শরীরের ফাটা দাগ দূর হবে এই ২টি বিশেষ টোটকার সাহায্যে, দেখেনিন

নারী-পুরুষ এমনকি স্বাস্থ্যবান শিশুদের শরীরেও ফাটা দাগ দেখা যায়। রেখার মতো এ দাগগুলো ঘাড়ে, বগলে, পেটে, কোমরে, উরুতে, নিতম্বে কিংবা স্তনে হয়ে থাকে। হঠাৎ করে ওজন বাড়লে এ সমস্যা দেখা দেয় শরীরে। এ দাগগুলো সহজে শরীর থেকে যেতে চায় না। নারীদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণের পর ফাটার দাগ দেখা দেয়। যা খুবই বিব্রতকর।

আবার বয়ঃসন্ধিকালে শিশুদের উরু, নিতম্ব, হাঁটু এবং কনুইতে ফাটা দাগ হতে পারে। যদি শিশু বয়সের তুলনায় মোটা হয়ে থাকে, তখন এমন দাগ হয়ে থাকে। এ দাগগুলো কখনো লাল, আবার কখনো সাদা ধরনের হয়ে থাকে। লাল রঙা দাগগুলোকে স্ট্রিয়া রুব্রা বলা হয়। যা প্রাথমিক পর্যায়ে লালচে বা বেগুনি রঙা হয়।

শরীরের রক্তনালীগুলো প্রকাশ হওয়ায় এগুলো লাল রঙের হয়ে থাকে। অন্যদিকে সাদা দাগগুলো স্ট্রিয়া আলবা নামে পরিচিত। বেশিরভাগের ক্ষেত্রে এ ধরনের দাগ দেখা দেয়। শরীরের ফাটা দাগ দূর করা যায় এমন অনেক প্রসাধনী বাজারে দেদারছে বিক্রি হয়ে থাকে। যেগুলো কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি। ত্বকের ক্ষেত্রে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে এসব প্রসাধনী।

তার চেয়ে বরং ভরসা রাখুন প্রাকৃতিক উপায়ে। মাত্র দু’টি উপাদান ব্যবহার করেই দূর করতে পারবেন শরীরের জেদি ফাটা দাগ। তাও আবার কোনো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া ছাড়াই। জেনে নিন উপায়-

ডিমের সাদা অংশ
ডিমের সাদা অংশ ত্বকের জন্য খুবই উপকারী উপাদান। প্রোটিন এবং অ্যামিনো অ্যাসিডে ভরপুর ডিমের সাদা অংশ ত্বকের জন্য সুপারফুড। ত্বকের ফাটা দাগে নিয়মিত ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করলে ত্বক দ্রুত টাইট হতে থাকে। ফলে ধীরে ধরে ত্বকের ফাটা দাগ দূর হবে।

ক্যাস্টর অয়েল
ত্বক ও চুলের জন্য ক্যাস্টর অয়েল জাদুকরী ভূমিকা রাখে। শরীরের ফাটা স্থানে ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহারে ফলে ধীরে ধীরে দাগ দূর হয়ে যায়। এজন্য নিয়মিত ক্যাস্টর অয়েল ফাটা স্থানে ম্যাসেজ করে ব্যবহার করুন ১০-১৫ মিনিট। এরপর পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে ফাটা স্থান ঢেকে রাখুন এবং হিটিং প্যাড ব্যবহার করে ঢেকে রাখা স্থানে সেঁক দিন। একমাসের মধ্যেই পরিবর্তন চোখে পড়বে। পাশাপাশি লেবুর রস, আলুর রস, অ্যালোভেরা জেল, এপ্রিকটস, ব্ল্যাক টি এবং অরগ্যান অয়েল ব্যবহার করতে পারেন শরীরের ফাটা স্থানে। যে উপাদানটিই ব্যবহার করুন না কেন, নিয়মিত করতে হবে। ধৈর্য্য ধরে ত্বকের যত্ন নিলে ধীরে ধীরে দাগ কমতে শুরু করবে।

পাশাপাশি খাদ্যাভাসেও পরিবর্তন আনতে হবে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার যেমন- বেরি, কাঁচা বাঁধাকপি, ভিটামিন সি জাতীয় ফল, কিউই ফল, বাঙ্গি, মটর, মরিচ, ব্রকলি, আনারস, পালং শাক, টমেটো এবং শালগম ইত্যাদি খেতে হবে। এতে শরীরের ফ্রি র্যাডিকেলস দূর হবে।

News Desk

Recent Posts

নেবুলাইজার কেন ব্যবহার করা হয়?

হাঁপানি, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ও অন্যান্য শ্বাসনালির সংক্রমণজনিত রোগ তীব্র আকার ধারণ করলে নেবুলাইজার ব্যবহার করা হয়। রোগী যখন ইনহেলারের…

3 hours ago

বারবার পানি পিপাসা লাগা কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো?

গরমে অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। ফলে বারবার পানি পিপাসা লাগা স্বাভাবিক। আর এ সময় প্রচুর পরিমাণ…

10 hours ago

মসলা চা পানে মিলবে যেসব উপকার

দিনে বেশ কয়েকবার চায়ের কাপে চুমুক না দিলে অনেকেরই দিন কাটে না। বিভিন্ন ধরনের চায়ের মধ্যে মসলা চায়ের স্বাদও যেমন…

11 hours ago

গরমে বাড়তে পারে কিডনির সমস্যা, কীভাবে সতর্ক থাকবেন?

হঠাৎ করেই কিডনির সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত গরমে পানিশূন্যতার কারণে হঠাৎই বিকল হতে পারে কিডনি। মূলত তাপমাত্রা ও…

11 hours ago

খাবার কেনার আগে প্যাকেটের কোন লেখা অবশ্যই পড়বেন?

কর্মব্যস্ত জীবনে কমবেশি সবাই এখন রেডিমেড খাবারের উপর নির্ভরশীল। এ কারণে বেশিরভাগ খাবারই এখন প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হয়। প্রায়…

1 day ago

বিশ্বব্যাপী যে কারণে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব

গরমে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। একই সঙ্গে বাড়ে মৃতের সংখ্যাও। আজ ১৬ মে জাতীয় ডেঙ্গু দিবস। ডেঙ্গু…

1 day ago