গোটা বিশ্বে মানুষের মৃত্যুর অন্যতম বড় কারণ স্ট্রোক। মস্তিষ্কে কোনও কারণে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেলে স্ট্রোক হয়। রক্ত প্রবাহ ছাড়া মস্তিষ্কের কোষগুলি মরে যেতে শুরু করে। দ্রুত চিকিত্সা শুরু না হলে এর ফলে মস্তিষ্কের মৃত্যু হয়। কোনও ব্যক্তির স্ট্রোক হলে তার মধ্যে নানা উপসর্গ দেখা দেয়। উপসর্গগুলি জানা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে অনেক সময় বড় ধরনের ঝুঁকি এড়ানো যায়।
সাধারণত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তবে স্ট্রোক যে কোনও বয়সেই হতে পারে।এজন্য কিছু সাবধানতা অনুসরণ করা উচিত। যেমন-
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ :
স্ট্রোক হওয়ার অন্যতম বড় কারণ হল উচ্চ রক্তচাপ। রক্তচাপ বেশি থাকলে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন আচমকা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাস্থ্যকর খাওয়া দাওয়া, নিয়মিত শরীরচর্চা, ধূমপান এবং অ্যালকোহল পান ত্যাগ করা গুরুত্বপূর্ণ। কারও উচ্চ রক্তচাপ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শমতো নিয়মিত ওষুধ খাওয়া উচিত।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা :
শরীরের ওজন বেড়ে গেলে অন্যান্য অসুখের পাশাপাশি স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিনে অন্তত ৩০ মিনিট শরীরচর্চা, স্বাস্থ্যকর খাওয়া দাওয়া এবং পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি। ওজন কমাতে চাপমুক্ত থাকাও জরুরি।
রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা :
ডায়াবেটিস থাকলে বা রক্তে শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিকের থেকে সামান্য বেশি থাকলেও রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকলে শিরা ও উপশিরাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। এর ফলে মস্তিষ্কে ঠিকমতো রক্তসঞ্চালন না হয়ে স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়ম মেনে খাওয়া দাওয়া করা খুবই জরুরি।
ধূমপান ও অ্যালকোহল ত্যাগ :
নিয়মিত অ্যালকোহল পান করলে তার ক্ষতিকর প্রভাবে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। অ্যালকোহল পানের কারণে রক্তে শর্করার পরিমাণও বেড়ে যায়। এর ফলে রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই কারণে অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকতে হবে।নিয়মিত ধূমপানেও রক্ত জমাট বেঁধে যেতে পারে। তাই স্ট্রোক এড়াতে ধূমপান পুরোপুরি বর্জন করা উচিত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্ট্রোকের আগে শরীরে কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। এসময় চিকিৎসকের পরামর্শে বড় ধরনের ঝুঁকি এড়ানো যায়। যেমন-
১. হাসতে বা মুখ নাড়াতে কষ্ট হলে।
২. হাতে কোনো ধরনের শক্তি না পাওয়া বা দুর্বল লাগা স্ট্রোকের ক্ষেত্রে বিপদজনক সংকেত।
৩. কথা জড়িয়ে যাওয়া, কথা বলতে কষ্ট হওয়াও স্ট্রোকের সংকেত দেয়।
৪. এক চোখে বা দুই চোখে দেখতে কষ্ট হলে।
৫. হাঁটতে গিয়ে শরীরের ভারসাম্য রাখতে না পারলে সাবধান হওয়া উচিত।
৬. ঘন ঘন মাথা ঘোরানোও ষ্ট্রোকের লক্ষণ ।
৭. কোনো ধরনের কারণ ছাড়াই প্রায়ই মাথা ব্যথা থাকলে সেটাও স্ট্রোকের বার্তা বহন করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা বেশ মুশকিল। যদিও সঠিক জীবনযাত্রা ও শরীরচর্চার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এমনকি এর থেকে মুক্তিও মেলে।…
সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুম অধিক জরুরি। এ কারণেই প্রতিদিন নির্দিষ্ট কয়েক ঘণ্টা সবাইকে ঘুমাতে হয়। ঘুমানোর ফলেই শরীরে মেলে বিশ্রাম। শুধু…
রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর অনেকেই জানতে পারেন হিমোগ্লোবিনের ঘাটতিতে ভুগছেন তিনি। এ সমস্যায় কমবেশি সবাই ভুগে থাকেন। তবে ক্রমশ…
অনেকেই ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে চিনি খাওয়া এড়িয়ে চলেন। আবার বেশি চিনি খাওয়া রক্তে শর্করা বাড়িয়ে দিয়ে নানান রোগের সৃষ্টি…
কান শরীরের গুরুত্বপূর্ণ এক অঙ্গ। তবুও বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই অঙ্গটি নিয়ে উদাসীনতা দেখা যায়। গোসল করতে গিয়ে কানে পানি ঢুকে…
বয়স বাড়তেই বাবা-মা সন্তানের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। আর সন্তানেরও উচিত এ সময় বাবা-মায়ের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হওয়া। বিশেষ করে…