শীত আসতেই সর্দি-কাশির প্রকোপ বেড়ে গেছে। এ সময় বড়দের পাশাপাশি ছোটদের অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। শীতে সবারই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
একইসঙ্গে ঠান্ডা পরিবেশে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া হয়ে ওঠে সক্রিয়। এমনকি বাতাসে ধুলাবালি ও ময়লা বেড়ে যাওয়ায় শীতে অ্যালার্জি বাড়ে। তাই এ সময় সবারই সতর্ক থাকতে হবে।
বিশেষ করে শীতে বিশেষভাবে সচেতন থাকতে হয় শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে। কারণ শিশুদের মধ্যে এমনিই ইমিউনিটি থাকে কম। তার উপর বিভিন্ন জীবাণুর প্রভাবে শিশুদের ঠান্ডার সমস্যা লেগেই থাকে।
নাক দিয়ে জল পড়া, হাঁচি-কাশিও থাকতে পারে। এমনকি হতে পারে শ্বাসকষ্টও। তাই এ সময় অভিভাবকদের থাকতে হবে সতর্ক। ৭টি নিয়ম মেনে চললে শীতে শিশুদের ঠান্ডার সমস্যা থেকে দূরে রাখা যাবে-
>> শীত পড়তেই শিশুর গরম কাপড়ের উপর জোর দিন। বেশি ঠান্ডায় শিশুকে অবশ্যই মাথায় টুপি ও পায়ে মোজা পরাতে হবে। আর গায়ে পরান হালকা শীত কাপড়। তবে খেয়াল রাখবেন বাচ্চার যেন খুব গরম না লাগে। শিশু যদি ঘামে কিংবা কাঁদে, তাহলে তার কাপড়ের ভার কমান।
>> সব সময় শিশুর হাত পরিষ্কার রাখুন। কারণ শিশুরা কিছুক্ষণ পরপরই মুখে হাত দেয়। তাই আপনাকে অবশ্যই শিশুর হাত পরিষ্কার রাখুন তাহলেই জীবাণুর হাত থেকে মিলবে মুক্তি। আর সন্তান একটু বড় হলে তাকে হাত ধোয়ানোর অভ্যাস করুন।
>> শিশুর খেলনা পরিষ্কার রাখতে হবে। কারণ খেলনা যেখানে সেখানে পড়ে থাকায় মিশতে পারে জীবাণু। তাই খেলনা গরম জলে মাঝেমধ্যেই পরিষ্কার করুন। তবেই খেলনার উপর থেকে সরানো যাবে জীবাণু।
>> আপনি যখন সন্তানকে কোলে নেবেন তার আগে অবশ্যই হাত ধুয়ে নিন। না হলে আপনার হাতে জীবাণু থাকলে তা শিশুর কাছেও পৌঁছে যাবে। তাই নিজের হাত ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার রাখুন সব সময়।
>> অসুস্থ মানুষের কাছ থেকে শিশুকে দূরে রাখুন। বিশেষ করে বাড়িতে কারও ঠান্ডা লাগলে শিশুকে তার সামনে নিয়ে যাবেন না। তাকেও বাচ্চার সামনে আসতে বারণ করুন।
>> শিশুকে সময় মতো টিকা দিন। টিকা তাদের মধ্যে নির্দিষ্ট অসুখের বিরুদ্ধে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে।
>> কোনো শিশুর ঠান্ডা লাগলে কিংবা নাক দিয়ে জল পড়লে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ মনে রাখবেন এখন করোনার প্রকোপ আবারও বাড়ছে। তাই প্রথম থেকেই সতর্ক থাকা জরুরি।
শরীরের কোনো স্থানে ঠিকমতো রক্ত চলাচল করতে না পারলে ওই অংশের কোষগুলো প্রাণ হারাতে শুরু করে। মাথাতেও এই ঘটনা ঘটতে…
স্বাস্থ্যের উন্নতি থেকে শুরু করে মুখের ব্রণের মতো সমস্যা দূর করে তাই একে উপকারিতার স্টোরহাউজ বলা হয়। বলছি আমলকির কথা।…
সবার ঘরেই অন্তত একটি করে হলেও সিলিং ফ্যান আছে। এই গরমে যাদের ঘরে এসি বা এয়ার কন্ডিশন নেই, তাদের ভরসা…
বর্তমানে কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই হাসতে ভুলে গেছেন। তবে হাসিখুশি থাকা যে শরীর ও মনের জন্য কতটা উপকারী, তা হয়তো অনেকেরই…
কোষ্ঠকাঠিন্য হলো গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি। এই তাপপ্রবাহে ডায়রিয়ার সমস্যা যেমন বেড়েছে, তেমনই অনেকের আবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও বেড়েছে। যারা এরই…
তীব্র গরমে বড়দের পাশাপাশি হাঁসফাঁস করছে ছোটরাও। এ সময় শিশুদের কীভাবে সুস্থ রাখবেন তাই এখন বড় প্রশ্ন, প্রত্যেক মা-বাবার জন্য়।…