মাথায় আঘাত লাগলে হতে পারে এই ৫টি মারাত্মক সমস্যা! জেনেনিন বিস্তারিত

মস্তিষ্ক আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এই অঙ্গটি আমাদের শরীরের জরুরি সমস্ত কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। তাই মস্তিষ্ককে সাবধানে রাখা আমাদের সকলেরই জরুরি কর্তব্য। যদিও বহু ক্ষেত্রেই মস্তিষ্কে আঘাত লাগে। সেই চোট থেকে দেখা দেয় মারাত্মক সমস্যা। তাই সাবধান হওয়া ছাড়া কোনও গতি নেই।

এই অবস্থায় জেনে নেওয়া যাক মস্তিষ্কে আঘাত লাগলে ঠিক কেমন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

> মাথায় আঘাত লাগলে সবথেকে বেশি দেখা যায় হেমারেজের সমস্যা। এক্ষেত্রে মাথায় রক্তপাত হয়। রক্তপাতের ঘটনাকেই বলে হেমারেজ। ব্রেনের আশপাশে হেমারেজ হওয়ার ঘটনাকে বলে সাবঅ্যারকনয়েড হেমারেজ। আর ব্রেনের ভিতরে রক্তপাতের ঘটনাকে বলে ইন্ট্রাসেরিব্রাল হেমারেজ। এক্ষেত্রে খুব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হয়।

> কারও মাথায় আঘাত লাগলেই বিশেষজ্ঞরা প্রথমেই ধাক্কার চিহ্ন খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে যান। এক্ষেত্রে মাথায় খুব জোরে আঘাত লাগার কারণে মানুষ এই সমস্যায় পড়েন। হাত, পা নাড়ানো সম্ভব না হওয়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, কথা বলতে না পারা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যেতে পারে।

> মাথার হাড়ে কোন গুরুতর আঘাত দেখা দিলে হতে পারে মাথা ফ্র্যাকচার। হাড়ে ধরতে পারে ফাটল। যদিও মাথার হাড়ে ফাটল ধরা খুব কঠিন একটি কাজ। এক্ষেত্রে বিশাল কোনও আঘাত লাগার পরই দেখা দিতে পারে সমস্যা। তাই আপনাকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। মাথায় ফ্র্যাকচার হলে আপনাকে অবশ্যই নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ। এটা হল একটি জরুরিকালীন অবস্থা। তাই আপনার সতর্ক থাকাটা খুবই জরুরি।

> মাথায় কোনও আঘাত লাগলে মস্তিষ্কে হতে পারে হেমাটোমা। এক্ষেত্রে আঘাতের কারণে মাথায় চাপ বাড়ে। তার থেকেই মাথায় দেখা দেয় হেমাটোমা। এক্ষেত্রে মাথায় রক্ত জমে যায়। এই রক্ত জমার কারণে দেখা দেয় নানা উপসর্গ। তাই আপনাকে অবশ্যই হেমাটোমার সমস্যা থেকে দূর থাকতে হবে।

> ডিফিউস অ্যাক্সোনাল ইনজুরি খুব কঠিন সমস্যা। এক্ষেত্রে আঘাত পৌঁছে যায় মস্তিষ্কের কোষে। তখন মস্তিষ্কের কোষে ঘটে নানান সমস্যা। ফলে মানুষ দ্রুত নিজের ক্ষমতা হারাতে থাকেন। ডিফিউস অ্যাক্সোনাল ইনজুরি হলে অনেকসময় মস্তিষ্কে দেখা দেয় বড় সমস্যা। এক্ষেত্রে মাথার কোষ ফুলে ওঠে। তারপর দেখা দেয় মারাত্মক সমস্যা। তাই এই ধরনের আঘাতের দ্রুত চিকিৎসা দরকার।

মাথায় চোট লাগা হল সবসময়ই আপৎকালীন অবস্থা। এই অবস্থায় সবসময় দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। প্রাথমিকভাবে রোগের লক্ষণ দেখার পর চিকিৎসক প্রয়োজন মতো এক্সরে, এমআরআই, সিটি স্ক্যান করাতে পারেন।

News Desk

Recent Posts

নেবুলাইজার কেন ব্যবহার করা হয়?

হাঁপানি, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ও অন্যান্য শ্বাসনালির সংক্রমণজনিত রোগ তীব্র আকার ধারণ করলে নেবুলাইজার ব্যবহার করা হয়। রোগী যখন ইনহেলারের…

16 hours ago

বারবার পানি পিপাসা লাগা কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো?

গরমে অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। ফলে বারবার পানি পিপাসা লাগা স্বাভাবিক। আর এ সময় প্রচুর পরিমাণ…

23 hours ago

মসলা চা পানে মিলবে যেসব উপকার

দিনে বেশ কয়েকবার চায়ের কাপে চুমুক না দিলে অনেকেরই দিন কাটে না। বিভিন্ন ধরনের চায়ের মধ্যে মসলা চায়ের স্বাদও যেমন…

24 hours ago

গরমে বাড়তে পারে কিডনির সমস্যা, কীভাবে সতর্ক থাকবেন?

হঠাৎ করেই কিডনির সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত গরমে পানিশূন্যতার কারণে হঠাৎই বিকল হতে পারে কিডনি। মূলত তাপমাত্রা ও…

24 hours ago

খাবার কেনার আগে প্যাকেটের কোন লেখা অবশ্যই পড়বেন?

কর্মব্যস্ত জীবনে কমবেশি সবাই এখন রেডিমেড খাবারের উপর নির্ভরশীল। এ কারণে বেশিরভাগ খাবারই এখন প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হয়। প্রায়…

2 days ago

বিশ্বব্যাপী যে কারণে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব

গরমে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। একই সঙ্গে বাড়ে মৃতের সংখ্যাও। আজ ১৬ মে জাতীয় ডেঙ্গু দিবস। ডেঙ্গু…

2 days ago