ফাস্ট ফুডের নেশায় দুর্বল হচ্ছে নাতো! জেনেনিন বিস্তারিত

‘ফাস্ট ফুড’ নামের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে এর অর্থ।
যে খাবারগুলো খুব দ্রুত ও অল্প সময়ের মাঝে তৈরি করে পরিবেশন করা হয় এবং স্বাদে খুবই মজাদার হয়, সে সকল খাবারই হলো ফাস্ট ফুড। এই খাবারগুলো খেতে যেমন মজাদার, দেখতেও বেশ সুন্দর। কিন্তু ফাস্ট ফুড থেকে কোন স্বাস্থ্য উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ একেবারেই পাওয়া যায় না। উপরন্তু এতে থাকে অপ্রয়োজনীয় ও বাড়তি ক্যালোরি, ফ্যাট ও চিনি। যা নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ও হুমকিস্বরূপ।

জনপ্রিয় প্রতিটি ফাস্ট ফুডে রয়েছে আলাদাভাবে ক্ষতিকর প্রভাব। এই খাবারগুলো যতই প্রিয় হোক না কেন, সুস্বাস্থ্যের খাতিরেই খাদ্যাভাস থেকে সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে দেওয়া প্রয়োজন।

হৃদরোগ
সকল ধরণের ফাস্ট ফুডে থাকে অনেক বেশি পরিমাণ ট্রান্স অথবা স্যাচুরেটেড ফ্যাট। এই ফ্যাট আর্টারিতে ব্লক তৈরি করে এবং রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও তথ্য গবেষণা করে দেখা গেছে, সপ্তাহে চারবারের অধিক ফাস্ট ফুড গ্রহণকারীর হৃদরোগে মৃত্যুর সম্ভবনা ৮০ শতাংশ বেড়ে যায়।

ওবেসিটি
যাদের অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস রয়েছে, তাদের ওবেসিটি দেখা দেওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায় অনেকটা। শুরুতেই বলা হয়েছে সকল ধরণের ফাস্ট ফুডে রয়েছে অনেক বেশি মাত্রার ক্যালোরি। এই সকল ক্যালোরি সহজেই শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে দেয়। উপকারী শাক-সবজী ও ফল খাওয়ার চাইতে ফাস্ট ফুডের উপর ঝোঁক যাদের বেশি, তাদের ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও দুর্বল হয়ে পরে।

পেপটিক আলসার
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টে সমস্যা দেখা দিলেই মূলত পেপটিক আলসার হয়। অস্বাস্থ্যকির খাদ্য খাওয়ার ফলে পাকস্থলীর অ্যাসিডিক ধর্মে পরিবর্তন দেখা দেয় ও বেড়ে যায়। যা থেকে প্রচন্ড পেটব্যথা ও ক্ষেত্র বিশেষে বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যাও দেখা দেয়। অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার, বাড়তি লবণযুক্ত খাবার ও ফাস্ট ফুড খাওয়ার ফলে এমন সমস্যা দেখা দেয়।

ডায়বেটিস
কাজের ব্যস্ততায় অনেকেই নিয়মতি রান্না করার সময় পান না। ফলে ফাস্ট ফুড খেয়েই সেরে নেন খাওয়াদাওয়ার ঝামেলা। এমনটা সপ্তাহে একদিন হতে পারে। কিন্তু প্রতিদিন যদি বাইরের খাবারের উপরেই নির্ভর করতে হয়, তবে ডায়বেটিস দেখা দেওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যাবে ৭০ শতাংশ। এই সকল খাবারে ব্যবহৃত চিনি ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়িয়ে দেয় রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণও।

RS

News Desk

Recent Posts

ঘরে রক্তচাপ মাপার সময় যে ভুলগুলো করবেন না

হাই প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপ হলো একটি ক্রনিক রোগ। অর্থাৎ দীর্ঘদিন ধরে এই রোগ থাকে। পাশাপাশি এর কারণে শরীরের অন্যান্য…

5 hours ago

সন্তানের মোবাইল আসক্তি কমাতে কী করবেন?

ছোট্ট সোনামনির হাতে কমবেশি সবাই মোবাইল তুলে দেন কোন না কোনো সময়। তবে কিছু সময়ের জন্য মোবাইল দেখা এক সময়…

7 hours ago

ক্যানসার হবে কি না জানতে পারবেন ৭ বছর আগেই

ক্যানসারের নাম শুনলেই কমবেশি সবাই আঁতকে ওঠেন। কঠিন এই ব্যাধি থেকে বাঁচতে সচেতনতা জরুরি। ক্যানসার রোগের আগাম খবর পেতে সারা…

1 day ago

নেবুলাইজার কেন ব্যবহার করা হয়?

হাঁপানি, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ও অন্যান্য শ্বাসনালির সংক্রমণজনিত রোগ তীব্র আকার ধারণ করলে নেবুলাইজার ব্যবহার করা হয়। রোগী যখন ইনহেলারের…

2 days ago

বারবার পানি পিপাসা লাগা কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো?

গরমে অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। ফলে বারবার পানি পিপাসা লাগা স্বাভাবিক। আর এ সময় প্রচুর পরিমাণ…

2 days ago

মসলা চা পানে মিলবে যেসব উপকার

দিনে বেশ কয়েকবার চায়ের কাপে চুমুক না দিলে অনেকেরই দিন কাটে না। বিভিন্ন ধরনের চায়ের মধ্যে মসলা চায়ের স্বাদও যেমন…

2 days ago