ব্রেইন টিউমারের লক্ষণগুলো খুবই বিভ্রান্তিকর। দৈনন্দিন কিছু সমস্যা যেমন মাথাব্যথা এবং ক্লান্তির মত উপসর্গগুলোই ব্রেইন টিউমারের লক্ষণ হতে পারে। কী করে বুঝবেন এসব উপসর্গ গুরুতর নাকি স্বাভাবিক?
মস্তিষ্কে ক্যান্সার বা টিউমারে খুব বেশি মানুষ আক্রান্ত হন না। কিন্তু তা প্রায় সব ক্ষেত্রেই জীবনঘাতী, কারণ এর লক্ষণগুলো শনাক্ত করা খুব সহজ নয়। ব্রেইন টিউমারের লক্ষণগুলো খুবই বিভ্রান্তিকর। দৈনন্দিন কিছু সমস্যা যেমন মাথাব্যথা এবং ক্লান্তির মত উপসর্গগুলোই ব্রেইন টিউমারের লক্ষণ হতে পারে। কী করে বুঝবেন এসব উপসর্গ গুরুতর নাকি স্বাভাবিক?
১) ক্রমাগত মাথাব্যথা
সাধারণ মাথাব্যথা এবং ব্রেইন টিউমারজনিত মাথাব্যথার মাঝে পার্থক্য হলো, এই মাথাব্যথা সহজে যায় না। দিনের পর দিন মাথাব্যথা অব্যাহত থাকে। এমনকি সকালে ঘুম থেকে ওঠার সাথে সাথেই এই মাথাব্যথা পীড়া দেওয়া শুরু করে। কোনো ওষুধেই যদি এই মাথাব্যথা দূর না হয়, তাহলে ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
২) দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া
দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়াটা খুব সূক্ষ্ম একটি পরিবর্তন। এটা অনেকেই খেয়াল করেন না। একে ডাক্তাররা বলেন বাইটেম্পোরাল হেমিয়ানোপসিয়া। অনেক সময়ে ঘরের ফার্নিচারে ঘন ঘন ধাক্কা খাওয়া বা গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট করার প্রবণতা দেখা যায় এর কারণে।
৩) কথা বলতে সমস্যা
কথা বলতে সমস্যা যেমন তোতলানো, কোনো জিনিস বা মানুষের নাম সহজে মনে করতে না পারা এবং অন্যের কথা বুঝতে সমস্যা হতে পারে ব্রেইন টিউমারের লক্ষণ।
৪) ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতা ও খিটখিটে মেজাজ
ব্রেইন টিউমার থাকলে রোগীদের মাঝে ডিপ্রেশন, অ্যাংজাইটি এমনকি খিটখিটে মেজাজের প্রবণতা দেখা যায়। তারা ক্রমাগত ঝুঁকিপূর্ণ কাজের প্রতি আগ্রহ দেখাতে থাকে, আগ্রাসী মনোভাব প্রদর্শন করে।
৫) শ্রবণশক্তি হারানো ও কানে তালা লাগা
একদিকের কানে শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া বা একেবারেই কিছু শুনতে না পারা, অথবা কানে তালা লাগার মতো বা অবিরত ঘণ্টার মতো শব্দ শোনা গেলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন দ্রুত।
৬) বন্ধ্যাত্ব মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্ল্যান্ডের কাজ হলো শরীরের বিভিন্ন হরমোনের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ। মস্তিষ্কে টিউমারের কারণে পিটুইটারি গ্ল্যান্ড প্রভাবিত হলে নারীরা গর্ভধারণে অক্ষম হতে পারেন অথবা সন্তান প্রসবের পর স্তন্যদানে অক্ষম হতে পারেন।
৭) ভারসাম্যহীনতা হাঁটার সময় ভারসাম্য রাখতে অসুবিধা, বিশেষ করে অন্ধকারে হাঁটতে সমস্যা বা একদিকে ঝুঁকে হাঁটার প্রবণতা হতে পারে মস্তিষ্কের সেরেবেলাম অংশে টিউমারের লক্ষণ।
৮) ক্লান্তি ও আলস্য মস্তিষ্কের মোটর কর্টেক্স অংশটি সারা শরীরে পেশী নিয়ন্ত্রণ করে। ডানদিকের মোটর কর্টেক্স শরীরের বামদিক নিয়ন্ত্রণ করে, আর বামদিকের মোটর কর্টেক্স শরীরের ডানদিক নিয়ন্ত্রণ করে। এসব জায়গায় টিউমার থাকলে শরীরে ব্যথা হবে না, তবে হাত-পায়ে দুর্বলতা, এসব অঙ্গ নড়াচড়া করতে সমস্যা হতে পারে।
মশা কমবেশি সবাইকেই কামড়ে থাকে। তবে কারও কারও একটু বেশিই কামড়ায়! এর কারণ কী জানেন? আসলে মশা কাকে বেশি আক্রমণ…
ভিটামিন শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই ভিটামিন শুধু যে হাড়ের স্বাস্থ্যই ভালো রাখে তা কিন্তু নয়। বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকেও…
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা বেশ মুশকিল। যদিও সঠিক জীবনযাত্রা ও শরীরচর্চার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এমনকি এর থেকে মুক্তিও মেলে।…
সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুম অধিক জরুরি। এ কারণেই প্রতিদিন নির্দিষ্ট কয়েক ঘণ্টা সবাইকে ঘুমাতে হয়। ঘুমানোর ফলেই শরীরে মেলে বিশ্রাম। শুধু…
রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর অনেকেই জানতে পারেন হিমোগ্লোবিনের ঘাটতিতে ভুগছেন তিনি। এ সমস্যায় কমবেশি সবাই ভুগে থাকেন। তবে ক্রমশ…
অনেকেই ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে চিনি খাওয়া এড়িয়ে চলেন। আবার বেশি চিনি খাওয়া রক্তে শর্করা বাড়িয়ে দিয়ে নানান রোগের সৃষ্টি…