কর্মমুখর দিনে সময় কিংবা ইচ্ছের অভাবে হয়ে ওঠে না শরীরচর্চা। ফলে শরীরে বাসা বাঁধছে বিভিন্ন রোগ। এক্ষেত্রে সুস্থ থাকতে হলে প্রতিদিন সকালে হাঁটতে হবে।
উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে প্রতিদিন সকালে হাঁটুন। হার্টে ব্লক থাকলেও নিয়মিত হাঁটার কারণে আশপাশের ছোট রক্তনালিতে রক্ত সরবরাহ বাড়ে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, আথ্রাইটিস, ওবেসিটি বা স্থুলতা, মাংসপেশির শক্তি কমে যাওয়া, অষ্টিওপোরোসিস বা হাড়ের ভঙ্গুরতা দেখা দেয়। নিয়মিত হাঁটলে শরীর সুস্থ থাকবে। নিয়মিত হাঁটা শরীরের অনেক রোগ-বালাই দূর করে, শরীর সতেজ ও চাঙা রাখে। এছাড়া আপনার ওজনও কমবে।
তবে অসুস্থ থাকলে জোর করে না হাঁটতে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। অনেকে মনে প্রশ্ন আসতে পারে, কখন হাঁটবেন, কত সময় হাঁটবেন, হাঁটার গতি কেমন হবে ইত্যাদি।
কখন হাঁটবেন
দিন-রাত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আপনি হাঁটার জন্য সময় বের করে নিতে পারেন। তবে হাঁটার জন্য সবচেয়ে ভালো সময় সকাল আর বিকেল। তবে হার্টের রোগীরা কখনও সকালে হাঁটা উচিত নয়। কারণ হার্টের রোগীরা সকালে হাঁটলে হার্ট অ্যাটক হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
কত সময় হাঁটবেন
প্রতিদিন কমপক্ষে ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট হাঁটুন। এছাড়া যদি হাঁটতে ভালো লাগে তবে হাঁটার সময়টা ১ ঘণ্টা পর্যন্তও হতে পারে। এছাড়া যারা বেশি হাঁটতে পারে না তারা ওই ৪০ মিনিট হাঁটার সময়ে ১০ মিনিটের বিরতি দিতে পারেন। পাঁচদিন ৩০ মিনিট করে ১৫০ মিনিট হাঁটলেও আপনি সুস্থ থাকবেন। তবে কখনই ৩০ মিনিটের কম হাঁটা উচিত হবে না।
হাঁটার গতি কেমন হবে।
হাঁটার সময় অনেকে বুঝতে পারেন না যে, হাঁটার গতি কেমন হবে। তবে হাঁটার জন্য তেমন নির্দিষ্ট কোনো গতি নেই। প্রথমে ধীরে ধীরে হাঁটা শুরু করার পর আস্তে আস্তে গতি বাড়াতে হবে।
শরীরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যতটুকু পারা যায় গতি বাড়াতে হবে। ঘুম থেকে উঠেই হাঁটবেন না অনেকে ঘুম থেকে উঠেই হাঁটতে শুরু করেন। এটি মোটেই ঠিক নয়।
ঘুম থেকে ওঠার কমপক্ষে ৩০ মিনিট পর হাঁটতে বের হওয়া উচিত। কারও যদি সকালে অফিসে যাওয়ার তাড়া থাকে তাহলে ঘুম থেকে একটু আগে ওঠার অভ্যাস করুন।
জোর করে হাঁটা ঠিক নয়
অসুস্থতা, শারীরিক দুর্বলতা বা জটিল রোগ নিয়ে কখনো জোর করে হাঁটা উচিত নয়। শরীরে দুর্বলতা থাকলে জোর করে হাঁটাও ঠিক নয়। এক্ষেত্রে চিকিৎসক কিংবা ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিয়ে হাঁটুন।
RS
হাঁপানি, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ও অন্যান্য শ্বাসনালির সংক্রমণজনিত রোগ তীব্র আকার ধারণ করলে নেবুলাইজার ব্যবহার করা হয়। রোগী যখন ইনহেলারের…
গরমে অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। ফলে বারবার পানি পিপাসা লাগা স্বাভাবিক। আর এ সময় প্রচুর পরিমাণ…
দিনে বেশ কয়েকবার চায়ের কাপে চুমুক না দিলে অনেকেরই দিন কাটে না। বিভিন্ন ধরনের চায়ের মধ্যে মসলা চায়ের স্বাদও যেমন…
হঠাৎ করেই কিডনির সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত গরমে পানিশূন্যতার কারণে হঠাৎই বিকল হতে পারে কিডনি। মূলত তাপমাত্রা ও…
কর্মব্যস্ত জীবনে কমবেশি সবাই এখন রেডিমেড খাবারের উপর নির্ভরশীল। এ কারণে বেশিরভাগ খাবারই এখন প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হয়। প্রায়…
গরমে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। একই সঙ্গে বাড়ে মৃতের সংখ্যাও। আজ ১৬ মে জাতীয় ডেঙ্গু দিবস। ডেঙ্গু…