শীত চলে এসেছে। শুষ্ক প্রকৃতি ও বাইরে বইছে ঠান্ডা বাতাস। আমাদের ত্বকও হয়ে উঠছে শুষ্ক, হারাচ্ছে আর্দ্রতা। এই সময়ে শুষ্ক শীতল হাওয়া ও আবহাওয়ায় ধুলা বালি বেড়ে যাবার কারণে ত্বক হয়ে উঠতে পারে মলিন ও খসখসে। তাই প্রয়োজন একটি বাড়তি যত্নের। নাবহলে দেখা দিতে পারে অনেক ধরণের সমস্যা।
★ত্বক শুষ্ক হবার কারণ:
১) আমাদের দেশে শীতকাল মূলত শুষ্ক ঋতু। এই সময় প্রখর সূর্যের আলো আর ঠান্ডা বাতাসের প্রভাবে প্রকৃতি তার আর্দ্রতা হারায়। সেইসাথে আমাদের ত্বকও পর্যাপ্ত আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে না। হয়ে উঠে শুষ্ক।
২) বয়স্কদের (চল্লিশার্ধ মানুষের) জিনগত কারনে তেল, ঘর্ম গ্রন্থির পরিমাণ ও কর্ম ক্ষমতা কমে যায়। ফলে ত্বকে আসে শুষ্কতা।
৩) অনেক সময় বিভিন্ন পেশাজীবীদের কর্মস্থলের পরিবেশ যেমন: ধুলাবালি, স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ ইত্যাদি ত্বকের শুষ্কতা বাড়াতে পারে।
৪) অতিরিক্ত ক্ষার বা ক্লোরিন যুক্ত জলে গোসল বা সাতার কাটলে।
৫) অতিরিক্ত ধুমপান বা এলকোহল সেবনের বদভ্যাস থাকলে।
৬) ভিটামিন-এ এবং বি’র অভাব জনিত কারণে।
৭) আমিষ, জিংক বা ফ্যাটি এসিডের অভাব থাকলে।
৮) যাদের এটপিক ডার্মাটাইটিস বা এলার্জি জনিত একজিমা থাকে।
৯) অতিরিক্ত খুশকির সমস্যা, সোরিয়াসিস ত্বক শুষ্কতার কারণ।
১০) কিছু মেডিসিন, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড হরমোনজনিত জটিলতার কারণে।
১১) হঠাৎ করে খুব বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে বা ক্রাশ ডায়েটিং থেকেও হতে পারে।
১২) কিছু অভ্যাসজনিত কারণে যেমন: বার বার হাত ধোয়া, বারবার গোসল, ক্ষারীয় সাবানের যথেচ্ছ ব্যবহার ত্বক শুষ্ক করে।
★শুষ্কতা প্রতিরোধে:
১) প্রতিদিন নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিৎ। বিশেষ করে গোসলের পর ভাল মত ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে।
২) প্রচুর জল পান করতে হবে।ভনরম সূতির কাপড় পরতে হবে।
৩) অতিরিক্ত গরম জল ব্যবহার না করা।
৪) অতিরিক্ত গরম জল দিয়ে মুখ ও মাথা ধোয়া উচিৎ নয়। অতিরিক্ত গরম জলের প্রভাবে মুখের ত্বকের ফলিকেল ক্ষতগ্রস্থ হয়। ফলে আসে শুষ্কতা।
৫) গোসলের জলে কয়েক ফোটা জোজবা অয়েল মিশিয়ে দিলে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
৬) ইউরিয়া যুক্ত বা পেট্রলিয়াম যুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার হাতের তালু ও পায়ের তলা আর্দ্র রাখতে সহায়তা করে।
৭) স্যালিসাইলিক এসিড যুক্ত লোশান ব্যবহার নিয়মিত করা উচিত।
★কিছু ছোট্ট টিপস:
১) গোসলের পর শরীর ভেজা থাকতেই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা।
২) বারবার জল দিয়ে মুখ ধোয়া।
৩) গরম জলের ব্যবহার সীমিত রাখা।
৪) নারিকেল তেল বা অলিভওয়েলের সাথে রাতে গ্লিসারিন মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে।
৫) নিমপাতা বা ফিটকিরি মিশ্রিত জল দয়ে গোসল করলে শুষ্ক ত্বকে জীবানু সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যায়।
৬) শুকনা ঠোট বার বার জিহবা দিয়ে ভেজানো উচিত নয়।
ত্বকের সঠিক ও পর্যাপ্ত যত্ন নেবার পরও যদি ত্বক তার আর্দ্রতা হারায়, লালচে র্যাশ উঠে, চুলকানি বাড়ে অথবা কালো হয়ে যায়, মলিন দেখায় তাহলে অবশ্যই আপনার ত্বকে কোন না কোন সমস্যা বা অসুখ বাসা বাধছে। তাই এমন পরিস্থিতিতে দেরি না করে অবশ্যই চর্ম বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দেশে আবারও বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। তাই এখন কারো জ্বর হলেই ঘরের সবাই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন ডেঙ্গু ভেবে। ডেঙ্গু জ্বর একটি…
মশা কমবেশি সবাইকেই কামড়ে থাকে। তবে কারও কারও একটু বেশিই কামড়ায়! এর কারণ কী জানেন? আসলে মশা কাকে বেশি আক্রমণ…
ভিটামিন শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই ভিটামিন শুধু যে হাড়ের স্বাস্থ্যই ভালো রাখে তা কিন্তু নয়। বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকেও…
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা বেশ মুশকিল। যদিও সঠিক জীবনযাত্রা ও শরীরচর্চার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এমনকি এর থেকে মুক্তিও মেলে।…
সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুম অধিক জরুরি। এ কারণেই প্রতিদিন নির্দিষ্ট কয়েক ঘণ্টা সবাইকে ঘুমাতে হয়। ঘুমানোর ফলেই শরীরে মেলে বিশ্রাম। শুধু…
রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর অনেকেই জানতে পারেন হিমোগ্লোবিনের ঘাটতিতে ভুগছেন তিনি। এ সমস্যায় কমবেশি সবাই ভুগে থাকেন। তবে ক্রমশ…