শিশু কথা শোনে না? জেনে নিন করণীয় সম্পর্কে

শিশুকে শাসন করার প্রসঙ্গ এলে মা-বাবা হিসাবে আপনাকে সব রকম উপায় অবলম্বন করতে হবে। কখনো নরম গলায় বা সহজ-সরলভাবে বুঝিয়ে আবার কখনো বা তিরস্কার করে এবং কঠোরভাবে শাসিয়ে, কোনটি সবচেয়ে ভালো কাজ করে তা পরীক্ষা করার জন্য এমনটা করা হয়।

কিন্তু যখন আপনার সন্তান এসব শাসন বারণ অবহেলার দৃষ্টিতে দেখে বা তাদের কাছে তুচ্ছ ব্যাপার মনে হয়, তখন কী করবেন? যেসব শিশু প্রায় সময়ই বকাঝকা শোনে বা শাস্তি পায়, এক পর্যায়ে নিয়মিত শাস্তি পাওয়াটা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়। এর ফলে তারা বিরক্ত হয়, রেগে যায় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ‘যাই হোক না কেন’ বলে আপনাকে উপেক্ষা করবে। এ ধরণের আচরণের ক্ষেত্রে মা-বাবার জন্য কয়েকটি কার্যকরী করণীয় প্রকাশ করছে টাইমস অফ ইন্ডিয়া।

কার্যকরী উপায়
শাস্তির ধরণ কেমন হবে তা নির্ভর করে একেকটি শিশুর স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের ওপর। যেমন- বকাঝকা করা বা রুমে পাঠিয়ে দেয়া হয়তো কারো জন্য বড় ধরণের শাস্তিও হতে পারে। আবার আরেকজনের কাছে এটি বিচ্ছিন্ন ব্যাপার হতে পারে। আপনার শিশুর জন্য কী ধরণের শাস্তি কার্যকরী সেদিকে নজর দিন এবং তা কেবল যখন শিশু অবাধ্য হয়ে যায় তখনই এটি অবলম্বন করুন। তবে এত বেশি কঠোর হবেন না, যা তার পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়।

ভাব-প্রকাশের সুযোগ দিন
আপনার শিশুকে ব্যাপারটি বুঝতে দিন। যখন সে কথা বলার সময় খারাপ ব্যবহার বা অমার্জিত আচরণ করে তখন আপনি কেমন বোধ করেন। তার আচার-আচরণ বা কথা-বার্তায় কীভাবে সে মানুষের মনে ব্যথা দিতে পারে সে ব্যাপারে সচেতন করে তুলুন। মাঝে মাঝে মনোবিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে শিশুর আচরণের প্রবণতা বুঝতে পারেন, যা সময়মতো তার আচরণটি সংশোধন করতে সহায়তা করে।

শিশুর সাথে আলোচনা করুন
আপনার শিশু যে ভুল করেছে তা বোঝাতে আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হলো, বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করা। আপনার শিশুকে কখনোই তর্ক-বিতর্কের যাওয়ার সুযোগ দেবেন না, কারণ এটি আগুনে জ্বালানী হিসেবে কাজ করে। অতি রাগান্বিত হলে থেমে যান আর না হয় আপনার সন্তানের কাছে পরিষ্কার করুন যে, আপনি এ ধরণের আচরণ আশা করেননি। ঝামেলা মিটে গেলে আপনি বিষয়টি নিয়ে আসতে পারেন এবং এ নিয়ে আপনার শিশুর সাথে বিস্তারিত আলোচনা করতে পারেন।

প্রশংসা করুন
শিশুর সামনে তাকে নিয়ে প্রশংসা করুন। তবে বেশি প্রশংসা আবার ক্ষতির কারণও হতে পারে। যখন ব্যাপারগুলো সীমা লঙ্ঘন করে এবং অন্য কোনো সমাধান পাওয়া যায় না তখন আপনি কেবল শাস্তির আশ্রয় নেবেন। আপনার শিশুর সাথে কথা বলুন এবং যখনই সে কোনো ভালো কাজ করে তখন তার প্রশংসা করুন। তার আচরণকে সংযত করতে শেখান এবং রাগের সময়ও যেন পিন-পতন নীরব থাকে সেই অভ্যাসও তৈরি করুন।

News Desk

Recent Posts

ফ্যাটি লিভার ডিজিজ কী? এর লক্ষণই বা কী কী?

ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় বর্তমানে অনেকেই ভুগছেন। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা আবার দু’ভাবে বিভক্ত- অ্যালোহলিক ও নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। অ্যালকোহলিক ফ্যাটি…

9 hours ago

তালের শাঁসের যত স্বাস্থ্য উপকারিতা

তালের শাঁস বাজারে এখন বেশ সহজলভ্য। গরমেই ফলটির দেখা পাওয়া যায়। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। গরমে…

1 day ago

ডাবের পানির বিকল্প হিসেবে যে পানীয় পান করতে পারেন

গরমে সুস্থ থাকতে কমবেশি সবারই উচিত ডাবের পানি পান করা। কারণ এ সময় ডিহাইড্রেশনের হার বেড়ে যায়। তবে এই গরমে…

1 day ago

বাথরুমে টুথব্রাশ রাখলে কী হয়?

অনেকেই বাথরুমে টুথব্রাশ রেখে দেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বাথরুমে টুথব্রাশ না রাখাই ভালো, কারণ এতে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক বাসা বাঁধতে…

1 day ago

দুপুরে ঘুমালে শরীরে যা ঘটে

দুপুরে ভরপেট খাওয়ার পর বিছানায় গা এলিয়ে দেন অনেকেই। দুপুরের ঘুমের মধ্যে অনেকেই শান্তি খুঁজে পান। তবে এই ঘুম কি…

1 day ago

নিজেকে ভালো রাখবেন কীভাবে?

নিজেকে ভালো রাখতে চাইলে সবার আগে নিজের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। প্রতিদিনই কমবেশি সবাই কিছু না কিছু সাফল্য আসে দৈনন্দিন…

1 day ago