ব্যায়াম ছাড়াই পেটের মেদ কমানোর সহজ উপায়, জানালো গবেষণা

ওজন কমানো আর পেটের মেদ কমানো কিন্তু এক নয়। কারণ এই মেদ সহজে দূর হতে চায় না। পেটের মেদ হলো একগুঁয়ে ভিসারাল ফ্যাটের সমষ্টি যা কেবল দেখতেই অসুন্দর নয়, আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত উদ্বেগজনক। যদি আপনি সুস্থ শরীর অর্জনের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে থাকেন, তাহলে এখনই আপনাকে পেটের মেদ কমানোর জন্য সচেতন হতে হবে। সেজন্য আপনার সদিচ্ছা এবং প্রচেষ্টা থাকা জরুরি।

পেটের মেদ কমানোর জন্য কঠোর ডায়েট মেনে চলা কিংবা নিয়মিত ব্যায়াম করার কথা এতদিন জেনে এসেছেন। কিন্তু এগুলো ছাড়াও এই মেদ দূর করা সম্ভব। জেনে নিন তেমনই কিছু উপায় সম্পর্কে-

ছোট থালায় খাবার খান

খাবার গ্রহণ সীমিত করার একটি উপায় হলো ছোট প্লেটে খাবার খাওয়া। অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতার কারণে অতিরিক্ত ক্যালোরি এবং অপ্রয়োজনীয় ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। তাই ছোট থালায় খাবার খেলে তা শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি যোগ হওয়ার ভয় কমাবে। এর ফলে পেটে চর্বি জমবে না। বজায় থাকবে দীর্ঘমেয়াদী সুস্বাস্থ্য।

ধীরে এবং চিবিয়ে খান

আপনি যদি পেটের মেদ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাহলে অতিরিক্ত খাবেন না। যখনই খাবার খাবেন, ধীরে এবং সঠিকভাবে চিবানোর কথা মনে রাখবেন। এটি খাবারকে আরও দক্ষতার সাথে ভাঙতে সাহায্য করে, যা হজম প্রক্রিয়া সহজ করে তোলে। এছাড়াও হজম ভালো হলে তা দীর্ঘ সময়ের জন্য আপনাকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।

মানসিক চাপ দূর করুন এবং পর্যাপ্ত ঘুমান

ঘুমের অভাব হলে তা আপনার পেটের চর্বি কমানোর প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, ঘুম কম হলে তা ওজন বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং তখন পেটের মেদ কমানো কঠিন হতে পারে। খুব কম ঘুম মানসিক চাপের কারণ হতে পারে। এটি আপনার কর্টিসলকে বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবারের জন্য আপনার আকাঙ্ক্ষাও বাড়িয়ে তোলে। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান। পাশাপাশি মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।

পোশ্চার ঠিক রাখুন

আপনি যে কাজই করুন না কেন, পোশ্চার বা ভঙ্গি ঠিক রাখা গুরুত্বপূর্ণ। শরীরের পোশ্চার ঠিক না রাখলে তা পেটে মেদ জমার কারণ হতে পারে। এর মানে কিন্তু জেনেবুঝে নিজের ক্ষতি করা। তাই কাজ করার সময় এমন ভঙ্গিতে বসুন যা পেটের পেশী এবং পেটের অঞ্চলকেও সংযুক্ত করতে সহায়তা করে।

প্রচুর জল পান করুন

জল ওজন কমানোর যাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দিনের শুরুতে একগ্লাস জল পান করে বা খাবারের ঠিক আগে একগ্লাস জল পান করলে তা শরীর হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করতে পারে, শরীরের বিপাকক্রিয়া বাড়তে পারে এবং উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার থেকেও দূরে রাখে। এটি ক্ষুধা মেটায় এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য পরিপূর্ণ রাখে। জলের সঙ্গে লেবু মিশিয়েও খেতে পারেন।

News Desk

Recent Posts

প্রস্রাবের যে সমস্যা মূত্রথলির রোগের লক্ষণ

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে যে সমস্যাটি অনেকের মধ্যেই দেখা যায়, তা হলো মূত্রের সমস্যা। মূত্রথলির সমস্যার কারণে প্রস্রাবের ধরনে কিছু বদল…

13 mins ago

নারীরা যে ধরনের পুরুষের প্রেমে বেশি পড়েন

নারীদের মন বোঝা নাকি বেশ কঠিন, এমনটিই আছে কথায়। বিষয়টি কিছু ক্ষেত্রে অবশ্যই সত্যি বটে, কারণ নারীর মনের খবর অনেক…

26 mins ago

গরমে কেন বেড়ে যায় অ্যাজমা? শ্বাসকষ্ট হলে কী করবেন?

অতিরিক্ত গরমে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা বেড়ে যায়। তার মধ্যে যারা অ্যাজমার রোগী, তারা বেশি ভোগেন শ্বাসকষ্টে। গরমে ফ্যান-এসির বাতাস আর…

43 mins ago

আমলকীর চা খেলে কী হয়?

ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস হলো আমলকী। এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। পাশাপাশি ত্বক ও চুলের যেকোনো সমস্যার ক্ষেত্রেও এটি…

57 mins ago

শব্দদূষণে বাড়ে হৃদরোগ-ডায়াবেটিসের ঝুঁকি, বলছে গবেষণা

গাড়ির আওয়াজে অনেকেরই বুক ধড়ফড় করতে শুরু করে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে, তীব্র যানজট ও সেই কারণে সৃষ্ট শব্দদূষণের সঙ্গে…

15 hours ago

হার্টের ধমনী ব্লক হয়েছে কি না জানাবে ৪ লক্ষণ

শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে ব্যস্ত হলো হৃৎপিণ্ড। এটি মানুষের জীবদ্দশায় কখনো বিশ্রাম নেয় না। দিনে অন্তত এক লাখ বার…

20 hours ago