ফল যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী; তেমনই ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা রোধ করে। ফল দিয়ে তৈরি ফ্রুট ফেসিয়াল মুখের যেকোনো সমস্যা দূর করে।
ঘরোয়া ফ্রুট ফেসিয়োলেই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলুন। সাধারণ ফেসিয়ালের চেয়ে ফলের ফেসিয়াল তৈরি করা যেমন সহজ; তেমন খরচ ও সময় দুটোই বাঁচবে।
ঘরে কীভাবে এবং কি দিয়ে ফলের ফেসিয়াল তৈরি করবেন?
ফলের ফেসিয়াল করার ক্ষেত্রে কয়েকটি ধাপ আছে। যেমন- ক্লিনজিং, স্ক্রাবিং, ব্লিচিং, স্টিমিং, ফ্রুটপ্যাক, ফেসপ্যাক, টোনার ইত্যাদি৷ প্রতিটা ধাপই আপনার কাছে থাকা ফল বা অন্যান্য উপকরণ দিয়ে তৈরি করতে পারবেন অনায়াসেই।
প্রথমেই ক্লিনজিং
এজন্য কাঁচা দুধের সঙ্গে লেবুর রস ও ১-২ চিমটি লবণ মিশিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রণটি তুলোয় ভিজিয়ে আলতোভাবে মুখে ম্যাসাজ করুন। ৫ মিনিট পর হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে মুছে ফেলুন।
স্ক্রাবিং
দ্বিতীয় ধাপ হলো স্ক্রাবিং। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডেড ফ্রুট-বেইজড স্ক্রাব পাওয়া যায়, সেগুলো দিয়েও করতে পারেন। আর যদি ঘরে স্ক্রাবিং করতে চান, তাহলে যেকোনো ফলের রসের সঙ্গে এক টেবিল চামচ আটা বা ময়দা মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
এ ছাড়াও লেবুর রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়েও স্ক্রাব বানাতে পারেন। এরপর এটি মুখে ম্যাসাজ করুন। স্ক্রাবিং শেষে ভেজা রুমাল দিয়ে মুখ ভালো করে মুছে নিন।
ব্লিচিং
এবার ব্লিচিংয়ের পালা। মধু কিংবা লেবুর রস যেটাই ব্যবহার করুন না কেন, অবশ্যই তাতে অল্প জল মিশিয়ে পাতলা করে নিতে হবে। তারপর ওই পাতলা মিশ্রণ মুখে ১০ মিনিট রেখে দিন। এরপর হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
স্টিমিং
ফেসিয়ালের চতুর্থ ধাপ হলো স্টিমিং। এটি নেওয়ার মাধ্যমে লোমকূপের গোড়া থেকে সহজেই ময়লা বের হয়ে আসে। এজন্য গরম জল উপর মাথা ঝুঁকিয়ে তোয়ালে দিয়ে ঢেকে নিন। যাতে ভাপ বাইরে চলে না যায়। যদি আপনার স্কিন সেনসিটিভ হয় তাহলে স্টিমের দরকার নেই।
ফ্রুটপ্যাক
স্টিম নেওয়ারপর ফ্রুটপ্যাক বানাতে হবে। কলা, পেঁপে, স্ট্রবেরি ব্লেন্ড করে এক চামচ কাঁচা দুধ এবং কিছু মধু মিশিয়ে মুখে আলতো করে লাগান। তবে তৈলাক্ত ত্বক কিংবা ব্রণের ক্ষেত্রে দুধের বদলে লেবুর রস ব্যবহার করবেন।
শসা বা লেবু গোল গোল স্লাইস করে চোখের উপর দিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন। ৫-১০ মিনিট পরে ফ্রুটপ্যাকটি সামান্য ম্যাসাজ করে এরপর তোয়ালে দিয়ে মুছে ফেলুন।
ফেসপ্যাক
এরপর ব্যবহার করুন ফেসপ্যাক। ত্বকের ধরণ বুঝে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। রোদে পোড়া ত্বকের জন্য শসা অথবা লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। ত্বককে উজ্জল করতে চাইলে কাঁচা দুধের সঙ্গে কমলার রস এবং কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
ব্রণ বা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য শসার টুকরার সাথে গোলাপজল এবং মুলতানি মাটি মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। যদি মুলতানি মাটিতে অ্যালার্জি থাকে তাহলে শুধু শসা কিংবা গোলাপজলও ব্যবহার করতে পারবেন।
টোনার
সবশেষে ব্যবহার করুন টোনার। ঘরে বসে নিজেই টোনার বানাতে শসার রস, লেবুর রস, এবং ডাবের জল পরিমাণমতো মিশিয়ে নিন। দুই চা চামচ গোলাপজলের সঙ্গে এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়েও টোনার হিসেবে লাগাতে পারেন মুখে ও গলায়। টোনার শুকিয়ে গেলে আর মুখ ধোয়া লাগবে না, এতেই ফেসিয়াল পরিপূর্ণ হবে।
সবার ঘরেই অন্তত একটি করে হলেও সিলিং ফ্যান আছে। এই গরমে যাদের ঘরে এসি বা এয়ার কন্ডিশন নেই, তাদের ভরসা…
বর্তমানে কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই হাসতে ভুলে গেছেন। তবে হাসিখুশি থাকা যে শরীর ও মনের জন্য কতটা উপকারী, তা হয়তো অনেকেরই…
কোষ্ঠকাঠিন্য হলো গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি। এই তাপপ্রবাহে ডায়রিয়ার সমস্যা যেমন বেড়েছে, তেমনই অনেকের আবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও বেড়েছে। যারা এরই…
তীব্র গরমে বড়দের পাশাপাশি হাঁসফাঁস করছে ছোটরাও। এ সময় শিশুদের কীভাবে সুস্থ রাখবেন তাই এখন বড় প্রশ্ন, প্রত্যেক মা-বাবার জন্য়।…
তাপপ্রবাহে সবার মধ্যেই অস্বস্তি বেড়েছে। গরমে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি ত্বকেও দেখা দেয় ঘামাচি, ফুসকুড়ি, ট্যানসহ নানা সমস্যা। তার মধ্যে…
কাজের ব্যস্ততা কিংবা আলস্যের কারণে অনেকেই দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব আটকে রাখেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অভ্যাস হতে পারে বিপজ্জনক। এই অভ্যাসের কারণেই…