ার সময় মড়মড় করে মেরুদণ্ডের ৩৩ গিঁট। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আপনি স্রেফ বুড়ো হয়ে যাচ্ছেন, আর কিছু না।
শব্দে ‘না’ ঘুমে ‘হ্যাঁ’
শীতের সকালে চেয়ারে বসে রোদ পোহাচ্ছেন। হাতে গরম-গরম খবরের কাগজ। এমন সময় কানে আছড়ে পড়ল হাল আমলের কোনো রক গানের সুর। মেজাজ যথারীতি সপ্তমে। আপনি ভাবলেন না, যাঁরা এই গান শুনছে তাঁদের মতো তরুণ বয়সে আপনিও কম যেতেন না। সোজা গিয়ে কষে একটা ধমক লাগিয়ে বললেন—শব্দটা কমাও। শুধু এ ক্ষেত্রে নয়, বাসায় টিভি শব্দও মাঝেমধ্যে আপনার কানে লাগে। এমনকি, কেউ জোরে কথা বললেও সহ্য হয় না। আপনি চান নীরবতা, দুদ্দাড় তারুণ্য পেরিয়ে বার্ধক্যের মতো থেমে যাওয়া নীরবতা। আসলে আপনি মন থেকেই চেয়েছেন, কারণ হাঁটছেন তো বুড়ো হওয়ার পথেই!
একই পথে হাঁটার আরও একটি লক্ষণ আছে। যেখানে-সেখানে যেকোনো অবস্থায় ঘুমের অভ্যাস। চেয়ারে বসে ঝিমোচ্ছেন, বাসের সিটেও তাই, এমনকি প্রক্ষালন কক্ষেও এড়ানোর উপায় নেই! এটা আসলে বুড়ো হওয়ার লক্ষণ।
ভাবলেশহীনতা
তরুণদের নাকি হাজারটা চোখ থাকে। এ কারণে তাদের চোখে এত কিছু ধরা পড়ে। কোনো কিছু হয়তো বেশিই। বুড়োটে মানসিকতা এই দেখার চোখগুলোকে অন্ধ করে দেয়। একটা সময় ছিল, পথের পাশে পড়ে থাকা কোনো বিপন্ন মানুষকে দেখলে আপনার মন কেমন করত বা কেউ কোনো বিপদে পড়েছে দেখলে এগিয়ে যেতেন। এখন যেন দেখেও দেখেন না। কিংবা কোথাও কোনো ভিড় দেখলে মনে হয়, ওই ঝামেলায় গিয়ে কাজ নেই বাপু। পারিপার্শ্বিকতা নিয়ে আশ্চর্য এক ভাবলেশহীনতা কাজ করে আপনার মধ্যে? এই শীতলতার বরফ বেশি জমতে দিলে কিন্তু বিপদ!
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা বেশ মুশকিল। যদিও সঠিক জীবনযাত্রা ও শরীরচর্চার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এমনকি এর থেকে মুক্তিও মেলে।…
সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুম অধিক জরুরি। এ কারণেই প্রতিদিন নির্দিষ্ট কয়েক ঘণ্টা সবাইকে ঘুমাতে হয়। ঘুমানোর ফলেই শরীরে মেলে বিশ্রাম। শুধু…
রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর অনেকেই জানতে পারেন হিমোগ্লোবিনের ঘাটতিতে ভুগছেন তিনি। এ সমস্যায় কমবেশি সবাই ভুগে থাকেন। তবে ক্রমশ…
অনেকেই ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে চিনি খাওয়া এড়িয়ে চলেন। আবার বেশি চিনি খাওয়া রক্তে শর্করা বাড়িয়ে দিয়ে নানান রোগের সৃষ্টি…
কান শরীরের গুরুত্বপূর্ণ এক অঙ্গ। তবুও বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই অঙ্গটি নিয়ে উদাসীনতা দেখা যায়। গোসল করতে গিয়ে কানে পানি ঢুকে…
বয়স বাড়তেই বাবা-মা সন্তানের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। আর সন্তানেরও উচিত এ সময় বাবা-মায়ের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হওয়া। বিশেষ করে…