কেউ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে কী করবেন? দেখেনিন একঝলকে

প্রতিদিন আমাদের যা কিছু দরকার হয় তার মধ্যে অন্যতম হলো বিদ্যুৎ। ফ্যান, বাতি, এসি, ওভেন, টিভি, কম্পিউটার- কীসে লাগে না এই বিদ্যুৎ! একদিন বিদ্যুৎ না থাকলেই বোঝা যায় এর অপরিহার্যতা ঠিক কতটুকু। বিদ্যুতের নানা কাজে অংশ নিতেই হয় আমাদের। তাই সাবধানতা না মানলে অনেক সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।মানবদেহ বিদ্যুতের সুপরিবাহী। তাই বিদ্যুৎপ্রবাহ আছে এমন কোনো খোলা তার বা বোর্ডের সংস্পর্শে এলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন অনেকেই। বিদ্যুতের প্রাবল্যের উপর মানুষের বেঁচে থাকাও নির্ভর করে। খুব কম সময়ে শরীরে অনেকটা বিদ্যুৎ চলে গেলে সেই মানুষের তৎক্ষণাৎ মৃত্যুও অসম্ভব নয়।

যিনি বিদ্যুৎপৃষ্ট হন তার তো কিছুই করার থাকে না। তখন আশেপাশে যারা থাকেন তারা কিছু করণীয় মেনে চললে বেঁচে ফিরতে পারেন আক্রান্ত ব্যক্তিটি। দেখে নিন, হঠাৎ কেউ বিদ্যুৎপৃষ্ট হলে তাকে বাঁচাতে করণীয়-

*কেউ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে কোনোভাবেই তার গায়ে হাত দেবেন না। গায়ে জলও দেবেন না। বরং ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিন। ধাক্কা দেওয়ার সময় শুকনো উলের পোশাক, কাঠের টুকরো, খবরের কাগজ অথবা রাবার জাতীয় তড়িৎ অপরিবাহী বস্তু দিয়ে সজোরে আঘাত করে সরান। তাতে বিদ্যুতের উৎস থেকে সেই ব্যক্তির ছিটকে যাওয়া সম্ভব হবে।

*দ্রুত কাউকে মেইন সুইচ বন্ধ করতে বলুন। অনেক সময় এই মেইন সুইচ বন্ধ করতে গিয়ে যে সময় নষ্ট হয়, তাতেই প্রাণ চলে যায় বিদ্যুস্পৃষ্ট ব্যক্তির। তাই সামনে থাকলে তাকে বিদ্যুতের উৎস থেকে সরানোর চেষ্টাই প্রথম করুন, সঙ্গে অন্য কাউকে নির্দেশ দিন মেইন সুইচ বন্ধ করার। একান্ত সে উপায় না থাকলে বা হাতের কাছে তড়িৎ অপরিবাহী কিছু না মিললে দ্রুত মেইন সুইচ বন্ধের দায়িত্ব নিন।

*বিদ্যুৎ থেকে মুক্তি পেলেও অনেক সময় ব্যক্তির শ্বাসপ্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। তেমন হলে বুকের উপর জোরে চাপ দিয়ে হৃদযন্ত্র চালু করুন।

*রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন।

*বিদ্যুতের উৎস থেকে সরাতে পারলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সঙ্গে সঙ্গে গরম দুধ ও গরম জল খাওয়ান। এতে শরীরের রক্ত সঞ্চালন দ্রুত স্বাভাবিক হবে।

সাবধানতা:

*বিদ্যুতের কাজ করার সময় মেইন সুইচ বন্ধ করে নিন আগেই।

*পায়ে রাবারের জুতা দিয়ে বিদ্যুতের কাজ করুন, খালি পায়ে এমন কাজে না হাত দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

*কোনোভাবেই ভেজা হাতে বাড়ির বৈদ্যুতিক সুইচে হাত দেবেন না।

*খোলা তার এড়িয়ে চলুন, রাস্তায় কোনো কারণে জল জমে থাকলে সেখানে খালি পায়ে বা রাবার, স্পঞ্জ ভিন্ন অন্য উপাদানের জুতা পরে হাঁটাচলা করবেন না।

*বাড়ির সব কটি বৈদ্যুতিক তার ও আর্থিং ঠিক আছে কি না দেখে নিন।

News Desk

Recent Posts

মুখের ভেতরে ঘা হয়েছে, ওরাল ক্যানসারের লক্ষণ নয় তো?

মুখের ভেতরে ঘা হওয়ার সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। ভিটামিন স্বল্পতার কারণেই মাউথ আলসারের সমস্যা বেশি দেখা যায়। তবে এই সমস্যাকে…

1 hour ago

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে যেভাবে সাহায্য করে মৌরি

সকালে উঠে মৌরি ভেজানো পানি পান করে অনেকেই দিন শুরু করেন। মূলত পেট পরিষ্কার করতে এর উপর ভরসা রাখেন অনেকে।…

10 hours ago

এনার্জি পেতে চা-কফির পরিবর্তে অভ্যাস করুন ৬ জিনিসের

সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চা বা কফিতে চুমুক না দিলে যেন শরীর ও মন চাঙ্গা হয়ে ওঠে না।…

11 hours ago

গরমে কোন কোন রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় ও প্রতিরোধে কী করবেন?

শীত শেষে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে এরই মধ্যে। প্রায় সব ঘরেই দিন-রাতে চলছে ফ্যান বা এসি। ঋতু পরিবর্তনের এ সময়…

12 hours ago

শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি আছে কি না বুঝে নিন ৫ লক্ষণে

শরীরকে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে প্রোটিনের বিকল্প নেই। আপনি যদি নির্বিঘ্নে কাজ করতে চান, তাহলে পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে।…

13 hours ago

ঘুমের মধ্যে কিংবা হাঁটতে গিয়ে পেশিতে টান ধরে যে কারণে

পেশিতে টান ধরার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। কখনো ঘুমের মধ্যে কিংবা কখনো হাঁটতে গিয়ে বা আড়মোড়া ভাঙতে গিয়ে হঠাৎই পেশি শক্ত…

14 hours ago