লিভারে ফ্যাট জমার ঘটনাকে বলে ফ্যাটি লিভার। ফ্যাটি লিভার দুই ধরনের হতে পারে। অ্যালকোহোলিক এবং নন অ্যালকোহোলিক। গবেষণায় জানা যায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত ফ্যাট জমার ফলে নানারকম সমস্যার পাশাপাশি দেখা দেয় ঘুমেরও সমস্যা। কারণ অতিরিক্ত ফ্যাট জমার ফলে ঘুম নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন তখন বাধাপ্রাপ্ত হয়। তাই সচেতন হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
লিভার
লিভার হল শরীরে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এই অঙ্গটি বহু হর্মোনকে নিয়ন্ত্রণ করে। এই হর্মোন সারা দেহে কাজ করে। তারপর কাজ শেষ হলে লিভারকে জানিয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। এভাবে শরীরে থাকে হর্মোনের ভারসাম্য। তবে নন অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার থাকলে এই হর্মোন নিষ্ক্রিয় হওয়ার ক্ষেত্রে দেখা দেয় সমস্যা।
ঘুমের হর্মোন
আমাদের দেহে কর্টিসল এবং মেলাটোনিন এই দুই হর্মোন ঘুমকে নিয়ন্ত্রণ করে। ঘুমানোর পরপরই শরীরে বের হয় মেলাটোনিন। এই হর্মোন আমাদের শান্তি দেয়। অপরদিকে কর্টিসল হল স্ট্রেস হর্মোন। এই হর্মোন আমাদের ঘুম থেকে ওঠার পর সারাদিনের জন্য তৈরি করে। আর সবথেকে বড় কথা হল এই দুই হর্মোনই লিভার দ্বারা অনেকটাই পরিচালিত হয়।
ঘুমের সমস্যা হয় কী ভাবে?
প্রথমেই আমাদের জেনে নিতে হবে ব্যক্তি কি আগে থেকেই উৎকণ্ঠার মতো সমস্যায় ভুগছেন? উত্তর হ্যাঁ হলে তার শরীরে ইতোমধ্যেই বেড়ে রয়েছে কর্টিসল হর্মোন। এবার এই হর্মোন শরীরে বেড়ে থাকলে লিভারকে এই হর্মোন নিষ্ক্রিয় করার জন্য বেশি করে খাটতে হয়। এই কারণে গোটা দিনই লিভার বেশ খাটাখাটনি করে চলে। এভাবে খাটাখাটনি করার কারণে লিভার কর্টিসল এবং মেলাটোনিনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তার ফলে দেখা দেয় ঘুমের সমস্যা।
গবেষণা বলছে, সারাদিন যারা ক্লান্ত থাকেন তাদের রাতের বেলায় উৎকণ্ঠা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে কোও রোগীর যদি প্রায়ই রাত ১টা থেকে ৩টার মধ্যে ঘুম ভেঙে যায় তবে বুঝতে হবে তার লিভারেই সমস্যা আছে। এই গবেষণাটি প্রকাশ পেয়েছে ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনে। এই গবেষকদল সিরোসিস রোগী এবং ঘুমের সমস্যা নিয়ে বিশেষভাবে গবেষণা করেন।
ফ্যাটি লিভার থেকে ঘুমের যে সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে-
>ঘুম চলে যাওয়া।
> ঘুমাতে না পারা।
> সকালে ঘুম পাওয়া।
> ঘুমের চক্র বদলে যাওয়া।
কী করবেন?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন কোনও সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এক্ষেত্রে একটি আলট্রাসাউন্ড টেস্টই বলে দেবে আপনার এই সমস্যা রয়েছে কিনা!
এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে কী করবেন?
> এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে চাইলে আপনাকে খেতে হবে শাক, সবজি।
> খাওয়ার তালিকায় যোগ করুন ফল।
> পান করুন গ্রিন টি।
> সারাদিনে অন্তত পক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন। ব্যায়ামের মাধ্যমেই অনেক সমস্যার হবে সমাধান।
> আর সমস্যা বেশি মনে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তিনিই আপনাকে সমস্যা মুক্তির রাস্তা দেখাবেন।
হাঁপানি, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ও অন্যান্য শ্বাসনালির সংক্রমণজনিত রোগ তীব্র আকার ধারণ করলে নেবুলাইজার ব্যবহার করা হয়। রোগী যখন ইনহেলারের…
গরমে অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। ফলে বারবার পানি পিপাসা লাগা স্বাভাবিক। আর এ সময় প্রচুর পরিমাণ…
দিনে বেশ কয়েকবার চায়ের কাপে চুমুক না দিলে অনেকেরই দিন কাটে না। বিভিন্ন ধরনের চায়ের মধ্যে মসলা চায়ের স্বাদও যেমন…
হঠাৎ করেই কিডনির সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত গরমে পানিশূন্যতার কারণে হঠাৎই বিকল হতে পারে কিডনি। মূলত তাপমাত্রা ও…
কর্মব্যস্ত জীবনে কমবেশি সবাই এখন রেডিমেড খাবারের উপর নির্ভরশীল। এ কারণে বেশিরভাগ খাবারই এখন প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হয়। প্রায়…
গরমে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। একই সঙ্গে বাড়ে মৃতের সংখ্যাও। আজ ১৬ মে জাতীয় ডেঙ্গু দিবস। ডেঙ্গু…