ওষুধ ছাড়াই মাইগ্রেন সারানোর উপায় সম্পর্কে জেনেনিন বিস্তারিত ভাবে

সব ব্যথাই কষ্টদায়ক, কিন্তু মাইগ্রেনের ব্যথা যেন সবাইকে ছাড়িয়ে! এই অসুখ বড্ড খামখেয়ালি, শুরু হলে নিয়ন্ত্রণে রাখা মুশকিল হয়ে যায়। বর্তমানে মাইগ্রেন নামক মাথা ব্যথা বেশ পরিচিত। কারণ ঘরে ঘরে এই সমস্যা ছড়িয়ে পড়েছে। যারা দীর্ঘ সময় কম্পিউটার স্ক্রিনের সামনে থাকেন, তাদের ক্ষেত্রে এটি বেশি দেখা যায়।

মাইগ্রেন থেকে মুক্তি পেতে অনেকে হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেয়ে থাকেন। কিন্তু এর থেকে সহজে মুক্তি মেলে না। যদি সাময়িক আরাম পাওয়াও যায়, আবার যখন-তখন ফিরে আসতে পারে ব্যথা। এই ব্যথা এমনই অস্বস্তিদায়ক যে একবার শুরু হলে আর কোনো কাজে মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হয় না।

মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণে বেছে নিতে পারেন প্রাকৃতিক উপায়। এটি সমাধানে কিছু বদল আনতে হবে জীবনযাত্রায়। এতে সমস্যা অনেকটাই দূর হবে। নিতে হবে না বাড়তি কোনো চাপ, করতে হবে না বাড়তি কোনো খরচও। কেবল নজর রাখতে হবে কিছু বিষয়ে। চলুন জেনে নেওয়া যাক মাইগ্রেন সারাতে হলে কী করতে হবে-

রাতে দই খাবেন না

অনেকের অভ্যাস থাকে রাতের বেলা দই খাওয়ার। এর নানা উপকারিতার কথাও বলা হয়ে থাকে। বিশেষ করে হজমে সহায়ক বলে এর সুনাম রয়েছে। কিন্তু আপনার যদি মাইগ্রেনের সমস্যা থাকে তবে রাতের বেলা দই খাওয়ার অভ্যাস পুরোপুরি বাদ দিতে হবে। সেইসঙ্গে রাতের বেলা টক জাতীয় সব ধরনের খাবার খাওয়া থেকেও বিরত থাকবেন।

রাতে গরম জল বা আদা চা খাবেন না

রাতে গরম জল অথবা বেশি করে আদা দিয়ে চা ফুটিয়ে খেতে ভালোবাসেন? বলছি না এই অভ্যাস খারাপ। কিন্তু আপনার যদি মাইগ্রেন থাকে তবে এটিও বন্ধ করতে হবে। কারণ রাতের বেলা আপনার শরীরের প্রদাহ মাত্রা বেড়ে গেলেই বিপদ, বেড়ে যেতে পারে মাইগ্রেন।

খাবারের তালিকায় পরিবর্তন

মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে খাবারের তালিকায় কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি। যেমন অতিরিক্ত কার্ব বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাবেন না। অতিরিক্ত মিষ্টির কারণে আপনার ইনসুলিন মাত্রা বেড়ে গেলেই বিপদ। তাই খাবারের ক্ষেত্রে এই নিয়মগুলো মেনে চলুন।

ধূমপান ও মদ্যপান বাদ দিন

ধূমপান কিংবা মদ্যপান তো কখনোই শরীরের জন্য ভালো নয়। একথা আমাদের সবারই জানা। এই জানা জিনিসটিই মানতেও হবে। আপনার এ ধরনের অভ্যাস থাকলে তা পুরোপুরি বাদ দিতে হবে। সেই সঙ্গে সমস্ত কোমল পানীয় পান করা থেকেও বিরত থাকুন।

ব্যায়াম

শুধু খাবার নয়, খেয়াল রাখতে হবে ব্যায়ামের দিকেও। করতে হবে বেশ কিছু ব্যায়াম। যেমন যেমন নাস্যা, ভ্রামারি এবং অনুলোম বিলম ইত্যাদি মাইগ্রেনের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে। প্রতিদিনই এগুলো মেনে চলতে হবে। দিনের মধ্যে অন্তত আধা ঘণ্টা সময় রাখুন ব্যায়ামের জন্য।

ঠান্ডা জলর ব্যবহার

প্রতিদিন সকালে উঠে করতে হবে ছোট্ট একটি কাজ। ঘুম থেকে ওঠার পর ঠান্ডা জল হাতে নিয়ে অল্প অল্প করে নাক দিয়ে টানুন। প্রতিদিন এভাবে অভ্যাস করুন। তবে খেয়াল রাখবেন একবারে বেশি টানবেন না, এতে সমস্যা হতে পারে।

News Desk

Recent Posts

নেবুলাইজার কেন ব্যবহার করা হয়?

হাঁপানি, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ও অন্যান্য শ্বাসনালির সংক্রমণজনিত রোগ তীব্র আকার ধারণ করলে নেবুলাইজার ব্যবহার করা হয়। রোগী যখন ইনহেলারের…

2 hours ago

বারবার পানি পিপাসা লাগা কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো?

গরমে অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। ফলে বারবার পানি পিপাসা লাগা স্বাভাবিক। আর এ সময় প্রচুর পরিমাণ…

9 hours ago

মসলা চা পানে মিলবে যেসব উপকার

দিনে বেশ কয়েকবার চায়ের কাপে চুমুক না দিলে অনেকেরই দিন কাটে না। বিভিন্ন ধরনের চায়ের মধ্যে মসলা চায়ের স্বাদও যেমন…

10 hours ago

গরমে বাড়তে পারে কিডনির সমস্যা, কীভাবে সতর্ক থাকবেন?

হঠাৎ করেই কিডনির সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত গরমে পানিশূন্যতার কারণে হঠাৎই বিকল হতে পারে কিডনি। মূলত তাপমাত্রা ও…

10 hours ago

খাবার কেনার আগে প্যাকেটের কোন লেখা অবশ্যই পড়বেন?

কর্মব্যস্ত জীবনে কমবেশি সবাই এখন রেডিমেড খাবারের উপর নির্ভরশীল। এ কারণে বেশিরভাগ খাবারই এখন প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হয়। প্রায়…

1 day ago

বিশ্বব্যাপী যে কারণে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব

গরমে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। একই সঙ্গে বাড়ে মৃতের সংখ্যাও। আজ ১৬ মে জাতীয় ডেঙ্গু দিবস। ডেঙ্গু…

1 day ago