এই পদ্ধতি তে হাঁটলে মেদ ঝরবে অনিবার্য! জেনেনিন বিস্তারিত

শরীরচর্চার সহজ পদ্ধতি হলো হাঁটা। তাই বেশির ভাগ মানুষই হাঁটাকে প্রাধান্য দেন। জিম বা ফিটনেস সেন্টারে যাওয়ার সময় হয় না আবার অর্থ ব্যয় এসব চিন্তা করে সকলেই ভাবেন, এর চেয়ে হাঁটাই ভাল।

হাঁটবেন তো বুঝলাম। কিন্তু কী ভাবে হাঁটবেন? মানে, ঠিক কী কী নিয়ম মেনে হাঁটলে তবেই শরীরচর্চার সমান উপকার পাবেন, ক্যালোরিও ঝরবে, সেসব জানেন কী?

অফিস, কেনাকাটা, বাজার-দোকান এই সময়গুলোতে গাড়িঘোড়ায় না উঠে একটু হাঁটলেই কি উপকার মিলবে? নাকি ঘণ্টার পর ঘণ্টা না হাঁটলে কোন উপকারই নেই? কখন হাঁটবেন আর কতক্ষণ ধরেই বা হাঁটলে মিলবে সুফল?

এসব বিষয়ে ফিটনেস বিশেষজ্ঞ বলেন, হাঁটাহাঁটি করুন যতটা পারেন। খুচরা হাঁটায় শরীরের অঙ্গ-প্রতঙ্গ সচল থাকে। তবে এতে খুব একটা মেদ ঝরে না। মেদ ঝরাতে গেলে কিছু নিয়ম মেনে হাঁটলেই মিলবে উপকার।

এবার জেনে নেওয়া যাক কী কী সে নিয়ম?

* সপ্তাহে হাঁটতে হবে অন্তত ২৫০ মিনিট। গড় হিসেবে প্রতিদিন ৩৫ মিনিটের একটু বেশি। এটুকু হাঁটা শরীরের শুধু মেদ ঝরাবে শুধু তাই নয়, কোলেস্টেরল কমিয়ে হার্ট ভাল রাখবে।

* হাঁটাহাঁটির প্রথম দিকে এক সেকেন্ডে একটা স্টেপ, পরে হাঁটার অভ্যাস হলে সেকেন্ডে দুই স্টেপ হিসেবে হাঁটতে হবে। আর অবশ্যই হাঁটতে হবে একটানা। বার বার থমকে, ঘন ঘন দিক বদলে হাঁটার চেয়ে টানা হাঁটায় উপকার বেশি। তাই বাড়ির ছাদে বা লনে নয়, রাস্তা ধরে হাঁটুন।

* বার বার হাঁটার সময় গাড়িঘোড়ার উপদ্রবে দাঁড়াতে হলে তা হাঁটায় বিঘ্ন ঘটায়। তাই গলিপথগুলো হাঁটার জন্য ভাল। সেই সঙ্গে যানবাহনের ধোঁয়া থেকে বাঁচা যাবে।

* দলবেঁধে হাঁটতে বেরুবেন না। অনেকেই গল্প করতে করতে হাঁটেন। আবার কথা না বললেও দলছুট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় অনেকে হাঁটা শ্লথ করে ফেলেন। এই অভ্যাসগুলো কিন্তু মেদ কমানোর পথে বাধা হতে পারে। মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতেও হাঁটা যাবে না। কারণ এতে হাঁটার গতি শ্লথ হয় ও হাঁপিয়ে গিয়ে বেশি দূর হাঁটা সম্ভব হয় না।

* দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগ বাড়বে এমন কিছু ভাবতে ভাবতে হাঁটা চলবে না কিছুতেই। বরং সেসব ঠেকাতে ওই সময়টায় হেডফোনে গান শুনতে পারেন। এতে ফিল গুড হরমোনের জোগান যেমন বাড়বে, তেমনই হাঁটার রিদ্‌ম কমবে না। তবে ব্যস্ত রাস্তা, যানজটের পথে হাঁটলে হেডফোন অবশ্যই এড়িয়ে চলবেন।

* হাঁটার সময় কী ধরনের জুতা পরছেন, তার দিকে খেয়াল রাখুন। পায়ের আরাম হয়, এমন জুতা পরুন। অনেকটা রাস্তা হাঁটা যায়, এমন স্পোটস কেটস পরুন।

* হাতে বা পিঠে অনেক বোঝা নিয়ে হাঁটবেন না। এতে ক্লান্তি বাড়বে এবং বেশিক্ষণ হাঁটা সম্ভব হবে না। হাঁটার নির্দিষ্ট কোন সময় নেই। সকালে সময় না পেলে বিকেলে বা সন্ধ্যায় হাঁটুন। রাতে খাওয়া-দাওয়ার পরেও হাঁটতে পারেন। তবে খুব ভরাপেটে আবার একেবারে খালিপেটেও হাঁটবেন না।

* পায়ে বা হাঁটুতে চোট থাকলে বা কোমরে কোন সমস্যা হলে অবশ্যই হাঁটার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দিনে কতটুকু হাঁটলে আপনার হাড় ও স্নায়ু তা সইতে পারবে, তা জেনে তবেই হাঁটাহাঁটি শুরু করুন।

News Desk

Recent Posts

নেবুলাইজার কেন ব্যবহার করা হয়?

হাঁপানি, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ও অন্যান্য শ্বাসনালির সংক্রমণজনিত রোগ তীব্র আকার ধারণ করলে নেবুলাইজার ব্যবহার করা হয়। রোগী যখন ইনহেলারের…

49 mins ago

বারবার পানি পিপাসা লাগা কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো?

গরমে অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। ফলে বারবার পানি পিপাসা লাগা স্বাভাবিক। আর এ সময় প্রচুর পরিমাণ…

8 hours ago

মসলা চা পানে মিলবে যেসব উপকার

দিনে বেশ কয়েকবার চায়ের কাপে চুমুক না দিলে অনেকেরই দিন কাটে না। বিভিন্ন ধরনের চায়ের মধ্যে মসলা চায়ের স্বাদও যেমন…

8 hours ago

গরমে বাড়তে পারে কিডনির সমস্যা, কীভাবে সতর্ক থাকবেন?

হঠাৎ করেই কিডনির সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে অতিরিক্ত গরমে পানিশূন্যতার কারণে হঠাৎই বিকল হতে পারে কিডনি। মূলত তাপমাত্রা ও…

8 hours ago

খাবার কেনার আগে প্যাকেটের কোন লেখা অবশ্যই পড়বেন?

কর্মব্যস্ত জীবনে কমবেশি সবাই এখন রেডিমেড খাবারের উপর নির্ভরশীল। এ কারণে বেশিরভাগ খাবারই এখন প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হয়। প্রায়…

1 day ago

বিশ্বব্যাপী যে কারণে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব

গরমে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। একই সঙ্গে বাড়ে মৃতের সংখ্যাও। আজ ১৬ মে জাতীয় ডেঙ্গু দিবস। ডেঙ্গু…

1 day ago