রান্নায় লবণ না দিলে খাবারের আসল স্বাদ পাওয়া যায় না। তাইতো প্রতিদিনের রান্নায় আমরা লবণ ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এর বাইরেও খাবারের সঙ্গে অনেকেই বাড়তি লবণ খেয়ে থাকেন। অর্থাৎ এমন অনেকেই আছেন যারা ভাত কিংবা অন্য কোনো খাবারের সঙ্গে কাঁচা লবণ খেয়ে থাকেন। অথচ এই সামান্য ভুল কত বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে তা অনেকেই জানেন না।
জেনে আশ্চর্য হবেন যে, একটু স্বাদ বাড়াতে গিয়ে আমরা নিজেদের ঠেলে দিচ্ছি হৃদরোগ, হাইপারটেনশন ও স্ট্রোকের মতো ঝুঁকিতে। শরীরে লবণের মাত্রা বেশি হলে শরীর তা আগে থেকেই কিছু সংকেত দেয়। এই সংকেতগুলো সময়মতো বুঝতে না পারলেই বিপদ। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক শরীরে লবণের মাত্রা বেড়েছে কিনা কোন কোন সংকেত বা লক্ষণ দেখে বুঝবেন-
অনবরত মাথাব্যথা
থেকে থেকে মাথা ব্যথা করাও শরীরে অতিরিক্ত লবণের কারণ। শরীরের আর কোনো সমস্যা না থাকলে এই অনবরত মাথা ব্যথা আপনার শরীরকে লবণের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে ধরে নিবেন।
পেট ফাঁপা
অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের জন্য পেট ফেঁপে যেতে পারে। মনেহয় পেট খাবারে পূর্ণ, হাঁসফাঁস লাগে। একটু জল খেলেও পেট ভরে ওঠে। এধরনের সমস্যা হলে বুঝেবেন শরীরে লবণের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে।
তীব্র ব্যথা
অতিরিক্ত লবণ হাড়েরও ক্ষতি করে। বিশেষত নারীদের হাড় ক্ষয়ের পেছনে অতিরিক্ত লবণ গ্রহণই বেশি দায়ী। তাই হাড়ের ক্ষয়জনিত বা বিভিন্ন জয়েন্টে তীব্র ব্যথা হলে লবণের পরিমাণটা পরীক্ষা করে নিন।
স্বাদহীনতা
যতই লবণ দিচ্ছেন মনে হচ্ছে আরেকটু দেওয়া উচিৎ? বেশি লবণ খাওয়ার বড় একটা কুফল এটি। এতে করে পরে লবণ পরিমিত মাত্রায় খেলেও মনে হয় খাবারে মোটেও লবণ হয়নি। অর্থাৎ অতিরিক্ত লবণ আপনার স্বাদের অনুভূতিও বদলে দেয়।
পেশীর অস্বাভাবিকতা
শরীরে জল জল ভাব চলে আসা বা মাংশপেশীর অস্বাভাবিক ব্যথার জন্য অতিরিক্ত লবণও দায়ী। শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য ঠিক না থাকলেও ত্বক কুঁচকে আসে বা ফুলে ওঠে। তাই লক্ষ্য রাখুন, বিশেষ কোনও কারণ ছাড়াই মোটা হয়ে যাচ্ছে কিনা বা ত্বক কুঁচকে আসছে কিনা।
ঘন ঘন তৃষ্ণা
পরিমাণমতো জল পানের পরও বার বার পিপাসা লাগে শরীরে লবণের পরিমাণ বেড়ে গেলে। শরীরে থাকা বেশি সোডিয়াম তথা লবণটাই আপনার ভেতরকার তরলের ভারসাম্য ঠিক রাখতে পারছে না। এটা জলশূন্যতারও প্রাথমিক লক্ষণ। এমনটা দেখা দিলে শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ পরীক্ষা করা উচিত।
গরমে অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীরে পানির ঘাটতি হয়। তাই এ সময় হাইড্রেট থাকার বিকল্প নেই। এমন কিছু পানীয় আছে, যা…
এই তাপপ্রবাহে শরীর থেকে ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যাচ্ছে সোডিয়াম ও পটাশিয়াম। ফলে কাটছে না শরীরের ক্লান্তি। আর এ সমস্যা থেকে…
হাঁপানির সমস্যা কারও কারও ক্ষেত্রে মারাত্মকও হতে পারে। হাঁপানি মূলত একটি দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা। এক্ষেত্রে শ্বাসনালিতে প্রদাহ দেখা দেয় ও…
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুসারে, বাংলাদেশের জনসংখ্যার সাত শতাংশ অর্থাৎ প্রায় এক কোটি ১০ লাখ মানুষ থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক এবং…
সর্দিতে নাক বন্ধ হওয়ার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। এক্ষেত্রে শ্বাস নিতে বেশ কষ্ট হয়। তবে শুধু সর্দির কারণেই নয় বরং অ্যালার্জিসহ…
অনেকেই অতিরিক্ত রাগের সমস্যায় ভোগেন। তবে রাগ শরীরের জন্য মোটেও ভালো না। রাগ কখনো কখনো মানসিক রোগের কারণও হতে পারে।…