স্বাস্থ্যকর গর্ভধারণ চাইলে যে ৮টি বিষয়ে মনোযোগী হবে, না জানলে জেনেনিন

১. চিকিৎসকের পরামর্শ নিনঃ স্বাস্থ্যকর গর্ভাবস্থার জন্য অতি প্রয়োজনীয় দুটি পুষ্টি উপাদান হলো ভিটামিন ‘ডি’ এবং ফোলেট। ভিটামিন ‘ডি’-এর অভাব ওজন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় ওজন নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট পরিমাণ ফোলেট গ্রহণের কথাও বলা হয়। তাই স্থূলতা সমস্যায় দ্রুত চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।

২. খাদ্য নিয়ন্ত্রণ নয়ঃ আমেরিকান কলেজ অব অবসটেট্রিসিয়ান অ্যান্ড গাইনোকলজিস্টসের পরামর্শ হলো, যে নারীদের বিএমআই ২৫-২৯.৯-এর মধ্যে, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর তাঁদের দেহে বাড়তি ১৫-২৫ পাউন্ড ওজন যোগ হতে পারে। আর যাঁদের বিএমআই ৩০ বা এর বেশি, তাঁদের ওজন ১১-২০ পাউন্ডের বেশি বৃদ্ধি পাওয়া চিন্তার কারণ। কিন্তু এর পরও এ সময় খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করতে নেই বলে জানান নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই স্কুল অব মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ ড. নিকোল অ্যাভিনা। স্বাস্থ্যকর গর্ভধারণের জন্য খাবার অতি জরুরি।

৩. পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিনঃ আপনার চিকিৎসক নানা পরামর্শ দিলেও একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে খাদ্যতালিকা নেয়া উচিত। ওজন কমাতে এবং স্বাস্থ্যকর গর্ভধারণ নিশ্চিত করতে পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা সঠিক পরামর্শ দিতে পারেন।

৪. বাড়তি ক্যালোরি গ্রহণ করুনঃ গর্ভধারণের প্রাথমিক অবস্থায় শিশুর বাড়তি ক্যালোরির প্রয়োজন পড়ে না। তবে মায়ের দেহের অতিরিক্ত ২৫০-৪৫০ ক্যালোরি গ্রহণ বাঞ্ছনীয়। যদি স্থূল হয়ে থাকেন, তবে ২০০-৩৭০ ক্যালোরি বাড়তি যোগ হতে পারে।

৫. পছন্দটাও স্বাস্থ্যকর হবেঃ পছন্দের খাবার সব সময় স্বাস্থ্যকর রাখুন। সবজি, ফল, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ইত্যাদি খাবার বেছে নেবেন।

৬. অন্যান্য পানীয় পান করুনঃ বিশুদ্ধ জল ছাড়াও অন্য পানীয়ের স্বাদ নিতে পারবেন। ফলের জুস খুবই ভালো। এ ছাড়া মন চাইলে কফি, সোডা ইত্যাদি পান করতে পারেন।

৭. নড়াচড়া করুনঃ সব সময় শুয়ে-বসে বিশ্রাম নেবেন না। বরং নড়াচড়া আরো বাড়িয়ে দিন। তা ছাড়া যাঁরা স্থূলকায়, তাঁদের জন্য হালকা ব্যায়াম, হাঁটা বা ইয়োগা জরুরি।

৮. শিশু জন্মের পরঃ সন্তান আসার পর কিভাবে স্বাস্থ্যের যত্ন নেবেন এর একটা পরিকল্পনা প্রণয়ন করুন। এ কাজে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন; জন্মদানের কত দিন পর থেকে ব্যায়াম শুরু করবেন, কখন থেকে বিশেষ খাবার খেতে পারবেন ইত্যাদি। পুরনো জীবনযাপনে অভ্যস্ত হবেন কিভাবে তা নিয়েও কথা বলুন।

TT Desk

Recent Posts

ঘরে রক্তচাপ মাপার সময় যে ভুলগুলো করবেন না

হাই প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপ হলো একটি ক্রনিক রোগ। অর্থাৎ দীর্ঘদিন ধরে এই রোগ থাকে। পাশাপাশি এর কারণে শরীরের অন্যান্য…

15 hours ago

সন্তানের মোবাইল আসক্তি কমাতে কী করবেন?

ছোট্ট সোনামনির হাতে কমবেশি সবাই মোবাইল তুলে দেন কোন না কোনো সময়। তবে কিছু সময়ের জন্য মোবাইল দেখা এক সময়…

16 hours ago

ক্যানসার হবে কি না জানতে পারবেন ৭ বছর আগেই

ক্যানসারের নাম শুনলেই কমবেশি সবাই আঁতকে ওঠেন। কঠিন এই ব্যাধি থেকে বাঁচতে সচেতনতা জরুরি। ক্যানসার রোগের আগাম খবর পেতে সারা…

2 days ago

নেবুলাইজার কেন ব্যবহার করা হয়?

হাঁপানি, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্টজনিত রোগ ও অন্যান্য শ্বাসনালির সংক্রমণজনিত রোগ তীব্র আকার ধারণ করলে নেবুলাইজার ব্যবহার করা হয়। রোগী যখন ইনহেলারের…

2 days ago

বারবার পানি পিপাসা লাগা কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো?

গরমে অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। ফলে বারবার পানি পিপাসা লাগা স্বাভাবিক। আর এ সময় প্রচুর পরিমাণ…

3 days ago

মসলা চা পানে মিলবে যেসব উপকার

দিনে বেশ কয়েকবার চায়ের কাপে চুমুক না দিলে অনেকেরই দিন কাটে না। বিভিন্ন ধরনের চায়ের মধ্যে মসলা চায়ের স্বাদও যেমন…

3 days ago