ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চেয়ে হোয়াইট ফাঙ্গাস বেশি মারাত্মক। এখন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই দুই ছত্রাকের চেয়ে ইয়োলো ফাঙ্গাস হতে পারে বেশি বিপজ্জনক। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে এই ইয়েলো ফাঙ্গাসের প্রথম কেসটি সনাক্ত করা হয়েছে।
এই নতুন সংক্রমণ নিয়ে এখন চলছে বিস্তর গবেষণা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইয়েলো ফাঙ্গাস ব্ল্যাক এবং হোয়াইট ফাঙ্গাসের চেয়ে আরও বেশি বিপজ্জনক হতে পারে। প্রথমেই জেনে নিন, ইয়েলো ফাঙ্গাস কী?
ইয়েলো ফাঙ্গাস, সাদা এবং কালো ফাঙ্গাসের চেয়ে অনেক বেশি বিপজ্জনক বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই সংক্রমণটি সাধারণত সরীসৃপদের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। মানবদেহে এই ফাঙ্গাস সংক্রমণের ফলে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে।
মানুষের মধ্যে প্রথম গাজিয়াবাদের ৪৫ বছর বয়সী একজন ব্যক্তির মধ্যে এই ফাঙ্গাস ইনফেকশনের প্রমাণ মিলেছে। তিনি সম্প্রতি করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। ইয়েলো ফাঙ্গাসের কারণ এই সংক্রমণও প্রাথমিকভাবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণেই হয়ে থাকে।
এই ছত্রাক সংক্রমণের কারণ কী? অস্বাস্থ্যকর এবং উচ্চ আর্দ্র পরিবেশ, খারাপ স্বাস্থ্যবিধি, অস্বাস্থ্যকর খাবার এই ফাঙ্গাসের জন্য দায়ী। অতিরিক্ত আর্দ্রতাও ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের বৃদ্ধির পক্ষে উপযুক্ত পরিবেশ। এ ছাড়াও, যারা বেশি পরিমাণে স্টেরয়েড ব্যবহার করেন বা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল মেডিকেশনকেও এই সংক্রমণের কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
ইয়েলো ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি কাদের? বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, হাই কোলেস্টেরল আছে, যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন অথবা আগে থেকেই অন্যান্য রোগে আক্রান্ত, তাদের ক্ষেত্রে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি।
এ ছাড়াও ত্বকের বিভিন্ন ক্ষত যেমন- কাটা বা পুড়ে যাওয়া অংশে ফাঙ্গাস প্রবেশ করার আশঙ্কা আছে। এটি ত্বকেও বিকাশ লাভ করতে পারে। সিডিসির তথ্য মতে, এই ব্যক্তিদের মধ্যে ফাঙ্গাস ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি –
>> যারা আইসিইউতে দীর্ঘ সময় আছেন।
>> যাদের অঙ্গ প্রতিস্থাপন হয়েছে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম।
>> যারা অতিরিক্ত অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল অথবা স্টেরয়েড ব্যবহার করেন।
>> যাদের কিডনি ড্যামেজ এবং ডায়ালিসিস চলছে।
ইয়েলো ফাঙ্গাসের উপসর্গ কী কী?
>> ওজন কমে যাওয়া
>> ক্লান্তি ও দুর্বলতা
>> খিদে কমে যাওয়া
>> ইন্টারনাল
>> সংক্রমণ যদি গুরুতর হয়, সেক্ষেত্রে ফোঁড়া বা ঘা থেকে পুঁজ বের হতে পারে
>> অর্গ্যান ফেলিওর
>> অপুষ্টি
>> ক্ষত শুকায় না
>> নেক্রোসিস পর্যন্ত হতে পারে
>> লাল বা বসে যাওয়া চোখ
ইয়েলো ফাঙ্গাসের চিকিৎসা
ইয়েলো ফাংগাসের কোনো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। ব্ল্যাক এবং হোয়াইট-এর মতোই, ইয়েলো ফাঙ্গাসের প্রাথমিক চিকিৎসা হলো, অ্যান্টি ফাংগাল ইঞ্জেকশন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইয়েলো ফাঙ্গাস থেকে সেরে উঠতে, ব্ল্যাক বা হোয়াইট ফাঙ্গাসের তুলনায় বেশি সময় নেয়। বর্তমানে বেশ কিছু কেস স্টাডি করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তিদের মধ্যে এসব ফাংগাল ইনফেকশনের সংক্রমণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সবার ঘরেই অন্তত একটি করে হলেও সিলিং ফ্যান আছে। এই গরমে যাদের ঘরে এসি বা এয়ার কন্ডিশন নেই, তাদের ভরসা…
বর্তমানে কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই হাসতে ভুলে গেছেন। তবে হাসিখুশি থাকা যে শরীর ও মনের জন্য কতটা উপকারী, তা হয়তো অনেকেরই…
কোষ্ঠকাঠিন্য হলো গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি। এই তাপপ্রবাহে ডায়রিয়ার সমস্যা যেমন বেড়েছে, তেমনই অনেকের আবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও বেড়েছে। যারা এরই…
তীব্র গরমে বড়দের পাশাপাশি হাঁসফাঁস করছে ছোটরাও। এ সময় শিশুদের কীভাবে সুস্থ রাখবেন তাই এখন বড় প্রশ্ন, প্রত্যেক মা-বাবার জন্য়।…
তাপপ্রবাহে সবার মধ্যেই অস্বস্তি বেড়েছে। গরমে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি ত্বকেও দেখা দেয় ঘামাচি, ফুসকুড়ি, ট্যানসহ নানা সমস্যা। তার মধ্যে…
কাজের ব্যস্ততা কিংবা আলস্যের কারণে অনেকেই দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব আটকে রাখেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অভ্যাস হতে পারে বিপজ্জনক। এই অভ্যাসের কারণেই…