শীত মানেই খানিক আলস্য, আরামদায়ক কম্বলের ভেতর গুটিসুটি মেরে আরও কিছুক্ষণ পড়ে থাকা। এমন সময় এক বাটি গরম স্যুপ হলে মন্দ হয় না! দিনটিকে আরামদায়ক করতে আর কী চাই! কিন্তু শীতের এই আরাম অনেক সময় আপনার জন্য সমস্যা নিয়ে আসতে পারে। শীতের সময়ে অনেকেরই ওজন বেড়ে যায়। কখনো কি ভেবে দেখেছেন এর কারণ কী?
শীতের সময়ে ওজন বেড়ে যাওয়ার প্রথম কারণ হলো ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে শারীরিক ক্রিয়াকলাপের মাত্রা কমে যাওয়া, দ্বিতীয়ত এসময় আমাদের মেটাবলিজম ধীর হয়ে যায় এবং তৃতীয়ত গরম থাকার জন্য আমরা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি খেয়ে থাকি। এই সমস্ত বিষয় এই মৌসুমে আমাদের ওজন ধরে রাখাকে চ্যালেঞ্জিং করে তোলে। জেনে নিন এমন কিছু খাবার সম্পর্কে যেগুলো আপনার ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে-
ক্রিমি স্যুপ
এক বাটি গরম স্যুপ ছাড়া শীত যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এটি অসময়ে ক্ষুধা নিবারণ করতে সাহায্য করে, উষ্ণ রাখে এবং ঠান্ডার সঙ্গে লড়াই করার জন্য পুষ্টি সরবরাহ করে। কিন্তু আপনি যদি ক্রিমি স্যুপ বেছে নেন, তাহলে আপনার ওজন বাড়ার সম্ভাবনা বেশি। বলছি না যে আপনি স্যুপ এড়িয়ে চলুন, শুধুমাত্র স্যুপ পছন্দের ক্ষেত্রে সচেতন হোন। ক্রিমি স্যুপের পরিবর্তে টমেটো, সবজি এবং হাড়ের ঝোলের মতো পরিষ্কার স্যুপ খেতে পারেন। ক্রিমটি স্যুপ ক্যালোরির সংখ্যা বাড়ায়, যার ফলে আপনার ওজন বৃদ্ধি পায়।
শীতের মিষ্টি খাবার
গাজরের হালুয়া, তিলের লাড্ডু, নানা ধরনের মিষ্টি এবং সেইসঙ্গে সুস্বাদু সব শীতের পিঠায় থাকে প্রচুর ক্যালোরি। তাই শীতের এসব উপাদেয় খাবার খাওয়ার সময়ও আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। এটি এমন নয় যে আপনাকে এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, বিশেষজ্ঞরা কেবল পরিমাণ সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন। দিনে ২-৩ বার মিষ্টি খেতে আপনার ভালো লাগতেই পারে, কিন্তু এর মাশুল গুনতে হবে পরে। তাই দিনে একবার এবং সীমিত পরিমাণে ডেজার্ট খান। মিষ্টি খাবার তৈরি করে খান এবং সেটি যেন স্বাস্থ্যকর উপায়ে হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
পরোটা
শীতের দিনে মাখনে ভরা গরম স্টাফ পরোটা আচার বা চাটনির সঙ্গে খেতে বেশ লাগে। এটি নানা পদের শীতের সবজি দিয়ে তৈরি করা সহজ এবং দুপুর বা রাতের খাবারে খাওয়া হয়। আপনি আলু, ফুলকপি, মুলা বা গাজর দিয়ে পরোটা স্টাফ করতে পারেন, সবই সমান সুস্বাদু। তবে এটি স্বাস্থ্যকর করতে এবং আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে, আপনি এতে কতটা ঘি বা মাখন যোগ করবেন সে সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। চর্বি শীতকালে আপনাকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে, তবে এটি বেশি খেলে ওজন বাড়তে পারে। যেকোনো খাবার প্রস্তুত করার সময় এটি মাথায় রাখা উচিত।
কফি এবং চা
কফি এবং চা ছাড়া শীত পার করা সম্ভব নয়, তাই না? এক কাপ উষ্ণ পানীয়তে চুমুক আমাদের ঠান্ডা আবহাওয়ায় উষ্ণ এবং সক্রিয় রাখে। আরেকটি সত্য হলো যে এটি ওজন বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে যদি আপনার পছন্দের পানীয়টি চিনি এবং দুধ দিয়ে তৈরি করা হয়। প্রতিদিন পানীয় গ্রহণের পরিমাণ ২-৩ কাপের মধ্যে সীমিত করুন। গতানুগতিক চায়ের বদলে ভেষজ চা খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে ওজন বৃদ্ধির ভয় থাকবে না।
সবার ঘরেই অন্তত একটি করে হলেও সিলিং ফ্যান আছে। এই গরমে যাদের ঘরে এসি বা এয়ার কন্ডিশন নেই, তাদের ভরসা…
বর্তমানে কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই হাসতে ভুলে গেছেন। তবে হাসিখুশি থাকা যে শরীর ও মনের জন্য কতটা উপকারী, তা হয়তো অনেকেরই…
কোষ্ঠকাঠিন্য হলো গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি। এই তাপপ্রবাহে ডায়রিয়ার সমস্যা যেমন বেড়েছে, তেমনই অনেকের আবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও বেড়েছে। যারা এরই…
তীব্র গরমে বড়দের পাশাপাশি হাঁসফাঁস করছে ছোটরাও। এ সময় শিশুদের কীভাবে সুস্থ রাখবেন তাই এখন বড় প্রশ্ন, প্রত্যেক মা-বাবার জন্য়।…
তাপপ্রবাহে সবার মধ্যেই অস্বস্তি বেড়েছে। গরমে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি ত্বকেও দেখা দেয় ঘামাচি, ফুসকুড়ি, ট্যানসহ নানা সমস্যা। তার মধ্যে…
কাজের ব্যস্ততা কিংবা আলস্যের কারণে অনেকেই দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব আটকে রাখেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অভ্যাস হতে পারে বিপজ্জনক। এই অভ্যাসের কারণেই…