গরম বেড়েই চলেছে। এদিকে গরমের তীব্রতায় অস্থির সবাই। ঘরে তবু যেমন-তেমন, বাইরে বের হলে যেন আর রক্ষা নেই! সূর্যমামা তার রাঙা চোখ নিয়ে আপনার দিকেই তাকিয়ে থাকবে! এই তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন কেউ কেউ। কারও কারও ক্ষেত্রে হচ্ছে হিট স্ট্রোক। এই সময়ে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। জেনে নিন সেগুলো কী-
জল পান করুন
গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে পর্যাপ্ত জল পান করুন। নির্দিষ্ট সময় পরপর জল পান করবেন। তবে খাবার খাওয়ার সময় অতিরিক্ত জল পান করবেন না, এতে খাবার হজমে সমস্যা দেখা দেবে। জল পান করতে হবে খাবার খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে কিংবা পরে। এতে হজম ঠিকভাবে হবে, শরীরেও আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
জলের বোতল সঙ্গে রাখুন
বাইরে বের হলে জল ছাড়া বের হবেন না। গরমে বাইরে বের হলে সব সময় সঙ্গে জলের বোতল রাখুন। বাড়ি থেকে বিশুদ্ধ জল নিয়ে যান। বাইরে বের হওয়ার পর তৃষ্ণা পেলে জল পান করুন। দীর্ঘ সময় জল পান না করে থাকবেন না। বাইরের খোলা শরবত, জুস বা অস্বাস্থ্যকর কোনো পানীয় পান করবেন না। এতে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।
হালকা রঙের ঢিলেঢালা পোশাক পরুন
রোদে বের হলে অবশ্যই হালকা রংয়ের ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে। কারণ এতে গরমের অনুভূতি কম হবে, স্বস্তি পাওয়া যাবে। এসময় গাঢ় রঙের পোশাক পরলে গরম ও অস্বস্তি দুটিই বেড়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে টাইট ফিটিং পোশাক পরা থেকেও বিরত থাকুন। কারণ তাতে গরম বেশি লাগে।
ছাতা ও টুপি ব্যবহার করুন
শুধু বৃষ্টির দিনেই নয়, ছাতার প্রয়োজন পড়ে রোদ থেকে বাঁচতেও। তীব্র রোদে বের হলে অবশ্যই সঙ্গে ছাতা রাখবেন। এতে রোদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ হবে। ছাতার বদলে সঙ্গে রাখতে পারেন টুপিও। তীব্র রোদে এটিও আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে। এছাড়া রোদে বের হলে কাপড় দিয়ে মাথা ঢেকে রাখতে পারেন।
হালকা খাবার খান
গরমে ভারী খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এসময় অতিরিক্ত ভাজাপোড়া বা মসলাদার খাবার শরীরে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তাই গরমের সময়ে হালকা খাবার খান। এতে শরীর ভালো থাকবে।
জলযুক্ত ফল খান
গরমের মৌসুমে নানা ধরনের ফল পাওয়া যায়। সুমিষ্ট ও রসালো সেসব ফল খেতে হবে নিয়মিত। যেসব ফলে জলের অংশ বেশি যেমন তরমুজ, ফুটি, নাশপাতি, কমলা ইত্যাদি বেশি করে খেতে হবে। এতে শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি হবে না। তীব্র গরমেও আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন।
অসুস্থ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
গরমের কারণে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে অবহেলা করবেন না। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এতে যেকোনো অসুখ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া সহজ হবে। গরমে নিজেকে সুস্থ রাখার প্রচেষ্টা থাকুক। কারণ সবার আগে নিজের প্রতি যত্নশীল হতে হবে নিজেকেই।bs
গাড়ির আওয়াজে অনেকেরই বুক ধড়ফড় করতে শুরু করে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে, তীব্র যানজট ও সেই কারণে সৃষ্ট শব্দদূষণের সঙ্গে…
শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে ব্যস্ত হলো হৃৎপিণ্ড। এটি মানুষের জীবদ্দশায় কখনো বিশ্রাম নেয় না। দিনে অন্তত এক লাখ বার…
গরমে ত্বক হয়ে পড়ে নিষ্প্রাণ। তাই এ সময় ত্বকের জন্য দরকার বাড়তি যত্ন, না হলে ত্বক হারায় উজ্জ্বলতা ও সতেজতা।…
পটলের নাম শুনলে অনেকেই নাক সিঁটকায়। আবার অনেকেই আছেন, যারা ভাজা হোক বা ভর্তা, পটল খেতে ভালবাসেন। যারা নিয়মিত পটলের…
ডায়রিয়া, কলেরা, বমি, আমাশয়, পাতলা পায়খানা, অতিরিক্ত ঘাম বা অন্য যে কোনো কারণঘটিত পানিশূন্যতার ক্ষেত্রে খাবার স্যালাইন বা ওরাল স্যালাইন…
প্রচণ্ড এই গরমে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। ফলে এ সময় খাদ্যতালিকায় বেশ কিছু ফল রাখা উচিত, যাতে গরমেও শরীর ঠান্ডা…