শরীর ভালো নেই শুনলে অনেকে বিচলিত হন, খোঁজ-খবর নেন। কেউ কেউ ভালোমন্দ খাবার, ফলমূল ইত্যাদি নিয়ে দেখতে আসেন। কিন্তু মন ভালো নেই একথা বলে দেখুন না! প্রায় সবাই এড়িয়ে যাবে। অনেকে হেসে উড়িয়ে দেবে। মন ভালো নেই এ আবার এমন কী! এদিকে একটু একটু করে বিষণ্নতা আপনাকে গ্রাস করে নেবে, সেদিকে কেউ তাকিয়েও দেখবে না। চোখে দেখা যায় না বলে মনের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতেও শিখি না আমরা। জেনে নিন মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়-
নিজের যত্ন নিন
নিজের প্রতি যত্নশীল হোন। নিজের ছোট ছোট ভালোলাগা-মন্দলাগার প্রতি গুরুত্ব দিন। আপনি যদি নিজের খেয়াল রাখেন তবে মনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়ে যাবে। এটি যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। তবে মাত্রাতিরিক্ত সচেতনতা বাদ দিন। এমন হলে সিদ্ধান্ত নেওয়া কিংবা পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগতে হবে। সবকিছু সহজভাবে ভাবতে শিখুন। তাতে মন এমনিতেই ভালো থাকবে।
দুশ্চিন্তা করবেন না
জীবনে চলতে গিয়ে বিভিন্ন রকম দুশ্চিন্তা আসবেই। তবে সেই দুশ্চিন্তা লালন করা যাবে না। কারণ আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করার জন্য দুশ্চিন্তাই যথেষ্ট। এর বদলে কাজে ব্যস্ত হয়ে যান। তখন আর দুশ্চিন্তা এসে মনে ভর করতে পারবে না। দুশ্চিন্তাকে রূপান্তরিত করুন কর্মক্ষমতায়। এতে ভালো থাকবে মানসিক স্বাস্থ্য।
নিজেকে সময় দিন
সবটুকু সময় সংসার, সন্তান, অফিস ইত্যাদির পেছনে ব্যয় না করে নিজের জন্যও কিছু সময় রাখুন। কোনো কাজই উদ্দেশ্যহীনভাবে করবেন না। জীবনযাপন অগোছালো না করে একটু গুছিয়ে নিন। প্রতিদিনের কাজের একটি রুটিন করে নিন। এতে কাজ অনেকটাই সহজ হবে। সময়কে কাজে লাগান। অযথা অলস শুয়ে থাকবেন না। বরং এমনকিছু করুন যেটি আপনার মন ভালো রাখতে পারে। হুটহাট সিদ্ধান্ত না নিয়ে কিছুটা হলেও সময় নিন। সবার আগে নিজেকে ভালো রাখাটা নিশ্চিত করবেন। কারণ নিজে ভালো থাকলেই অন্যদের ভালো রাখা সহজ হবে।
ভুল স্বীকার করুন
অনেকেই আছেন যারা নিজের কোনো ভুল দেখতে পান না। আবার দেখতে পেলেও তা স্বীকার করতে চান না। আপনার কৃত ভুল স্বীকার করলে তা আপনাকে মোটেই ছোট করবে না। সমালোচনার ভয় এড়িয়ে নিজের ভুল স্বীকার করতে শিখুন। এটি আপনাকে সংশোধনের পথে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যাবে। সেইসঙ্গে কমবে মানসিক চাপ।
অতিরিক্ত চাপ নেবেন না
কাজের চাপ নেবেন না। মানে কাজ করবেন কিন্তু সেটি যেন বোঝা মনে না হয়। সবচেয়ে সহজ উপায়ে কাজ শেষ করার চেষ্টা করুন। এতে মনের ওপর চাপ কম পড়বে। একটু গুছিয়ে নিয়ে কাজ করলেই অনেক কঠিন কাজও সহজভাবে করা সম্ভব। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য এটি জরুরি।
কান শরীরের গুরুত্বপূর্ণ এক অঙ্গ। তবুও বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই অঙ্গটি নিয়ে উদাসীনতা দেখা যায়। গোসল করতে গিয়ে কানে পানি ঢুকে…
বয়স বাড়তেই বাবা-মা সন্তানের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। আর সন্তানেরও উচিত এ সময় বাবা-মায়ের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হওয়া। বিশেষ করে…
গোসলের সময় কমবেশি সবাই সাবান ব্যবহার করেন। যাতে ত্বকে জমে থাকা ময়লা বা জীবাণু ধুয়ে যায়। তবে প্রতিদিন ত্বকে সাবান…
মানব শরীরের গুরুত্বপূর্ণ এক অঙ্গ হলো ফুসফুস। এর সাহায্যেই শরীরে পৌঁছায় অক্সিজেন। আর এই অঙ্গের সাহায্যেই অক্সিজেন মিশে যায় রক্তে।…
অনেকের ত্বকেই অতিরিক্ত আঁচিল দেখা দেয়। নারী-পুরুষ উভয়েরই আঁচিল হওয়ার প্রবণতা থাকতে পারে। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আঁচিল হওয়ার…
ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় বর্তমানে অনেকেই ভুগছেন। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা আবার দু’ভাবে বিভক্ত- অ্যালোহলিক ও নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। অ্যালকোহলিক ফ্যাটি…