ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার পাশাপাশি সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা যায়। বলা হয় মাথা থেকে পায়ের তালু সব জায়গাতেই ব্যবহারে করা যায় এই তেল।
এটি আপনার চুলে, মুখে, হাত-পাসহ হাতের নখের যত্নেও ব্যবহার করতে পারেন। তবে কীভাবে এটি ব্যবহার করবেন তা অনেকেই জানেন না। বিভিন্নভাবে এটি ব্যবহার করা যায়। তবে জেনে নিন ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের কয়েকটি উপায়-
নখের যত্নে
নখের যত্নে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খুবই কার্যকরী। যাদের নখ অল্পতেই ভেঙে যায় তারা এটি ব্যবহার করতে পারেন। একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল বের করে নিন। এবার এটি আপনার নখ এবং এর চারপাশের ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে নিন। এটি নখের ভেঙে যাওয়া রোধ করে নখ মসৃণ ও সুন্দর করে। এছাড়াও নখ দ্রুত বৃদ্ধি করে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এটি ব্যবহার করুন। সকালে হালকা গরম জলে হাত ধুয়ে নিন।
নাইট ক্রিম হিসেবে
ময়েশ্চারাইজিংয়ের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল খুবই উপকারী। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনার পরিষ্কার মুখে এই তেলটা লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। সকালে হালকা গরম জলে মুখ ধুয়ে নিন। এটি আপনার কেমিকেলযুক্ত নাইট ক্রিমের দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারে। এছাড়াও সারারাত এটি আপনার ত্বকে সিরামের কাজ করবে। এটি ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে আধা ঘণ্টা আগে লাগাতে হবে।
রোদে পোড়া দাগ দূর করতে
সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে বাঁচাতে কতই না সানস্ক্রিন আর ক্রিম লাগিয়ে থাকেন। তারপরও রোদে পোড়া দাগ ত্বকে রয়েই যায়! বিশেষ করে হাত পায়ে। ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন ভিটামিন ই ক্যাপসুল তেল। এটি আপনার ব্যবহারের সানস্ক্রিন বা ক্রিমের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার বাইরে যাওয়ার আগে এটি ব্যবহার করুন। ময়েশ্চারাজারের পাশাপাশি এটি আপনার ত্বককে রোদে পোড়া থেকে রক্ষা করবে।
চুলের বৃদ্ধিতে
চুলের সব সমস্যার এক সেরা দাওয়াই এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল। আপনার প্রতিদিনের ব্যবহারের তেলের সঙ্গে দুই থেকে তিনটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল তেল মিশিয়ে নিন। মাথার ত্বকসহ চুলে লাগিয়ে নিন। দুই ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিন। এটি আপনার চুল পড়া রোধ করবে। সেই সঙ্গে দ্রুত চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। সপ্তাহে অন্তত দুইদিন এটি ব্যবহার করুন।
ব্যবহারের আগে অবশ্যই আপনি একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। আপনার ত্বকের ধরণ ও বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী এটি ব্যবহারের মাত্রা কম বা বেশি হতে পারে।
ত্বকে নানা ধরনের চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন কারণে এসব চর্মরোগ হয়ে থাকে। তবে অনেকেই প্রথমদিকে এসব রোগকে উপেক্ষা করেন।…
‘ডিটক্স ড্রিংকস’ এর উপকারিতা অনেক। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এ পানীয়। সঙ্গে শরীরের সব ক্ষতিকর পদার্থ দূর করে ক্লিঞ্জার…
চিনির বিকল্প হিসেবে গুড় সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর উপাদান। বরং গুড় শরীরের জন্য বেশ উপকারী। বিশেষ করে ওজন কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন…
ডিম একটি সুপারফুড হিসেবে বিবেচিত হয়। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি উপাদান আছে ডিমে। তবে ডিম নিয়ে অনেকের মনেই নানা…
গ্রীষ্মকাল আসতেই বাজারে ভরে গেছে তরমুজ। লাল টকটকে সুস্বাদু এক ফল এটি। দেখতেও যেমন আকর্ষণীয়, তেমনিই লোভনীয় এর স্বাদ। জানলে…
শীতকালে শিশুর প্রতি নিতে হয়ে বাড়তি যত্ন। ঠান্ডা আবহাওয়া শিশুর কোমল শরীরে প্রভাব ফেলে। এ সময় শিশুরা জ্বর, ঠান্ডা, কাশি,…