প্লাস্টিকের বোতলে আমরা অনেকেই জল খাই, জল ভরে রাখি। শুধু তাই নয়, প্লাস্টিকের তৈরি পাত্রে খাবার রাখি। অনেকেই হয়তো খেয়াল করেছেন, প্রতিটি প্লাস্টিকের বোতল বা পাত্রের নিচে ত্রিভুজাকৃতি ছাঁচের মধ্যে কিছু নম্বর লেখা থাকে। এই নম্বরই হল এক প্রকার সংকেত যা প্লাস্টিকের তৈরি ঐ পাত্রটি কত দিন বা কত বার ব্যবহার করা উচিত তা বুঝিয়ে দেয়। খবর জি ২৪ ঘণ্টা’র।
আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন নম্বরের কী মানে…
১) ত্রিভুজের মধ্যে ‘১’ লেখা থাকলে তার অর্থ হল, পাত্রটি পলিথাইলিন টেরেপথ্যালেট জাতীয় পলিথিন দিয়ে তৈরি। অর্থাৎ এই প্লাস্টিকের পাত্রগুলি মাত্র এক বারই ব্যবহারযোগ্য। একবারের বেশি এগুলি ব্যবহার করা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়।
২) যদি পাত্রের নিচে ত্রিভুজের মধ্যে ‘২’ লেখা থাকে তাহলে তার অর্থ হল, পাত্রটি ঘন, অস্বচ্ছ পলিথিন বা এইচডিপিই জাতীয় পলিথিন দিয়ে তৈরি। এই জাতীয় পলিথিন দিয়ে শ্যাম্পু, ডিটারজেন্ট, টয়লেট ক্লিনারের বোতল তৈরি হয়। এগুলিতে খাবার বা কোনও রকম পানীয় রাখা একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়।
৩) পাত্রের নিচে ত্রিভুজের মধ্যে ‘৩’ লেখা থাকলে তার অর্থ হল, এই ধরনের পাত্র পলিভিনিল ক্লোরাইড বা পিভিসি দিয়ে তৈরি। খাবারের শক্ত মোড়ক বা রান্নার তেলের পাত্র এই জাতীয় পলিথিন দিয়ে তৈরি করা হয়। একবারের বেশি এগুলি ব্যবহার করা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়।
৪) যদি পাত্রের নিচে ‘৪’ লেখা থাকে তাহলে তার অর্থ হল, এই ধরনের পাত্র এলডিপিই জাতীয় পলিথিন দিয়ে তৈরি। এই ধরনের পাত্রে একাধিকবার পানীয় জল বা খাবার রাখা যেতে পারে। তবে সপ্তাহ খানেকের বেশি ব্যবহার না করাই ভাল।
৫) যদি পাত্রের নিচে ত্রিভুজের মধ্যে ‘৫’ লেখা থাকে তাহলে তার অর্থ হল, এই ধরনের পাত্র ব্যবহার করা একেবারে নিরাপদ। সসের বোতল, জলের বোতল বা সিরাপের বোতল এই জাতীয় পলিথিন দিয়ে তৈরি।
৬) পাত্রের নিচে ত্রিভুজের মধ্যে ‘৬’ লেখা থাকলে তার অর্থ হল, এই ধরনের পাত্র পলিস্টিরিন বা স্টাইরোফোম জাতীয় উপাদান দিয়ে তৈরি। এই জাতিয় পলিথিন দিয়ে তৈরি পাত্রে খাবার গরম রাখা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। আর বেশি ব্যবহার না করাই ভাল।
৭) যদি পাত্রের নিচে ত্রিভুজের মধ্যে ‘৭’ লেখা থাকে তাহলে তার অর্থ হল, এই ধরনের পাত্র ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর ও ঝুঁকিপূর্ণ। খাবার বা কোনও রকম পানীয় রাখা একেবারেই উচিত নয়।
অনেকেই অতিরিক্ত রাগের সমস্যায় ভোগেন। তবে রাগ শরীরের জন্য মোটেও ভালো না। রাগ কখনো কখনো মানসিক রোগের কারণও হতে পারে।…
ডিম সেদ্ধ খেতে অনেকেই কমবেশি ভালবাসেন। তবে কারও কারও কাছে বেশি জনপ্রিয় ভাজা ডিম। ভেজে বা অমলেট বানিয়ে ডিম খেতেই…
বর্তমানে ডায়াবেটিস প্রতিটি ঘরে ঘরেই দেখা দিচ্ছে। ছোট থেকে বুড়ো সবার শরীরেই বাসা বাঁধছে দীর্ঘমেয়াদী এই ব্যাধি। একবার ডায়াবেটিস ধরা…
মুখের ভেতরে ঘা হওয়ার সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। ভিটামিন স্বল্পতার কারণেই মাউথ আলসারের সমস্যা বেশি দেখা যায়। তবে এই সমস্যাকে…
সকালে উঠে মৌরি ভেজানো পানি পান করে অনেকেই দিন শুরু করেন। মূলত পেট পরিষ্কার করতে এর উপর ভরসা রাখেন অনেকে।…
সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চা বা কফিতে চুমুক না দিলে যেন শরীর ও মন চাঙ্গা হয়ে ওঠে না।…