প্রতিদিন যে জিনিসটি সবাই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে থাকেন সেটি হলো ফোন। ঘুম থেকে ওঠার পর এমনকি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সবার হাতেই থাকে এই ডিভাইসটি।
তবে জানেন কি, অতি প্রয়োজনীয় ও ব্যবহৃত এই জিনিসে থাকে টয়লেটের চেয়েও বেশি জীবাণু। এক সমীক্ষা অনুযায়ী, টয়লেট সিটের তুলনায় ফোন ৬ গুণ বেশি জীবাণু থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সবার ঘরেই এমন কয়েকটি জিনিস আছে যেগুলোতে টয়লেটের চেয়েও বেশি জীবাণু থাকে। সমীক্ষায় জানা গেছে, ঘরের বেশ কিছু জিনিসে টয়লেটের কমোডের সিটের তুলনায় বেশি জীবাণু থাকে। যার মধ্যে আছে ফোন অন্যতম।
২০১৮ সালের একটি সমীক্ষা থেকে উঠে এসেছে, টয়লেট সিটের তুলনায় ফোন ৬ গুণ বেশি জীবাণু থাকে। সমীক্ষায় ৫০টি ফোন থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর দেখা যায় যে, গড় সংখ্যক ফোনে ১৪৭৯টি ব্যাকটেরিয়া আছে।
যেখানে টয়লেট সিটে থাকে শুধুমাত্র ২২০টি ব্যাকটেরিয়া। যদি কারও ফোনের ব্যাক কভার লেদারের হয় সেক্ষেত্রে টয়লেট সিটের তুলনায় ১৭ গুণ বেশি জীবাণু থাকে।
তাই নিয়মিত ফোন পরিষ্কার করা অত্যন্ত জরুরি। তবে কতদিন পরপর ফোন পরিষ্কার করতে হবে তা অনেকেরই জানা নেই। যদি আপনি বাড়িতেই থাকেন তাহলে সপ্তাহে অন্তত ১-২বার পরিষ্কার করুন।
তবে আপনি যদি নিয়মিত রাস্তায় বের হন তাহলে ২ দিন পরপর ফোন পরিষ্কার করুন। অনেকেই যেখানে সেখানে ফোন রাখেন।
যেমন- অফিসে, শৌচালয়ে, দোকানে। এসব স্থানে ফোন রাখলে তাতে জীবাণু সহজেই লেগে যাবে। জেনে নিন সঠিক উপায়ে ফোন পরিষ্কারের উপায়-
প্রথমে হালকা গরম জল ও সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। তারপর শুকনো নরম কাপড় দিয়ে ফোনের উপরের আলগা ময়লা মুছে ফেলুন। এবার ফোন বন্ধ করুন।
৭০ শতাংশ অ্যালকোহল আছে এমন কোনো স্যানিটাইজার নরম কাপড় বা তুলোতে ভিজিয়ে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করুন ফোন। অ্যালকোহল দেওয়া পরিষ্কার করার ওয়াইপও ব্যবহার করতে পারেন। পরিষ্কার করা হলে আবারও নরম কাপড়ে মুছে নিন।
খেয়াল রাখবেন, অ্যালকোহলের পরিমাণ যেন ৭০ শতাংশের কম না হয়। কম হলে জীবাণু মরবে না। আবার ১০০ শতাংশ হলেও ফোনের ক্ষতি হতে পারে।
ফোন পরিষ্কারের সময় অ্যালকোহলযুক্ত কোনো তরলে ফোন ডুবিয়ে ফেলবেন না। ফোনের কোনো ছিদ্র দিয়ে যেন তরল না ঢুকে।
শুকনো টিস্যু পেপার ঘষবেন না ফোনে। এতে দাগ হয়ে যাবে। ব্লিচিং অ্যাজেন্ট দিয়ে ফোন পরিষ্কার করবেন না।
সবার ঘরেই অন্তত একটি করে হলেও সিলিং ফ্যান আছে। এই গরমে যাদের ঘরে এসি বা এয়ার কন্ডিশন নেই, তাদের ভরসা…
বর্তমানে কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই হাসতে ভুলে গেছেন। তবে হাসিখুশি থাকা যে শরীর ও মনের জন্য কতটা উপকারী, তা হয়তো অনেকেরই…
কোষ্ঠকাঠিন্য হলো গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি। এই তাপপ্রবাহে ডায়রিয়ার সমস্যা যেমন বেড়েছে, তেমনই অনেকের আবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও বেড়েছে। যারা এরই…
তীব্র গরমে বড়দের পাশাপাশি হাঁসফাঁস করছে ছোটরাও। এ সময় শিশুদের কীভাবে সুস্থ রাখবেন তাই এখন বড় প্রশ্ন, প্রত্যেক মা-বাবার জন্য়।…
তাপপ্রবাহে সবার মধ্যেই অস্বস্তি বেড়েছে। গরমে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি ত্বকেও দেখা দেয় ঘামাচি, ফুসকুড়ি, ট্যানসহ নানা সমস্যা। তার মধ্যে…
কাজের ব্যস্ততা কিংবা আলস্যের কারণে অনেকেই দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব আটকে রাখেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অভ্যাস হতে পারে বিপজ্জনক। এই অভ্যাসের কারণেই…