শরীরে মেদ বেড়ে যাওয়া বর্তমান সময়ের খুব সাধারণ একটি সমস্যা। পেট ফোলা, পেট ফাঁপা ও ব্যথা হওয়ার মত সমস্যাগুলোর সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। আর এগুলো প্রতিদিনের কাজকর্মে বাধা হয়ে দাড়ায়। বিশেষকরে বাইরে যাওয়ার সময় এগুলো হলে অনেক ভোগান্তির মাঝে পড়তে হয়। এমনকি জিন্স বা টাইট কোনো পোশাক পরতেও অস্বস্তি অনুভূত হয়।
কম বয়সেও এখন অনেকের মেদ বেড়ে যেতে দেখা যায়। তাই সময় থাকতেই কিছু বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত সাধারণ উপায় অবলম্বন করে পাওয়া যেতে পারে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ। আসুন জেনে নেই পেটের মেদ কমানোর ৭ উপায়-
১. নিয়ন্ত্রিত খাবার খাওয়া: বেশি খাবার খাওয়ার ফলে শরীরে মেদ বেড়ে যায়। বিশেষ করে খাবার তাড়াতাড়ি করে খাওয়ার ফলে এটি বেশি হয়ে থাকে। কারণ, খাবার দ্রুত খাওয়ার কারণে অনেক সময় বোঝা যায় না কতোটা পরিমাণে খাওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রায়ই বেশি খওয়া হয়ে যায়। এটার ফল হিসেবে বেড়ে যেতে পারে মেদ। তাই কখনো তাড়াহুড়ো করে না খেয়ে মনোযোগসহ খাবার খেতে হবে, অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা এবং প্রতিটি খাবার ভালো করে চিবিয়ে কেতে হবে।
২. অ্যালার্জি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা: অ্যালার্জি জাতীয় খাবার বেশি খেলে তা অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে এবং পেটে গ্যাস অনুভব হতে পারে। যদি কোনো খাবার খাওয়ার পরে পেটে ফোলা অনুভব হয় তবে এটি অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। ল্যাকটোজ, ফ্রুক্টোজ, ডিম এবং আঠালো কিছু খাবারও অনেকের অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে। এগুলো খাওয়ার ফলে অনেকের তা হজম করা কঠিন হয়ে থাকে যার কারণে পেট ব্যথা করতে পারে। এ ধরনের যেকোনো খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
৩. গ্যাস সৃষ্টিকারক খাবার এড়িয়ে চলা: কার্বনেটেড পানীয় পান বা পাইপ দিয়ে কোনো পানীয় পান করা এবং চুইংগাম চিবানো, এই সময় প্রচুর বায়ু এবং গ্যাস আমাদের পেটের ভেতরে প্রবেশ করে। এর ফলে পেটে গ্যাস হয় এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করে পেট ব্যথা করতে পারে। তাই এ জিনিসগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।
৪. উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার এড়ানো: যেসব খাবার বেশি ফাইবার সমৃদ্ধ সেগুলো খাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ এ খাবারগুলো পেটে প্রচুর গ্যাস তৈরি করতে পারে। এ ধরনের খাবারের তালিকায় রয়েছে শিম, ডাল, লেবু ও চর্বিযুক্ত খাবার। এগুলো হজমশক্তি কমিয়ে দেয়।
৫. খাবার খাওয়ায় দূরত্ব কমানো: অনেকক্ষণ না খাওয়ার কারণে অন্ত্র ব্যাকটেরিয়ায় পেটে গ্যাস সৃষ্টি হতে পারে। তাই হজম ঠিক রাখতে সারাদিন ছোট ছোট ব্যবধানে খাবার খেতে হবে। ছোট ব্যবধানের খাবারে বাদাম বা ফলমূল রাখা যেতে পারে। এগুলো পেটের ফোলাভাব এবং মেদ সমস্যা রোধ করতে সহায়তা করে।
৬. প্রোবায়োটিক খাবার খাওয়া: পেটের অন্ত্র খারাপ থাকা মেদ সৃষ্টির অন্যতম প্রধান কারণ। এ থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। দই ও আচার জাতীয় প্রোবায়োটিক খাবার ভালো অন্ত্র ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে এবং হজম প্রক্রিয়া গতি বাড়াতে সহায়তা করে।
৭. লবণ ও সোডিয়ামযুক্ত খাবার পরিহার: নোনতা নাস্তা বা বেশি পরিমাণে সোডিয়ামযুক্ত খাবার গ্রহণও এ সমস্যা সৃষ্টির অন্যতম কারণ হতে পারে। সোডিয়ামযুক্ত খাবার শরীরে জল ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং এর কারণে পেট ফুলে-ফেঁপে উঠতে পারে। তাই লবণযুক্ত এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলি এড়িয়ে চলতে হবে।
হাঁপানি, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ও অন্যান্য শ্বাসনালির সংক্রমণজনিত রোগ তীব্র আকার ধারণ করলে নেবুলাইজার ব্যবহার করা হয়। রোগী যখন ইনহেলারের…
গরমে অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। ফলে বারবার পানি পিপাসা লাগা স্বাভাবিক। আর এ সময় প্রচুর পরিমাণ…
দিনে বেশ কয়েকবার চায়ের কাপে চুমুক না দিলে অনেকেরই দিন কাটে না। বিভিন্ন ধরনের চায়ের মধ্যে মসলা চায়ের স্বাদও যেমন…
হঠাৎ করেই কিডনির সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত গরমে পানিশূন্যতার কারণে হঠাৎই বিকল হতে পারে কিডনি। মূলত তাপমাত্রা ও…
কর্মব্যস্ত জীবনে কমবেশি সবাই এখন রেডিমেড খাবারের উপর নির্ভরশীল। এ কারণে বেশিরভাগ খাবারই এখন প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হয়। প্রায়…
গরমে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। একই সঙ্গে বাড়ে মৃতের সংখ্যাও। আজ ১৬ মে জাতীয় ডেঙ্গু দিবস। ডেঙ্গু…