এই উপায়গুলো মেনে চললে খুশকি হবে না! জেনেনিন

আর সেইসঙ্গে যোগ হয় খুশকির সমস্যা। আর একবার খুশকি হলে তা দূর না করা পর্যন্ত শান্তি মেলে না। যখন তখন স্ক্যাল্প চুলকায়, খুশকি ভেসে ওঠে। অনেক সময় চুল আঁচড়ানোর পর পোশাকের উপরে পড়ে থাকে খুশকি। যা আপনাকে অস্বস্তিতে ফেলতে যথেষ্ট। তাই আগেভাগেই যত্নশীল হলে এই সমস্যা থেকে দূরে থাকা সম্ভব-

বেশি বেশি তরল খাবার: আর্দ্র আবহাওয়ার কারণে খুব বেশি জল তৃষ্ণা পায় না। আর সে কারণেই এসময় জল কম খাওয়া হয়। শরীরে পর্যাপ্ত জলর অভাব হলে খুব স্বাভাবিকভাবেই ভেতরকার আর্দ্রতায় টান পড়বে আর তার হাত ধরেই আসবে খুশকি। তাই নিয়মিত জল, স্যুপ, দইয়ের ঘোল, মিল্কশেক, ফল, শাকসবজি খান। খুশকিও এক ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশন, তা ঠেকাতে পারে ভিটামিন সি। আমলকীর রস, কমলা যোগ করুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়। ভিটামিন বি আর জিঙ্কের ঘাটতি মেটানোও জরুরি।

প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার করুন: চুল ও মাথার ত্বক ভালো রাখতে তেলের বিকল্প নেই। নারিকেল, আমন্ড, অলিভ বা সরষের তেলের মধ্যে যেটি আপনার চুল সুস্থ রাখতে সবচেয়ে কার্যকর সেটিই ব্যবহার করুন। তেল হালকা গরম করে নিয়ে মাথার তালুতে মাসাজ করুন সপ্তাহে অন্তত একবার। এরপর একবার গরম জলে চুবিয়ে নিংড়ে নেওয়া তোয়ালে মাথায় জড়িয়ে রাখুন। তাতে তেলের পুষ্টিগুণ চুলের গভীরে পৌঁছে যাবে। পরদিন সকালে শ্যাম্পু করে নিন। তেল আপনার স্ক্যাল্পের রুক্ষতা দূর করবে, মালিশ বাড়াবে রক্ত চলাচলের পরিমাণ। দূর হবে খুশকিও।

আপেল সাইডার ভিনিগার ব্যবহার: শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নেওয়ার পর অ্যাপল সাইডার ভিনিগারের মিশ্রণ দিয়ে ফাইনাল ওয়াশ করুন। সমান পরিমাণ জল আর ভিনিগার মিশিয়ে নিলেই আপনার হেয়ার ওয়াশ তৈরি হয়ে যাবে। তবে যাদের চুল রুক্ষ, তাদের চুল আপেল সাইডার ভিনিগার ব্যবহারের ফলে আরও রুক্ষ হয়ে যেতে পারে, তা ঠেকাতে চাইলে আগে অবশ্যই তেল মাখবেন।

নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখুন: সপ্তাহে অন্তত তিনদিন শ্যাম্পু করে চুল পরিষ্কার করলে তার স্বাস্থ্য খারাপ হয় না, বরং ভালো থাকে। যেটা দরকার, তা হচ্ছে আপনার চুলের প্রকৃতি অনুযায়ী সঠিক শ্যাম্পু বাছাই। তবে শ্যাম্পু করার পর প্রচুর জল দিয়ে চুল ধুতে হবে, স্ক্যাল্পে যেন শ্যাম্পুর ফেনা বা কন্ডিশনারের অবশিষ্টাংশ লেগে না থাকে।

অ্যালো ভেরা ও দইয়ের প্যাক: দই আর অ্যালো ভেরা জেল মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিয়ে সপ্তাহে একদিন চুলে ব্যবহার করুন। চুল থাকবে মসৃণ ও মোলায়েম খুশকিও হবে না।

হিট স্টাইলিং ব্যবহার করবেন না: খুব বেশি জেল, হেয়ার স্প্রে বা হিট স্টাইলিং করলেও কিন্তু খুশকির আশঙ্কা বাড়ে। স্টাইলিং প্রডাক্ট থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন, চুল এমনি হাওয়ায় শুকিয়ে নিলেই তার স্বাস্থ্য বেশিদিন ভালো থাকে। পেশার কারণে যাদের বার বার হিট স্টাইলিং করতে হয়, তারা অবশ্যই হিট প্রোটেকশন সিরাম ব্যবহার করবেন।

News Desk

Recent Posts

নেবুলাইজার কেন ব্যবহার করা হয়?

হাঁপানি, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ও অন্যান্য শ্বাসনালির সংক্রমণজনিত রোগ তীব্র আকার ধারণ করলে নেবুলাইজার ব্যবহার করা হয়। রোগী যখন ইনহেলারের…

5 hours ago

বারবার পানি পিপাসা লাগা কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো?

গরমে অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। ফলে বারবার পানি পিপাসা লাগা স্বাভাবিক। আর এ সময় প্রচুর পরিমাণ…

12 hours ago

মসলা চা পানে মিলবে যেসব উপকার

দিনে বেশ কয়েকবার চায়ের কাপে চুমুক না দিলে অনেকেরই দিন কাটে না। বিভিন্ন ধরনের চায়ের মধ্যে মসলা চায়ের স্বাদও যেমন…

13 hours ago

গরমে বাড়তে পারে কিডনির সমস্যা, কীভাবে সতর্ক থাকবেন?

হঠাৎ করেই কিডনির সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত গরমে পানিশূন্যতার কারণে হঠাৎই বিকল হতে পারে কিডনি। মূলত তাপমাত্রা ও…

13 hours ago

খাবার কেনার আগে প্যাকেটের কোন লেখা অবশ্যই পড়বেন?

কর্মব্যস্ত জীবনে কমবেশি সবাই এখন রেডিমেড খাবারের উপর নির্ভরশীল। এ কারণে বেশিরভাগ খাবারই এখন প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হয়। প্রায়…

1 day ago

বিশ্বব্যাপী যে কারণে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব

গরমে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। একই সঙ্গে বাড়ে মৃতের সংখ্যাও। আজ ১৬ মে জাতীয় ডেঙ্গু দিবস। ডেঙ্গু…

1 day ago