ডায়াবেটিকস রোগীর চিনি ও শর্করা জাতীয় খাবারের বিষয়ে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হয়। কারণ অতিরিক্ত শর্করা খেলে ব্লাড সুগার বেড়ে যেতে পারে, আবার খাওয়ায় অবহেলা করলেও ব্লাড সুগার কমে যেতে পারে। এ দুই ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হয়। এসব সমস্যা এড়াতে খাদ্যভ্যাস ঠিক রাখতে হবে। এক্ষেত্রে শর্করা ও মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কিন্তু বেশকিছু মিষ্টি ছাড়া খাবারও ব্লাড সুগার বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই এসব খাবারের বিষয়ে সতর্কতা বাড়াতে হবে। চলুন জেনে নেয়া যাক এই সম্পর্কে কিছু তথ্য-
কফি
গবেষণায় দেখা গেছে কফি ডায়াবেটিকস হবার ঝুঁকি কমাতে পারে। কিন্তু কফিতে যদি সুইটনার, ক্রিমার ও বিভিন্ন ফ্লেভারিং যোগ করেন তাহলে ব্লাড সুগার বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি দেখা যায়। এমনকি উচ্চ মাত্রায় ক্যাফেইন নিজেই ব্লাড সুগার বাড়াতে পারে। যেকোনো রকমের কফি পান করার পর ব্লাড গ্লুকোজ মেপে দেখুন, তবেই বুঝতে পারবেন তা শরীরে কি প্রভাব ফেলছে।
ইনস্ট্যান্ট ওটমিল
ওজন কমাতে, চর্বি দূর করতে এমনকি ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই ওটস বা ওটমিল খেয়ে থাকেন। ওট আসলেই স্বাস্থ্যকর, কারণ এতে অনেক ফাইবার থাকে। কিন্তু প্রক্রিয়াজাত ইনস্ট্যান্ট ওটমিলে ফ্লেভারিং এবং চিনিও থাকতে পারে। এতে নিঃসন্দেহে বাড়বে ব্লাড সুগার। নিরাপদে থাকতে সাধারণ ওটস খেতে পারেন যেমন- স্টিল-কাট ওটস।
লাল চাল
ডায়াবেটিকসের রোগীদের হোল গ্রেইন খেতে বলা হয়। এতে অনেকেই সাদা চালের পরিবর্তে লাল চাল খেয়ে থাকেন। তবে এক্ষেত্রে আধা কাপ ভাতের সাথে সবজি ও ডাল খেতে পারেন। অতিরিক্ত খেয়ে ফেললে সাদা চাল বা লাল চাল দুই ধরণের ভাতই ব্লাড সুগার বাড়াবে।
চাইনিজ খাবার
চাইনিজ খাবারে বেশি তেল ও লবণের পাশাপাশি প্রচুর চিনিও থাকতে পারে। সাধারণ ফ্রায়েড রাইস, স্যুপ বা সবজিতেও চিনি থাকে। এ কারণে এ ধরণের খাবারগুলো এড়িয়ে চলা উচিৎ।
স্টেক
শুধু স্টেক নয়, বরং চর্বিযুক্ত যে কোনো লাল মাংসই ব্লাড সুগার বাড়াতে পারে। এসব মাংসে থাকা উচ্চ মাত্রায় চর্বি ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন করে ফেলে।
দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার
দুধ, দই, পনির এ ধরণের খাবারগুলো ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের খুবই ভালো উৎস। কিন্তু এসব খাবার ব্লাড সুগার বাড়াতে পারে, এর পাশাপাশি হৃদস্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করতে পারে। এসব সমস্যা এড়াতে চিনি ছাড়া লো ফ্যাট দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার খেতে পারেন।bs
হাঁপানি, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ও অন্যান্য শ্বাসনালির সংক্রমণজনিত রোগ তীব্র আকার ধারণ করলে নেবুলাইজার ব্যবহার করা হয়। রোগী যখন ইনহেলারের…
গরমে অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। ফলে বারবার পানি পিপাসা লাগা স্বাভাবিক। আর এ সময় প্রচুর পরিমাণ…
দিনে বেশ কয়েকবার চায়ের কাপে চুমুক না দিলে অনেকেরই দিন কাটে না। বিভিন্ন ধরনের চায়ের মধ্যে মসলা চায়ের স্বাদও যেমন…
হঠাৎ করেই কিডনির সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত গরমে পানিশূন্যতার কারণে হঠাৎই বিকল হতে পারে কিডনি। মূলত তাপমাত্রা ও…
কর্মব্যস্ত জীবনে কমবেশি সবাই এখন রেডিমেড খাবারের উপর নির্ভরশীল। এ কারণে বেশিরভাগ খাবারই এখন প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হয়। প্রায়…
গরমে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। একই সঙ্গে বাড়ে মৃতের সংখ্যাও। আজ ১৬ মে জাতীয় ডেঙ্গু দিবস। ডেঙ্গু…